মৃত্যুপুরী-আল আকসা

আফতাব চৌধুরী, সাংবাদিক-কলামিস্ট

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

শত শত নবী রাসুলের স্মৃতি বিজড়িত ফিলিস্তিন আজ মৃত্যু উপত্যকা। শান্তির দূত মহানবী (সা.)-এর প্রথম কিবলা আল-আকসা আজ রক্তে রঞ্জিত। গাজা আজ মৃত্যুপুরী। যেন রোজ কিয়ামত। যে শব্দই ভেসে আসে কেবল শোনা যায় বোমা, মেশিনগান, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র আর বিমান হামলার। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধুই রক্তের দাগ। নাকের ডগায় ভেসে আসে মৃত ও আহতদের রক্ত আর লাশের গন্ধ। নিষ্পাপ শিশুর আহাজারী-চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। শিশু সন্তানের লাশ নিয়ে দুঃখিনী মায়ের বুকফাটা কান্নায় আল্লাহর আরশ যেন কাঁপছে। এ যেন আরেক কারবালা। তারপরও খুনের নেশায় রক্ত পিপাসু ইসরাইল হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করছে না। বিশ্বের মহাশক্তিধর আমেরিকার মনোপলি মদদে গেল ক‘যুগ ধরে ইসরাইল নির্মমভাবে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে চলেছে, লুটপাট করছে, বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করছে অগণিত মানুষকে। এখানেই শেষ নয়, নিষ্ঠুর ইহুদিরা নিরপরাধ শিশুকন্যাদের পর্যন্ত ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করছে। পরিতাপের বিষয় জাতিসংঘ নামক প্রতিষ্ঠানটি এসব দেখেও দেখছে না। উড়ে এসে জুড়ে বসা অভিশপ্ত ইহুদি কর্তৃক মার খাওয়া যেন ফিলিস্তিনি মুসলমানদের নিত্যদিনের ঘটনা। নিজ দেশে ফিলিস্তিনিরা আজ পরবাসী। অবাক বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। ইসরাইলিদের তো কোনো রাষ্ট্রই ছিল না- ফিনিস্তিনের মাটি জোর করে দখলের মাধ্যমে আজ তারা রাষ্ট্রের মালিক আর যারা মূল মালিক আজ তারা তাদের নিজ ভিটেবাড়ি থেকে বহিষ্কৃত।

ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলিদের বর্বর, নৃশংস পৈশাচিক হামলা বিশ্ববিবেককে হতবাক করেছে। ইসরাইলের মজুদকৃত লাখ লাখ টন গোলাবারুদ যেন ফিলিস্তিনের অসহায়, নিরীহ-নিরস্ত্র নারী-পুরুষ, শিশুদের জন্য রক্ষিত। ইসরাইল বিশ্ববাসীকে যেন বুঝাতে চাচ্ছে যে, ফিলিস্তিন কোনো রাষ্ট্র নয়, এটা একটি মৃত্যু উপত্যকা। এ উপত্যকায় কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকা যেন তারা সহ্য করতে পারছে না। মুসলমান নামক কোনো প্রাণী যেন এ উপত্যকায় জন্মাতে না পারে বসবাস করতে না পারে সেটার ঠিকাদারি যেন মানবতার দুশমন ইসরাইলকে দেয়া হয়েছে। সে কথার প্রমাণ পাওয়া যায় ইসরাইলের একজন মহিলা সাংসদের মুখ থেকে। নিষ্ঠুর সে নারী বলেছিল, ‘সকল ফিলিস্তিনি মাদের হত্যা কর। যাতে কোন নারী মুসলমান সন্তান জন্ম দিতে না পারে।’ চিন্তা করুন! ইসরাইলের এ নারী মানুষ নাকি পশু? এ সংসদ সদস্য তো নারীজাতির কলঙ্ক, না গোটা ইহুদিদের মতো এ নারীও হিংস্র পশু, জানোয়ার। সম্ভবত এজন্যই হিটলার ইহুদীবাদী পশুগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চেয়েছিলেন। হিটলার নাকি বলেছিলেন, ‘আমি সব ইহুদিদের মারতে পারতাম, কিন্তু কিছু ইহুদি বাঁচিয়ে রেখেছি, যাতে করে দুনিয়ার মানুষ বুঝতে পারে কেন ইহুদিদের মেরেছিলাম।’ তামাম দুনিয়ার মানুষ আজ হিটলারের কথা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জন্মভূমি হারানো অসহায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরাও।

হাজার বছরের ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ফিলিস্তিন নিয়ে মূল সমস্যা শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর। ব্রিটিশরা ১৯১৭ সালে এটি তুর্কী সালতানাতের নিকট হতে দখল করে নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের বিরুদ্ধে আরবদের সহায়তা লাভের জন্য ব্রিটিশ-ফরাসি শক্তি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা দিবে বলে কথা দিয়েছিল। আবার ব্রিটিশরা ইহুদিদের সহায়তা লাভের জন্য ফিলিস্তিনে তাদের আবাসস্থল নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ব্রিটিশদের এ দ্বিমুখী নীতির মধ্যে মুসলমান-ইহুদিদের সংঘর্ষের বীজ সুপ্ত ছিল। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে ব্রিটিশরা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। কিন্তু ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইহুদিদের আবাসভূমি স্থাপনে ব্রিটিশরা সমর্থন দিতে থাকে। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফের ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেন। এ ঘোষণার পর অবৈধ ইসরাইল জোর করে ফিলিস্তিনিদের ওপর চেপে বসে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে জড়ো হতে থাকে। ১৯০৫ সালে যেখানে ইহুদি ছিল কয়েক হাজার ১৯৪৮ সালে তা ৬ লাখে উন্নীত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে দুই ভাগে ভাগ করার জন্য ১৮১নং প্রস্তাব পাস করা হয়। যাতে আরব মুসলমানদের কোনো সমর্থন ছিল না। এ প্রস্তাবের মোট ভূমির ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনিদের এবং ৫৫ শতাংশ ইহুদিদের দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়, যা ছিল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের স্বার্থের পরিপন্থি। কারণ বাস্তবে জমির ৮৫ শতাংশ অংশে ছিল মুসলমান, ৬ শতাংশ অংশে ছিল ইহুদি বাড়ি, ৯ শতাংশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা। ইহুদিরা এ প্রস্তাবকে জোরালোভাবে সমর্থন করলেও ফিলিস্তিনি মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ, যা চলে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে পর্যন্ত। এ বছর ১৪ মে বিকাল বেলায় এক সমাবেশে ইয়াহুদি নেতা গুরিয়ান অবৈধভাবে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যা ছিল জাতিসংঘের ১৮১নং প্রস্তাবের বিরোধী। কারণ এ প্রস্তাবে মুসলমান-ইহুদিদের জন্য দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাববিরোধী কাজ করলেও জাতিসংঘ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বরং ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে। পক্ষান্তরে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে পরগাছা ইহুদিরা ইসরাইল রাষ্ট্র লাভ করলেও ফিলিস্তিনিরা আজঅবধি রাষ্ট্রহীন রয়ে গেছে। ১৯৩৩ সালে জার্মানিতে হিটলার ক্ষমতায় আসলে ইহুদিদের উপর নির্যাতন বেড়ে যায়। হিটলার ধরে ধরে ইহুদিদের পুড়িয়ে হত্যা করে। এর ফলে ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিন আসতে শুরু করে। ব্রিটিশদের সহায়তায় তারা অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠে। তারা ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করা শুরু করে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি প্রতিবেশী মিশর, জর্ডান, সিরিয়াসহ প্রতিবেশী বিভিন্ন রাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়। সেই যে মুসলিম বিতাড়নের কাজ ইহুদিরা শুরু করেছিল তা অদ্যাবধি বিদ্যমান। তাদের উদ্দেশ্য হলো গোটা ফিলিস্তিন দখল করে ইসরাইলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এখন পর্যন্ত ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের ৮০ ভাগের বেশি জমি দখল করে নিয়েছে। তাদের দখলদারিত্ব বজায় রাখার এবং সম্প্রসারণ করার প্রচেষ্টা আজও বিদ্যমান। মানবতার শত্রু ইসরাইলকে রুখার সাধ্য যেন বিশ্বের কারো নেই। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে একদিকে ব্রিটিশদের সামরিক সাহায্য, অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে ইহুদিবাদের আর্থিক সচ্ছলতায় ফিলিস্তিনিরা অসহায় হয়ে পড়ে। শুরু হয় হাতির সাথে পিঁপড়ার গেরিলা যুদ্ধ। মাতৃভূমি পুনঃউদ্ধারের জন্য ফিলিস্তিনের তৎকালীন গেরিলা নেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে গঠিত হয় পিএলও। প্রথমে পিএলও এর সদর দপ্তর ছিল তিউনিশিয়া এবং মিশর। পরবর্তীতে তা রামাল্লায় স্থানান্তর করা হয়। আজও সেখানে এর দপ্তর রয়েছে। এই রামাল্লায়ই রয়েছে ফিলিস্তিনিদের প্রিয় নেতা ইয়াসির আরাফাতের কবর।

মুসলিম জাহানের এই পবিত্রভূমি পুনঃউদ্ধারের লক্ষ্যে ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয়। ১৯৬৭ সালে ৬ দিনব্যাপী যুদ্ধে ইসরাইল আরবদের চারটি টেরিটরি যথা-গাজা, সিনাইদ্বীপ, গোলান ভূমি ও ওয়েস্ট ব্যাংক দখল করে নেয়। এরপর থেকে ইসরাইল অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। ১৯৭৩ সালে ৬ অক্টোবর এক আকস্মিক যুদ্ধে মিশরের সৈন্যরা সুয়েজের পূর্বদিকে ইসরাইলের সুরক্ষা-সীমারেখা ভেদ করে সিনাই উপত্যকায় প্রবেশ করে। একই সময় সিরিয়া গোলান অঞ্চলে আক্রমণ চালায়। ইসরাইলি সৈন্যরা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সেসব জায়গায় পুনঃদখল করে নেয় এবং সুয়েজের পশ্চিম দিকে মিশরের সীমানায় প্রবেশ করে। ২২ অক্টোবর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আরব বিশ্ব কিছু জমি ফেরত পায়। ১৯৯৩ সালের ওসলো শান্তি চুক্তির পর অধিকৃত এলাকার কিছু অংশ পিএলও’র নেতৃত্বে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার পায়। ১৯৯৫ সালের ২৪ অক্টোবর পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত ও ইসরাইল পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন প্যারেজ ‘তাবা’ চুক্তিতে পৌঁছান যা ফিলিস্তিনিদের স্বায়ত্তশাসনের দ্বিতীয় পর্যায় বলা হয়। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন স্থগিত করা হয়। এদিকে ফিলিস্তিনিদের অসন্তোষের মুখে সংগ্রামের ফলে ২০০২ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৩৯৭-নং প্রস্তাব গ্রহণ করে যাতে স্বীকৃত সীমানাসহ ইসরাইল ও ফিলিস্তিন নামক দুটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দৃঢ়তার কথা বলা হয়। এ প্রস্তাব আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সীমানা, জেরুজালেম ও উদ্বাস্তু সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি ‘রোডম্যাপ’ পরিকল্পনা করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৮ সালে বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে লোক দেখানো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এগুলোর কোনো কিছু মেনে নেয়নি বরং পশ্চিমাদের মদদ থাকায় ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে আবাসন গড়ে তুলতে শুরু করে, যা আজও অব্যাহত আছে। ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন রাষ্ট্রের চাপে জাতিসংঘ ফিলিস্তিন নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উদ্ভব রুদ্ধ করে রেখেছে। স্বাধীনতা যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনিদের সোনার হরিণ হয়েই থাকল। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্তের প্রতি বিশ্বের জনগণ সমর্থন জানালেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র এতে সর্বদাই ভেটো দিয়ে আসছে। ক’বছর আগে মাত্র আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, সুইডেনসহ ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বের সব দেশকে এ পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। আরবলীগও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার ইস্যু নিরাপত্তা পরিষদে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতে ইসরাইল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে যে, যদি ফিলিস্তিন নিরাপত্তা পরিষদে যায় তবে ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কথায় প্রমাণিত হয় ইসরাইল ফিলিস্তিনের অস্তিত্বকে নিঃশেষ করে দিতে চায়। বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘ইসরাইল ফিলিস্তিনকে কর্তৃত্বহীন কর্তৃপক্ষ হিসাব রাখতে চায়। ফিলিস্তিনিরা তা মেনে নেবে না।’ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পিছনে থাকানো বা ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে ও অবিশ্বাস দূর করে ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাধার সব দেয়াল ভেঙে চুরমার করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই হবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস বাধ্য হয়ে সে পথে হাঁটছে। সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভূ-খণ্ড ফিরে পাওয়া এবং স্বাধীন অস্তিত্বের জন্য। দুনিয়ার কোটি কোটি মুসলমান ও শান্তিপ্রিয় মানুষ বিশ্বাস করে বীর সেনানী সালাহ উদ্দীন আয়্যুবির উত্তরসূরি ফিলিস্তিনের মুসলমানরাই শয়তানের প্রেতাত্মা ইসরাইলের পতন ঘটিয়ে তাদের পূর্বপুরুষের মাতৃভূমি উদ্ধার করবে এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা রক্ষা করবেই। ইনশাআল্লাহ।