প্রাইভেট টিউশন ও বর্তমান প্রজন্ম

আফতাব চৌধুরী

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার হচ্ছে আর সে সঙ্গে এ ব্যবস্থা ক্রমাগত উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। নতুন শিক্ষানীতিতে প্রবর্তন করা হয়েছে। বিশ্বায়নের ফলে নতুন নতুন পাঠক্রম চালু হচ্ছে, এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে যেমন শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিভিন্ন ধরনের কোচিং সেন্টারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতীতে এমনটা ছিল না। দাদা-দাদী বা অন্যান্য বয়োজ্যাষ্ঠদের কেউ বাড়ীর ছেলেমেয়েকে শিক্ষা দিতেন, নিজস্ব সংস্কৃতির বীজমন্ত্র ছেলেমেয়েদের মনে গেঁথে দিতেন। তৎকালীন সময়ে মোটামুটি শিক্ষিত ব্যক্তি বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, আরবি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ ছিলেন। তাই তারা ছাত্রছাত্রীকে সব বিষয়ে কম-বেশি দেখিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে সব বিষয় সিলেবাসের ভার বেড়ে গেছে। তাই একা কারো পক্ষে সব বিষয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। শুরু হলো বিভিন্ন বিষয়ে ‘গৃহশিক্ষক’ বা ‘প্রাইভেট টিউটর’ রাখার প্রচলন।

বর্তমানে ‘প্রাইভেট টিউটর’ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের বিতর্কেরও সূত্রপাত হয়েছে। ‘প্রাইভেট টিউটর’ কথাটির অর্থ হলো ব্যক্তিগত শিক্ষক বা রক্ষক। কিন্তু বর্তমানে ‘প্রাইভেট টিউশন’ থেকে জন্ম নিয়েছে ‘কোচিং সেন্টার’ বা ‘কোচিং ক্লাস’ নামক প্রতিষ্ঠানের। যে প্রতিষ্ঠানের প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্যিক সাফল্য এবং দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র ব্যক্তিগত বা ‘প্রাইভেট কোচিং সেন্টার’ গড়ে উঠেছে। এসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষক বেশিরভাগই সরকারী অথবা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক, কর্মী অথবা সিনিয়র ছাত্র। এর বিষময় ফল দেখা দেয় স্কুল ও কলেজের পঠন-পাঠনে এবং পরিবেশে। শিক্ষক সমাজের এক বড় অংশ কলেজে পড়ানোর চেয়ে নিজের কোচিং ক্লাসের বাণিজ্যিক সাফল্যের দিকে অনেক বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে থাকতে দেখা যায়। স্কুলের সাফল্যের চেয়ে ‘কোচিং ক্লাসের’ সাফল্য এসব শিক্ষকের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রাইভেট কোচিং এবং কোচিং ক্লাসের ক্রমাগত বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করে ফেলছে। অন্যান্য জেলার কথা বাদ দিয়ে যদি ঢাকা বা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর দিকে তাকাই তাহলে একই চিত্র আমাদের চোখের সামনে প্রতিভাত হয়।

বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অজস্র ব্যক্তিগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের সুনাম এতই পরিব্যাপ্ত হয়েছে যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বপ্নের শিক্ষালয় হিসেবে পরিগণিত। প্রায় প্রত্যেক সচ্ছল অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েকে হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসব কোচিং সেন্টারে ভর্তি করতে চান। তাই দূর-দূরান্ত থেকে অভিভাবকরা ছুটে আসেন শহরে। প্রচুর টাকা খরচ করে ভর্তি করান এ সব প্রতিষ্ঠানে। তারা ভাবেন যে, শহরের নামকরা প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা খুব ভালো হয়। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? যদি প্রাইভেট স্কুল-কলেজে খুব ভালো পড়াশোনা হয় তাহলে কেন ছাত্রছাত্রীরা রাত-দিন হন্যে হয়ে প্রাইভেট টিউটরের কাছে ঘুরে বেড়ায়?

প্রসঙ্গক্রমে একটি সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি। আমি থাকি সিলেট শাহজালাল উপশহরে। ‘আমার এক আত্মীয় গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছেন ছেলেমেয়েকে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করানোর জন্য। তিনি সরকারের একটি অফিসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন। তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলেটি বিজ্ঞান নিয়ে শহরের এক নামকরা প্রাইভেট কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে, দ্বিতীয় ছেলেটি অষ্টম শ্রেণিতে আর মেয়েটিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শহরের শ্রেষ্ঠ ইংরেজি মাধ্যম প্রাইভেট স্কুলে পড়ে। খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তার বাড়িতে আমার খুব কমই যাওয়া-আসা হয়। কারণ ছেলেমেয়েকে নিয়েই তাদের ব্যস্ততার শেষ নেই। ছেলেরা কখন স্কুল যাবে, মেয়ে কখন স্কুলে যাবে, কখন প্রাইভেট টিউশনে যাবে, কখন তাদের নিয়ে আসতে হবে তা নিয়ে তারা দুজন ব্যস্ত। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি এসে আমার বাড়িতে উপস্থিত। আমি তার কুশল মঙ্গল জিজ্ঞাসা করার পর আসার কারণ জানতে চাইলাম। তখন তিনি বললেন, এই তো মেয়েকে ‘প্রাইভেট টিউশনে’ নিয়ে এলাম তোমার প্রতিবেশী অমুক স্যারের কাছে। ৪-৫ দিন থেকে আসছি, রাস্তায় পায়চারি করতে করতে ভালো লাগছিল না তাই ভাবলাম তোমাদের একটু খবর নিয়ে যাই। আমি তখন বললাম, এখন তো নভেম্বর মাস চলছে। বার্ষিক পরীক্ষার আর বাকি নেই, তাই এখন টিউশন নিয়ে কি লাভ হবে? তখন তিনি উত্তর দিলেন, শুনেছি ওই স্যার নাকি ভালো সাজেশন দেন, তারমধ্যে প্রায় সবই ‘কমন’ পড়ে যায় এবং ছাত্রছাত্রীরা ভালো নম্বরও পেয়ে থাকে। সে শিক্ষক আমার মেয়ের স্কুলের শিক্ষক। যে ছাত্রছাত্রীরা নানা অসুবিধাবশত সারা বছর তার কাছে আসতে পারে না বছরান্তে আসতেই হয় তার কাছে শুধু ভালো সাজেশন এবং ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য। তারপর আমি বাকি দুই ছেলের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানালেন যে, বড় ছেলে বিজ্ঞান নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। তার চার বিষয়ে চারজন এবং অঙ্কের জন্য একজন প্রাইভেট টিউটর রয়েছেন যিনি বাড়িতে এসে পড়ান। বুঝলে ভাই ভালো শিক্ষকের কোচিং সেন্টারে ছাত্রছাত্রীর ভর্তি করা খুব কঠিন। আমার বড় ছেলের জন্য আমাকে এবং তোমার ভাবীকে খুবই কষ্ট করতে হচ্ছে। প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানোর জন্য অনেকেই সুপারিশ করেছেন। কিন্তু ছোট ছেলের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো চিন্তা নেই, কারণ ওর স্কুলের স্যার-ম্যাডামদের কাছে সে প্রাইভেট টিউশন করছে। পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পেয়ে পাস করেছে।’ তার কথাবার্তা শুনে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আমার মনে হয় ছেলেমেয়ের পড়াশোনা বাবদ আপনার মাসিক ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। তাহলে আপনি কীভাবে মাস চালান? তখন তিনি উত্তর দিলেন, সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তার চাকরি, তাই মোটামুটি মাস চলে যায়।

কিছুদিন পূর্বে আমার এক আত্মীয়ের মেয়ে খুব আনন্দের সঙ্গে আমাকে জানাচ্ছে ‘চাচা আমি হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষায় বাংলায় ৮০ মার্কস পেয়েছি।’ মেয়েটি ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলে পড়ে। কথাটি শুনে আমি আনন্দিত হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলামণ্ড ‘তোমার পাঠ্য বাংলা পুস্তকে কোন কোন লেখক ও কবির সৃষ্টি রয়েছে?’ তখন সে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করল সৃষ্টি মানে কি? আমি তখন কিছুটা আশ্চর্য হয়ে সৃষ্টি কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দেই। তারপর সে আমাকে উত্তরে বলল নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কায়কোবাদ প্রমুখসহ আরো কয়েকজনের নাম। আমি আবার প্রশ্ন করলাম ফররুখ আহমদ কে? তার কয়েকটি সৃষ্টির নাম বল? তখন সে উত্তর দিল তিনি একজন কবি আর বাকি অংশের উত্তর মিস বলেননি। তারপর অন্যান্য লেখক ও কবিদের সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই সে ‘জানি না’ বলেই আমার কাছ থেকে দৌড়ে চলে গেল। এটাই বর্তমান শিক্ষার বাস্তব চিত্র।

গৃহশিক্ষক বলতে একসময় যা বোঝাত এখন তার দৃষ্টান্ত বিরল হয়ে গেছে। টিউটর কথাটির শিক্ষক ছাড়া অন্য অর্থ আছে। তার অন্যতম হল ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক-বালিকার অভিভাবক বা রক্ষক।’ অনেক খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে পাশ্চাত্যে ‘কলেজ টিউটর’ নামে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ আছে। তার দায়িত্ব হল, ছাত্রছাত্রীকে ছোট ছোট দলে ভাগ করে তাদের শিক্ষা ও সার্বিক উন্নতির দিকে লক্ষ্য রাখা এবং সুব্যবস্থা করা। অধ্যাপনার কাজের অতিরিক্ত গুরুদায়িত্ব তাকে বহন করতে হয়। ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগ থাকে। বিদ্যায়তনে ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনা ও সার্বিক উন্নতির জন্য এ প্রথা আমাদের দেশেও ছিল। কিন্তু এখন সে প্রথা নেই বললেই চলে। আজকাল সত্যিকার অর্থে ‘গৃহশিক্ষক’ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। কারণ কোনো গৃহশিক্ষক ১/২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে সময় নষ্ট করতে চান না। স্বল্প পরিশ্রমে অধিক উপার্জন করার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ‘কোচিং ক্লাস’ ও ‘কোচিং সেন্টার’। আজকাল কোনো ফ্যামিলি ডাক্তারও প্রাইভেট চেম্বার ছেড়ে কোনো বাড়িতে যেতে চান না, কারণ ডাক্তার একটি বাড়িতে গিয়ে সময় নষ্ট করে যে ফি পাবেন সে সময়ের মধ্যে নিজ চেম্বারে বসে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। তেমনি একটি ছাত্র বা ছাত্রীকে তার বাড়িতে পড়াতে গিয়ে যে সময় ব্যয় হবে এবং পরিবর্তে যে পারিশ্রমিক পাবেন সে তুলনায় নিজের কোচিং ক্লাসে একসঙ্গে অনেকজন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়িয়ে এর চেয়ে বহুগুণ বেশি উপার্জন করা যাবে। অনেক শিক্ষক তাই করছেন।

‘প্রাইভেট টিউশন’ প্রথা এ পর্যন্ত বন্ধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, কারণ অভিভাবকরা চান ছেলেমেয়েরা নামকরা শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট টিউশন করুক। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। যারা ভালো ছাত্রছাত্রী তারা চায় পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করতে এবং প্লেইস করতে। তারা স্কুল-কলেজের পড়াশোনা যথেষ্ট মনে করে না। তারা প্রতিটি বিষয়ে ভাল শিক্ষকের কাছে বিশেষ পাঠ বা কোচিং নিতে চায় যাতে খুব ভাল ফল করে নিজের পছন্দমত বিষয় নিয়ে তারা পড়াশোনা করতে পারে। তারপরের শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা গোল্ডেন এ প্লাস বা এ প্লাস আর মাঝারি মাপের ছাত্রছাত্রীরা চায় অন্তত এ বা এ মাইনাস। প্রাইভেট টিউশনের উপকারিতা সম্পর্কে অভিভাবকরাও ভালোভাবে জানেন এবং বুঝেন। আর যারা একেবারে নিম্নমানের- পাস করার যোগ্য নয় তারা প্রাইভেট টিউশন নিয়ে কোনোক্রমে পাস করে ফেলে। যদি প্রাইভেট কোচিং বা টিউশন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ কি হবে? নিশ্চয়ই তাদের অবস্থা খুব সংকটজনক হবে, তাই প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করা এ মুহূর্তে সম্ভব নয়, সমীচিনও হবে না। তবে প্রাইভেট টিউশন নিয়ে অভিভাবকদের মুখ থেকে যেসব সমস্যার কথা শোনা যায় সে সম্পর্কে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যেমন, শিক্ষকের নিজের স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে প্রাইভেট টিউশন করার ফলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং পরীক্ষার খাতা দেখায় পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কার কথা শোনা যায়। অনেক ক্ষেত্রে শোনা যায় শিক্ষক নিজের ছাত্রছাত্রীকে প্রশ্নপত্র বলে দিয়েছেন বা আকার-ইঙ্গিতে বুুঝিয়ে দিয়েছেন বা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দিয়েছেন, এ ধরনের অনেক অভিযোগ শোনা যায়। অনেক অভিভাবক ছেলেমেয়েকে তাদের নিজের স্কুলের শিক্ষকের পরিবর্তে অন্য স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পাঠাতে ভয় পান। যাতে পরীক্ষার ফলাফলে বিরূপ প্রভাব না পড়ে। তাই ছাত্রছাত্রীকে তাদের স্কুলের শিক্ষকের কাছে পাঠাতে বাধ্য হন। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিজের স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে নিজ কোচিং ক্লাসে আসতে বাধ্য করেন। ভীত সন্ত্রস্ত ছাত্রছাত্রীরা সবাই নিজস্ব স্কুলের শিক্ষকের অথবা শিক্ষিকার কাছে আসতে বাধ্য হয়। তবে এসব কাজ করেন এরকম শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা খুবই নগণ্য। ২-১ জনের এ ধরনের আচরণের জন্য শিক্ষকদের সম্বন্ধে ছাত্রছাত্রীর শ্রদ্ধার অভাব ঘটে। এটি যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাই এ সমস্যা নিরসনের পথ অন্বেষণ জরুরি। কিন্তু বর্তমান শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত হয়ে গেছে। একই চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে সারা দেশে। সরকারি নিয়ন্ত্রণহীনতা ও শিক্ষার রাজনীতিকরণের ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সমস্যা বিজড়িত শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য দরকার জনজাগরণ এবং সম্মিলিত প্রয়াস ও প্রচেষ্টা।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট