ক্র মবর্ধমান যানজট ও দূষণের ভয়াবহতায় পরিবেশবিদ তো বটেই, সাধারণ মানুষও বর্তমানে অতিশয় ভাবিত ও শঙ্কিত। যানজট আর পরিবেশ দূষণ, বিশেষত বায়ুদূষণে আধিক্য শহরাঞ্চলে বেশি। শহর যত বড়, দূষণের মাত্রাও তত বেশি। যেহেতু মূলত শিল্পায়নকে কেন্দ্র করেই নগরায়ন, তাই শহর নগরে বায়ুদূষণের জন্য প্রাথমিকভাবে শিল্পায়নই দায়ী। বর্তমানে বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণের জন্য শিল্প-কারখানাকে তেমন দায়ী করা যায় না। কেননা, অধিকাংশ শহরেই কলকারখানার উপস্থিতি নিতান্তই অনুল্লেখনীয়। প্রকৃতপক্ষে এসব শহরে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ শিল্প-কারখানাজনিত কারণে সৃষ্ট নয়- এ দূষণ মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি-দহন সৃষ্ট যানবাহন নির্গত বিষাক্ত গ্যাসজনিত। যানবাহন শহরের বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড জাতীয় ক্ষতিকারক গ্যাসের পুঞ্জীকরণ ছাড়াও ধুলোবালির মিশ্রণ ঘটিয়ে শহর ও তার পারিপার্শ্বিক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বায়ূমন্ডলকে দূষিত করে তুলে, তাছাড়া অবিরত বিকট উচ্চ ডেসিবেলের শব্দে শহরাঞ্চলে শব্দ দূষণের মাত্রাও অস্বস্তিকর এবং অসহ্যকর। তাই শহরাঞ্চলে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যানবাহন চলাচলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যাবশ্যক। অনাবশ্যক যান ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পারলে প্রদূষণের মাত্রা তো কমবেই, একই সঙ্গে তা আরো অনেক সুফল বয়ে আনবে- অনেকটা তাৎক্ষণিকভাবেই।
এ দেশে শহরাঞ্চলে যানবাহনের সংখ্যা ইদানীংকালে অভাবনীয়রূপে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরন্তর বেড়েই চলেছে। হালকা যানবাহনের লভ্যতা সহজসাধ্য হওয়ায় এ সংখ্যা বৃদ্ধি দ্রুততর হয়েছে। যানবাহন বৃদ্ধি ও ট্রাফিক পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিকট ভবিষ্যতে শহরাঞ্চলে দূষণ ও যানজট সমস্যার ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি করবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। হালকা যান বর্তমানে সহজে ক্রয় হওয়ায় অনাবশ্যক যান ব্যবহারের মাত্রা ও প্রবণতা বেড়ে চলেছে।
যানবাহন আবিষ্কার তথা এর প্রচলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সময়ের সাশ্রয় ঘটিয়ে কম সময়ে অধিক যাত্রাপথ অতিক্রম করা এবং তৎসঙ্গে দীর্ঘ পথ চলার শারীরিক ধকল লাঘব করা। অথচ একটু মর্মানুসন্ধানী হলে দেখা যাবে, বর্তমানে শহরাঞ্চলে এক গরিষ্ঠ সংখ্যক যান ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেই এ মূল উদ্দেশ্যটি পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক। শহরের পিঁপড়ের সারি যানারোহীরা যানজটে নাকাল হয়ে ১০ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ যানবাহিত হয়ে এক ঘণ্টায় পাড়ি দিচ্ছেন। যানজটে নাকাল অচল গাড়ির সচল ইঞ্জিন নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ফুসফুস স্ফিত করে মানবদেহরূপী ইঞ্জিনের সর্বনাশ ডেকে আনছেন। এবড়ো-থেবড়ো রাস্তায় গাড়িতে বসে বসে ব্যাকপেন, মাসলপেন, স্পন্ডেলাইটিস প্রভৃতির শিকার হচ্ছেন। পায়ে হেঁটে সহজগম্য দূরত্বে স্থিত বাজার, স্কুল, কলেজ, অফিস, পার্টি, আড্ডাস্থল প্রভৃতি গন্তব্যে পৌঁছাতেও অনাবশ্যক যান ব্যবহার করছেন- যদিও এতে সময় স্বাস্থ্য-অর্থ সবকিছুর অপচয় ঘটছে।
এটা অস্বীকার করা যাবে না, বর্তমানে যারা বাইক-কার জাতীয় হালকা যান ব্যবহার করেন, তাদের এক বৃহদাংশই প্রকৃতার্থে তথাকথিত স্ট্যাটাস সচেতনতার এক ভ্রান্ত ধারণাতাড়িত। অর্থাৎ যান ব্যবহার যতটুকু আবশ্যক তার চেয়ে অধিক প্রদর্শনমূলক লোক দেখানো। আশ্চর্যজনক তথা হাস্য উদ্রেককারী ঘটনা হলো, এমন অনেক মানুষও আছেন যারা প্রাতঃভ্রমণে বা জিমনেসিয়ামে যান গাড়িতে চড়ে। ভোরের নির্মল হাওয়া সেবনেচ্ছুক এদের ফুসফুস যে স্বীয় যান-ইঞ্জিন নিঃসৃত বিষাক্ত গ্যাসেই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, তা তাদের কাছে অনুপলব্ধ থেকে যায়।
শিক্ষিত জ্ঞানী শহরবাসীর পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রকৃত সচেতনতার এরূপ দৈন্যদশা সত্যিই মর্মান্তিক। তাই তো দেখা যায়, বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য সমস্যায় অধিক জর্জরিত। গ্রামের মানুষ হয়ত পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে রোগভোগের শিকার হচ্ছেন; কিন্তু শহরের মানুষ ভরপুর স্বাচ্ছন্দ্য তথা পুষ্টিকর আহারে উদরপূর্তি ঘটিয়েও নিত্যনতুন মারণব্যাধির কবলে পড়ছেন। ডেঙ্গু, প্ল্যাগ, বার্ড ফ্লু, সোয়াইনফ্লু জাতীয় মারণব্যাধি তো মূলত শহুরে রোগ।
তাছাড়া ডায়াবেটিস, টেনশন, অ্যাসিডিটি, স্প্যান্ডেলাইটিস, স্থূলত্ব প্রভৃতি স্বাস্থ্য সমস্যা শহুরে জীবনের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শহরাঞ্চলে যানবাহন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলে দূষণের প্রকোপ হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো অনেক উপকার লাভ সম্ভব হবে- যেন এক ব্রতে অনেক ফলের মতো। বিষয়টির উপর কিঞ্চিত আলোকপাত করা যাক। শহরাঞ্চলে অনাবশ্যক যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হলে শহর অনেকটাই যানজটমুক্ত হবে এবং অত্যাবশ্যকীয় কাজে যান ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। শহরে এক সুশৃঙ্খল যান প্রণালী বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে। যান ব্যবহারে পরিমিতি নিশ্চিতকরণ জনস্বাস্থ্যের উপর এক অতি অনুকূল প্রভাব ফেলবে। বায়ু ও শব্দদূষণজনিত প্রত্যক্ষ ব্যাধি যেমন চর্মরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্রবণশক্তি হ্রাস প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি সহজরোধ্য হবে। অমøতা, ডায়াবেটিসসহ নানাবিধ মানসিক ও শারীরিক রোগভোগের মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নগামী হবে।
বর্তমান যুগে শহুরে মানুষের মধ্যে স্থূলত্ব বা মেদবহুলতা এক মারাত্মক সমস্যার রূপ পরিগ্রহ করেছে। এক বৃহৎ সংখ্যক নারী-পুরুষ অবাঞ্ছিতভাবে মুটিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দেহসুষ্ঠব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলারা এর ফলে এক চরম অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্থূলতা কেবল এক অনভিপ্রেত দৈহিক বৃদ্ধিই নয়, এ ধরনের মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। কথায় বলে মোটা শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। যান বিলাসিতার ফলে শহুরে একাংশ মানুষ হেঁটে চলা বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ চিকিৎসাশাস্ত্রীরাই বলছেন, নিজেকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। বাজারহাট, অফিস, স্কুল-কলেজ, ক্লাব-পার্টিতে যাবার জন্য যানবাহন ব্যবহার না করে পায়ে হাঁটার অভ্যাস করলে এ মেদবহুলতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। আজকাল শিশুদের গাড়ি করে স্কুলে দিয়ে আসা এবং স্কুল থেকে নিয়ে আসার প্রচলন উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেকটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। একদা ধারণা ছিল যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাই কেবল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। কিন্তু এ ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। এখন অনেক শিশু ও কিশোর যৌবনের আগেই নিজের অজান্তে এ মারণ রোগের স্বীকার হচ্ছে।
হাঁটা খেলাধুলা বা অন্য কোনো প্রকার শারীরিক শ্রম না করে গাড়িতে যাতায়াত তথা ফাস্টফুডের প্রতি অবাঞ্ছিত আকর্ষণই এ বিড়ম্বনার কারণ। গাড়িবিলাসী অভিভাবকরা নিজের সঙ্গে নিজের ছেলেমেয়েদের স্থূলত্বকে প্ররোচিত করে ঘোর বিপদ ডেকে আনছেন। পায়ে হেঁটে চলা যদি শারীরিক সুস্থতা ও দেহ সৌষ্ঠব বৃদ্ধির সহায়ক হয়, তবে তা অবশ্যই কাম্য।
বিলাসপ্রিয় মহিলারা যদি অস্বাভাবিক মুটিয়ে যান, তাহলে তারা যত দামি গাড়িতেই চড়ুন না কেন নিজেকে আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় করে তুলতে পারবেন না। পথচারীর দৃষ্টি গাড়ির সৌন্দর্যে আকর্ষিত হলেও গাড়ির মালিক কিন্তু তার মেদবহুলতার কারণে নিতান্তই উপেক্ষিত ও আলোকহীন থেকে যাবেন। গাড়ি ব্যবহার করুন- তবে বিশেষ প্রয়োজনে, বিশেষ উপলক্ষে। অনাবশ্যক গাড়ি ব্যবহার না করে পায়ে হাঁটুন। এতে স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে- দেহসৌষ্ঠব বৃদ্ধি পাবে। এটা ঠিক যে মেদবহুলতায় জিন, হরমোন ইত্যাদি বিষয় থাকে। তা সত্ত্বেও কায়িক শ্রম ও শরীর চালনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এ জন্যই দেখা যায়, পল্লীবাসী পরিশ্রমী মানুষ নগরবাসীর তুলনায় স্থূলত্ব ও রোগভোগে অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত।
ধারণা করা হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বাধিক মেদবহুল লোকের দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে। বর্তমানে এ দেশে মেদবহুল লোকের সংখ্যা বেশ কয়েক লক্ষ।
এ সংখ্যা আগামী এক দশকে অনেক দূর পর্যন্ত বাড়িয়ে যেতে পারে। বলাবাহুল্য শারীরিক পরিশ্রমের অভাবই মেদবহুলতার মূখ্য কারণ। যান ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ এনে হাঁটার অভ্যাস বাড়ালে স্বাস্থ্যের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক সাশ্রয়ও ঘটবে। ডাক্তার ওষুধ বাবদ খরচ কমবে। যোগ প্রাণায়ামের প্রয়োজন হবে না। জ্বালানি ব্যয় হ্রাস পাবে। সরকারি ব্যয় সংকোচন সম্ভব হবে। ট্রাফিক, পুলিশ, সিগন্যাল, প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ, রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ প্রভৃতি ব্যয় হ্রাস পাবে। কমবে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হারও।
যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আসলে মহার্ঘ পেট্রোপণ্যের মূল্যহ্রাস পাবে এবং দুর্লভ জ্বালানি ব্যবহারে পরিমিতি নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে। জ্বালানি মূল্য হ্রাস পেলে পরিবহন ব্যয় কমবে এবং সে সঙ্গে কমবে যাবতীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য। ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিম্নগামিতায় আপামর উপভোক্তা উপকৃত হবেন। যানবাহন সৃষ্ট বায়ুদূষণ হ্রাস পেলে বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রভাব যে অনেকটাই প্রশমিত হবে, তা বিশেষজ্ঞরা সম্যখ উপলব্ধি করতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, ইউরোপে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলের ফলে ১২ শতাংশ গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপ-আমেরিকার কিছু দেশে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ এনে পরিবেশ রক্ষায় এক সমর্থক ভূমিকা পালনের উদ্যোগ গৃহিত হয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, জার্মানির মফস্বল এলাকা ভবনের অভিজাত সম্প্রদায় নগরায়নের চিরাচরিত ধারা পরিবর্তনের চেষ্টায় শামিল হয়েছেন। এ অঞ্চলের আবালবৃদ্ধবনিতারা গাড়ির ব্যবহার বর্জন করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে এ জেলায় রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করানো, গাড়ি চালানো তথা বাড়িতে গাড়ির গ্যারেজ বানানো সর্বোত্তভাবে নিষিদ্ধ। জার্মানির ভবান জেলার রাস্তাঘাট এখন গাড়িমুক্ত। কিছু নির্দিষ্ট রাস্তায়ই ট্রামে চড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এ জেলায় গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়া হয়, তবে গাড়ি রাখার জন্য যে স্থান নির্দিষ্ট রয়েছে, তা-ও উচ্চ মূল্যের বিনিময়ে। ফলে এলাকার ৭০ শতাংশ মানুষই গাড়ি ক্রয়ে অনাগ্রহী। অবশ্য গাড়িপ্রীতি ত্যাগ করে চকচকে সড়কে বাইসাইকেলে চড়ে কিশোরদের যাতায়াতের দৃশ্যে অনেক প্রবীণও খুশি হন বটে।
ইতালির লেকো শহরের দৃশ্য আরো আকর্ষক। এ শহরে রোজ সকালে কয়েকশ’ স্কুল ছাত্র-ছাত্রী পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পায়ে হেঁটে যাওয়ার প্রবণতা ইতালিতে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে লেকো শহরে স্কুল বাসের সংখ্যাও শূন্য।
২০০৩ সালে ইতালির এক পরিবেশ উন্নয়ন সংগঠক প্রথম শিশুদের পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করে। গোটা বিশ্বে যানবাহন সৃষ্ট মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে গ্রীন হাউস গ্যাসের সংকটজনক বৃদ্ধি, শিশুদের ক্রমবর্ধমান স্থূলতা ও স্থানীয় সড়কে ট্রাফিক সমস্যার মোকাবিলা করতেই পরিবেশ উন্নয়ন সংগঠনটি এ প্রস্তাব দিয়েছিল। বিশ্বায়নের যুগে উষ্ণায়নের পারদের উর্ধ্বমুখী গতি রোধে জার্মানির ভবান বা ইতালির লেকো শহরের মতো অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেও অনুরূপ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আশু আবশ্যকতা রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যানবাহনের অভাবনীয় সংখ্যা বৃদ্ধি ও তৎসৃষ্ট জটিল সমস্যার সমাধানকল্পে এরূপ পরিকল্পনার প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নাতীত।