ঢাকা ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিন্তা ও মননে দেবী দুর্গার দশ অস্ত্র ভাবনা

রূপম চক্রবর্ত্তী, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
চিন্তা ও মননে দেবী দুর্গার দশ অস্ত্র ভাবনা

স্বার্থান্ধতায় মজে জীব দুঃখ ভোগ করেন, আবার অবিদ্যার অধীন হয়ে মায়ার জালে জড়িয়ে সীমাহীন দুর্দশা ভোগ করেন। মা জ্ঞান অসি দ্বারা অবিদ্যার বন্ধন দূর করেন। দুর্গার আরেক অর্থ দুর্জ্ঞেয়। মায়ের কৃপা ছাড়া তাকে জানা যায় না, তাই মা দুর্জ্ঞেয়। দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় পূজা। এই কারণে দুর্গাপূজা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। আর বিস্ময় এই কারণেই যে, তিনি দশভুজা বা দশ হাত বিশিষ্টা নারী এবং দেবীর দশ হাতে দশ রকম অস্ত্র। প্রতি বছর মহা সমারোহে আমরা দুর্গাপূজা করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দুর্গা মায়ের কাছে কৃপা ভিক্ষা করি, যাতে আমাদের জীবনের সব কলুষতা দূরীভূত হয়ে শুদ্ধ জীবন লাভ করতে পারি। আমাদের জীবন সাজানোর সব উপাদান দুর্গাপূজায় পাই, যদি আমরা ভক্তি আর প্রেম নিয়ে মাতৃ কাঠামোর তাত্ত্বিক দিকগুলো নিজের অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারি। লাখ টাকা অথবা কোটি টাকা খরচ করে মাতৃ পূজা করার পাশাপাশি মায়ের কাঠামো সম্পর্কেও আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে। দেবতারা তাদের তেজরাশি দিয়ে দশভুজা নারীকে তৈরি করলেন, এবার তাকে অস্ত্র ও অলংকারে সজ্জিত করার পালা। এক্ষেত্রে যারা যা দান করলেন, তা হলো- মহাদেব দিলেন শূল, বিষ্ণু দিলেন চক্র, বরুণ দিলেন শঙ্খ, অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনু ও বাণপূর্ণ ভূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, ঐরাবত দিলেন ঘণ্টা, যম দিলেন কালদণ্ড, বরুণ দিলেন পাশ, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কম-লূ, সূর্য দিলেন রশ্মি, কাল খড়্গ ও নির্মল চর্ম, ক্ষিরোদ সাগর দিলেন অক্ষয়বস্ত্রসহ বিভিন্ন অলঙ্কার ও আভরণ, বিশ্বকর্মা দিলেন পরশুসহ নানাবিধ অস্ত্র, অভেদ্য কবচমালা, হিমালয় দিলেন সিংহ, কুবের দিলেন অমৃতের পান পাত্র, শেষ নাগ দিলেন নাগহার ও অন্যান্য দেবতারা তাঁদের সাধ্যমতো বিষয় উপহার দিলেন। মায়ের দশ হাতে দশটি অস্ত্র। ডানদিকের পাঁচ হাতের অস্ত্রগুলো উপর হতে নীচের দিকে ত্রিশূল, খড়্গ, চক্র, তীক্ষèবাণ ও শক্তি। বামদিকের পাঁচ হাতের অস্ত্রগুলো খেটক (ঢাল), ধনু, পাশ, অঙ্কুশ, ও ঘণ্টা-কুঠার। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভকে সংহার করতে মর্ত্যে আসেন। কখনও ভেবে দেখেছেন দুর্গার হাতের এই অস্ত্রগুলো কী তাৎ?পর্য বহন করে? বা এই বিভিন্ন অস্ত্র দেবীর হাতে কে তুলে দিয়েছেন? মঙ্গলময়ী দেবী অশুভ বিনাশকারী হয়ে উঠলেন কী ভাবে? আজ জেনে নেয়া যাক মা দুর্গার দশ হাতের নানা অস্ত্রের ব্যাখ্যা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পৃথিবীর দশটি দিকের প্রতিভূ এই দশ হাত। পুরাণে বলা আছে, কুবের, যম, ইন্দ্র, বরুণ, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, নৈঋত, ব্রহ্মা ও বিষ্ণু এই দশ দিক থেকে মহিষাসুরকে বধ করার উদ্দেশ্যে দেবী দুর্গার দশটি হাত সৃষ্টি। দেবীর আবির্ভাবের পর দেবীকে সুসজ্জিত করার জন্য দেবতারা অস্ত্র প্রদান করেন। মায়ের ডানদিকের পাঁচ হাতের অস্ত্রগুলি উপর হইতে নীচের দিকে ত্রিশূল, খড়্গ, চক্র, তীক্ষèবাণ ও শক্তি সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। পার্বতীকে ত্রিশূল দান করেছিলেন স্বয়ং মহাদেব। কথিত আছে, ত্রিশূলের তিনটি ফলার আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা আছে। মানুষ তিনটি গুণ, সত্য, তমঃ, রজঃ-র প্রতীক ত্রিশূলের তিন ফলা। এই ত্রিশূল দিয়েই মহিষাসুরকে বধ করেন তিনি। শাস্ত্র মতে, ত্রিশূল হলো ত্রিগুণের প্রতীক। এই ত্রিগুণ হলো সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ। খড়্গ –যা মহাকালের অস্ত্র। শিবেরই অন্যরূপ মহাকাল। ‘কাল’ অর্থে সময়;-ভূত- বর্তমান-ভবিষ্যৎ, এই তিনটি ‘কালকে’ একত্রে ত্রিকাল বলে। ভূতকাল অর্থে অতীত- যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি কিন্তু যাকে বদলাতে পারি না। ভবিষ্যতে কি হবে, তা আমাদের হাতে নেই- যদি থাকতো, তবে কোনো দুর্ঘটনাই কখনো ঘটতো না! কাজেই আমাদের হাতে রয়ে গেছে শুধুমাত্র বর্তমান কাল। খড়্গ ‘বর্তমান’ কালের প্রতীক। খড়্গটি তুলে ধরে মা যেন আমাদের বলছেন, ‘এখানকার এই মুহূর্তটাই শুধু তোমার হাতে রয়েছে, কাজেই যা করার তা এখনই করে ফেল’। খড়্গ পুরস্কারের প্রতীক। কোথাও কোথাও তা তরবারি হিসেবেও দেখা যায়। এই অস্ত্র একাধারে মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। এতে জড়িয়ে আছে বীরত্ব, শক্তি ইত্যাদির অনুষঙ্গ। মা দুর্গার হাতে বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গে শোভা পায় সুদর্শন চক্র। শ্রীবিষ্ণু মহিষাসুরকে বধ করার জন্য নিজের চক্র থেকে এই চক্রটি সৃষ্টি করে দুর্গাকে দান করেন। সু অর্থাৎ সুন্দর আর ‘দর্শন’ অর্থাৎ দৃশ্যমান। সুদর্শন চক্র হলো ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক স্বরূপ। যে চক্রে ব্রহ্মা- ঘুরছে। বিশ্বকর্মা সুদর্শন চক্র নির্মাণ করেছিলেন শ্রী বিষ্ণুর জন্য। জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য এই সুদর্শন চক্রের সৃষ্টি। মায়ের হাতের এই অস্ত্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক। দেবী দুর্গার হাতে চক্র থাকার অর্থ, সমস্ত সৃষ্টির কেন্দ্রে অবস্থান করছেন দেবী। চক্র দেবীর ডান হাতে থাকে। পবনদেব মাকে দুটি বানপূর্ণ তূনীর মাকে দিয়েছিলেন। এটি জীবাত্মার প্রতীক। বাণ যেমন বায়ু ভেদ করে তেমন সাধকের জীবাত্মারুপী কুল কুন্ডলীনি বাণ ষটচক্র বায়ু ভেদ করে পরম লক্ষ্য পরম ব্রম্মে ভেদ করে। দেবী শক্তি নামক অস্ত্র লাভ করেছিলেন অগ্নির কাছ থেকে। যা খর বুদ্ধির পরিচায়ক। সবচাইতে নীচের হাতে আছে ‘শক্তি’। এটি লোহার তৈরী, বর্শার মতন ছুঁড়ে মারতে হয় দুই হাত তুলে। বহুদূর ছুটে যেতে পারে এই ‘শক্তি’- তবে যেহেতু নিক্ষেপ করা হয়, তাই এটি ‘শস্ত্র’ পদণ্ডবাচ্য ত্রিশূল, গদা, খড়্গ ইত্যাদি যেগুলো নিজের হাতে ধরা থাকে তাকে অস্ত্র বলে; চক্র, বল্লম ইত্যাদি যে গুলো দূর থেকে ছোঁড়া হয়, সেগুলোকে ‘শস্ত্র’ বলা হয়। তীর শস্ত্র কিন্তু ধনুক অস্ত্র। ‘শক্তি’ দৈবকৃপার প্রতীক- এটি ছুঁড়ে দিয়ে ভক্তর বাধা-বিঘ্ন গুঁড়িয়ে দেন মা। এবার বামদিকের পাঁচ হাতের অস্ত্রগুলো খেটক (ঢাল), ধনু, পাশ, অঙ্কুশ, ও ঘণ্টা (কুঠার) সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। খেটক (ঢাল)- খেটক এর বাংলা অর্থ হলো- গদা বা মুগুর; আরেকটা অর্থ ঢাল। যমরাজ দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন গদা- যা কালদণ্ড নামেও পরিচিত। এই অস্ত্র আনুগত্য, ভালোবাসা এবং ভক্তির প্রতীক। সেই সঙ্গে শক্তিরও প্রতীক। দশভূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হলো গদা। কাল বা সময়ের নিকট আমরা অনুগত। কালকে শ্রদ্ধা করা হয়, তাই যম কর্তৃক প্রদত্ত এই অস্ত্র দেবী দুর্গার প্রতি উদ্দেশ্যে মহাপ্রীতি ও আনুগত্য প্রকাশ করায়। দেব দানবমানব সকল শুভ ও অশুভ শক্তির এই মহাশক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই কাল দণ্ড আমরা দেবী দুর্গার বাম হস্তে সম্মোহনকারী শক্তি হিসাবে দেখি। মহাকাল দেবী দুর্গাকে খেটক বা ঢাল প্রদান করেন। এই ঢালও বিভিন্ন জায়গায় মায়ের হাতে দেখা যায়। পবন দেব দুর্গাকে দেন তীর ধনুক। উভয়ই ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় এই তীর ধনুক ব্যবহার করেন ভবানী। দেবী দুর্গার বাম হাতে ধনুর্বাণ বা তীর-ধনুক থাকে। পবনদেব এই অস্ত্র প্রদান করেন। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত বা ঘটনাক্রম আমাদের পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয়, প্রতি পদক্ষেপে জীবের জীবন সেই পরীক্ষা বা যুদ্ধের নামান্তর মাত্র। তাই যুদ্ধে জয় পেতে বা লক্ষ্য স্থির রাখতে তীর-ধনুক কাল্পনিক লক্ষ্যভেদের অস্ত্র হিসেবে দেবীর হাতে সজ্জিত থাকে। বরুণদেব দিলেন পাশ নামের একটা অস্ত্র মাকে দিয়েছিলেন। ওয়েস্টার্ন সিনেমায় কাউবয়দের ল্যাসো ছুড়তে দেখা যায়, পাশ অস্ত্রটি অনেকটা সেই রকম। এটি ত্রিশগাছি দড়ির ত্রৈী, গোল করে গুটিয়ে কোমরে জড়িয়ে রাখতে হয়; শত্রুকে ফাঁসে বেঁধে ফেলার জন্য গোড়াটি নিজের মুঠোয় শক্ত করে ধরে রেখে, দড়িটা মাথার ওপর তুলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছুঁড়তে হয়। দড়ির আগার দিকে সাপের জিভ এর তীক্ষ্ণ ফলা থাকে বলে এটিকে নাগপাশ বলে। প্রচলিত দুর্গামূর্তিতে এই নাগপাশকে সত্যিকার সাপের মূর্তি দিয়ে বোঝানো হয়। মাহুতরা অঙ্কুশ ব্যবহার করে হাতিকে চালানোর জন্য- এটি অস্ত্র বা শস্ত্র, কোনোটাই নয়। তাহলে অঙ্কুশ দিয়ে মা কি করছেন? মায়ের নাম মহামায়া- তিনি মানুষকে বদ্ধ করেন, ভুলিয়ে রাখেন রূপ-ধন-যশ-শত্রুদমন-জয়গৌরব-দিয়ে। সাধারণ মানুষ মাকে চায় না, মায়ের ঐশ্বর্য্য চায়- তাই বারবার জন্মণ্ডমৃত্যু-পুর্ণজন্মের শৃঙ্খল তারা বন্ধ হয়ে থাকে। তাই মায়ের হাতে পাশ। আবার তিনিই মাঝে মাঝে অঙ্কুশ এর খোঁচা মেরে মনে করিয়ে দেন, “মানুষ জন্মের আসল উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ।” মহামায়া রূপে যিনি পাশবদ্ধ করেন, যোগমায়া রূপে তিনিই মুক্তি পথে চালনা করেন। বিশ্বকর্মা, যিনি দেবশিল্পী হিসেবে প্রসিদ্ধ তিনি দেবীকে পরশু (টাঙি বা কুঠার) দিয়েছিলেন। বাঁদিকের একদম নীচের হাতে কুঠার থাকে। এটি অত্যন্ত ধারালো অস্ত্র- এ হাত লম্বা দণ্ডের মাথায় লাগানো হয়ে অর্ধচন্দ্র আকৃতির তীক্ষধার ফলা। পরশুরাম এই অস্ত্র দিয়েই লড়াই করতেন। মায়া বলতে আত্মীয়-স্বজনের প্রতি স্বার্থযুক্ত ভালোবাসা বোঝায়। মায়ার বাঁধন কাটা সহজ নয়- ‘জড়ায়ে আছে বাধা, ছাড়ায়ে যেতে চাই; ছাড়াতে গেলে ব্যথা বাজে।’ এই মায়ার বন্ধন এক কোপে কেটে দেয়ার জন্যই মা কুঠার হাতে নিয়েছেন। বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গে দেবীর হাতে থাকে ঘণ্টা। পুরাণে কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত দুর্গাকে এই ঘণ্টা দিয়েছিলেন। ঘণ্টা ধ্বনি অসুরদের তেজকে দুর্বল করে। ঘণ্টার ধ্বনিতে যুদ্ধের সূচনা হয়। শাঁখণ্ডঘণ্টার মিলিত নিনাদে অশুভ শক্তির বিনাশের কাল ঘোষিত হয়ে থাকে। দেবীর বাম হাতে থাকে ঘণ্টা। দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত ঘণ্টা অস্ত্রটি দেবীকে প্রদান করেন। ঘণ্টা আসুরিক শক্তিকে দুর্বল করে। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে বর্ণিত আছে দেবী মহিষাসুরকে যুদ্ধে আহ্বান করার সময় সতর্কবার্তা স্বরূপ দেবী অট্টহাসি হাসেন এবং শাঁখ ও ঘণ্টার ধ্বনিতে তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। দেবী দুর্গা মহামায়া, মহাকালী, মহালক্ষ্মী, মহা সরস্বতী, শ্রীচন্ডী প্রভৃতি নামেও পরিচিত। সর্ব শক্তির আধার আদ্যশক্তি হলেন মা দুর্গা। মা দুর্গা নামের মধ্যেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি দূর্গমাসুর নামক এক দৈত্য কে বধ করে দুর্গা নামে খ্যাত হন। মা দুর্গা শত্রুর কাছে, পাপীর কাছে যেমন ভয়ংকর তেমনি সন্তানের কাছে তিনি স্নেহময়ী। ঈশ্বরের মাতৃরুপের নাম হচ্ছে মা দুর্গা, দেবী মহামায়া। সুর-অসুর সংঘর্ষ সর্বত্র। আমাদের অন্তরে, সমাজে, দেশে দেশে দেব শক্তি ও অসুর শক্তির বিরোধ চলছে। মা অসুরকে বিনাশ করতে, আমাদের দম্ভ, দর্প, অজ্ঞানতা ইত্যাদি দূর করে আমাদের শুভ পথে আনতে যদি আঘাতও করেন তাও কল্যাণের জন্যই করেন। ভক্তি আর প্রেমে আমাদের মাতৃ ভাবনাকে জাগ্রত করব। অন্তসারশুন্য বিবেকহীন না হয়ে, নিষ্ঠা ও ভক্তির সঙ্গে মায়ের পূজা করি। মায়ের মন্দিরে এমন কোনো নাচ, গান, মিউজিক বা আচরণ না করি যা মনকে নির্মলতা, প্রসন্নতা না দিয়ে বরং মনকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়। মায়ের পূজা যেন ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যতাকে ছাপিয়ে শুধু আনন্দ উৎসবে পরিণত না হয়। আসুন সবাই মিলে এই প্রর্থনা করি, মা তুমি অশুভ শক্তি বিনাশ কর, তুমি আমাদের শক্তি প্রদান কর যাতে আমরাও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি। শুভ শক্তিকে তখন জাগ্রত করতে পারব যখন মায়ের শ্রীচরণে ভক্তি আর প্রেম নিয়ে আমাদের সমস্ত কলুষতা অঞ্জলি দিতে পারব। ধ্যানমন্ত্র অনুসারে মায়ের প্রতিমা না গড়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো মায়ের মূর্তি নির্মাণ করলে তো আর আমরা শুভ শক্তিকে জাগ্রত করতে পারব না। তাই চলুন সবরকম তামসিকতা বিসর্জন দিয়ে সাত্ত্বিক পূজায় সবাই মনোনিবেশ করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত