এ মরজগতে মানুষ শান্তি লাভের জন্য সারাজীবন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবন থেকে আরম্ভ করে পারিবারিক জীবন, সমাজজীবন তথা রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি সকলেরই কাম্য। যুগে যুগে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্যজনরা শান্তির ধর্ম ইসলামের শিক্ষাকে আপন করে এ ধরায় শান্তির নীড় স্থাপন করেছেন। ইতিহাসে এর ভূরিভূরি প্রমাণ রয়েছে। এ ধারা এখনও অব্যাহত আছে। ‘ইসলাম’ শব্দটি আরবি ‘সালামা’ থেকে জাত, যার আভিধানিক অর্থ শান্তি বা আত্মসমর্পণ। আরবি ‘মুসলিম’ শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণকারী অর্থাৎ যে মানুষ তার জীবনের সবকিছু বিশ্ববিধাতার কাছে আত্মসমর্পণ করতে সক্ষম হয়েছে, সেই প্রকৃত মুসলিম। কোরআন বলে ‘বলো, আমার নামাজ, আমার ত্যাগ, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু সারা জাহানের প্রভু, আল্লাহর জন্য’ (০৬ : ১৬২)। দুজন মুসলিমের দেখা হলে পরস্পরকে সালাম করতে হয়।
‘আচ্ছালামু আলাইকুম’। মানে আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। পবিত্র কোরআন মানুষকে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পথ বাতলে দিয়েছে। এ মর্মে কোরআনের ঘোষণা ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা ধৈর্য্য ও নামাজের মাধ্যমে (আমার) সাহায্য চাও; নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সঙ্গে আছেন’ (০২ : ১৫৩)।
এরই মধ্যে হয়তো একাংশ পাঠকরা অবচেতন মনে বলতে চলেছেন যে, আরে মশাই এসব ন্যাকামি ছাড়ুন। ইসলাম জেহাদের ধর্ম, সন্ত্রাসবাদীর ধর্ম, মৌলবাদী, চিন্তাধারার ধারক ও বাহক। হ্যাঁ, ঠিকই ধরতে পেরেছেন। কারণ, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ইসলামি জেহাদের নামে একাংশ পথভ্রান্ত তথাকথিত মুসলিমদের দ্বারা অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড বিশ্বের নানা দেশে সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব মুসলিম এসব প্রতিক্রিয়াশীল কার্যকলাপের উপর কদাপিও ইসলামের সিলমোহর প্রদান করেনি বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামি বিশেষজ্ঞরা তথাকথিত জেহাদের নামে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে মহাপাপ বলে ফতোয়া দিয়ে বিশ্ব সমাজের সম্মুখে নিজেদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেছেন। সর্বোপরি এসব ঘটনাবলির সাথে রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বলা যায়।
এমন অনেকে রয়েছেন, যারা ইসলামের বিষয়ে যথাযথভাবে পড়াশোনা না করে, শুধু ইসলামবিদ্বেষী কিছু মানুষের লেখা বই-পুস্তক পড়ে বা যে-কোনো ভাষায় কোরআনের সাধারণ অনুবাদ পাঠ করে ইসলাম তথা মুসলমানদের প্রতি ভুল ধারণাবশত বিদ্বেষী হয়ে উঠেন। এ প্রসঙ্গে ভারতের একজন বিখ্যাত পণ্ডিত স্বামী লক্ষ্মী শংকরাচার্যের বিষয়ে উল্লেখ না করে পারলাম না। এক সময় তিনি ইসলামের বিষয়ে ভুল তথ্যাদি সংগ্রহ করে ইসলামিক আতঙ্কবাদ ইতিহাস‘ এমন গ্রন্থ রচনা করে প্রচার করেন যা বহুলভাবে প্রচার লাভ করে। আসলে পবিত্র কোরআনের ভুল অনুবাদ পড়ে তার মনে এ ধরনের ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর এ বইটি বিভিন্ন মহলে নিন্দিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ইসলামি পণ্ডিতদের এ বিষয়ে বিভিন্ন ভাষণ মনোযোগ সহকারে শোনেন যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। পরবর্তীতে পণ্ডিত মহাশয় ইসলামের প্রকৃত জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশ করে নিজের ভুল ধারণা ও কর্মের জন্য সমগ্র মুসলমান সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এখানেই শেষ নয় তিনি তাঁর বইটি বাজার থেকে উঠিয়ে নিয়ে ইসলাম আতঙ্ক ইয়া আদর্শ’ নাম দিয়ে আরেকটি বই রচনা করে প্রকাশ করেন। তিনি ইসলাম ধর্মের মহান শিক্ষা মানবসমাজে তুলে ধরেন। পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর বাণীসমূহের সংকলন। যেহেতু এটা মানব রচিত কোনো গ্রন্থ নয়, অতএব কোরআনের জ্ঞান শাশ্বত এবং সব ধরনের ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে। স্যার উইলিয়াম মুর তাঁর বহু বিতর্কিত গ্রন্থ’ ‘ঞযব খরভব ড়ভ গধযড়সবঃ’-এ উল্লেখ করেছেন যে, মানুষ তাঁর সীমিত জ্ঞানের জন্য অনেক সময় যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে না পেরে ভুল ধারণার শিকার হয়। তাই পবিত্র কোরআনের মহান শিক্ষালাভের জন্য সাধনার প্রয়োজন। বাজার থেকে যে-কোনো লেখকের অনুবাদগ্রন্থ পাঠ করলেই কোরআনের বিষয়ে জ্ঞানী হওয়া যায় না। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন বাণীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। যেমন কোরআন বলে-
১) নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচার ও সৎকর্ম করতে এবং আত্মীয়-স্বজনদিগকে দান করতে আদেশ করেছেন এবং অশ্লীলতা ও দুষ্কার্য ও বিদ্রোহী (অত্যাচারী) হতে নিষেধ করেছেন। তিনি উপদেশ প্রদান করেছেন যেন তোমরা স্মরণ কর (১৬ : ৯০)। ২) হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায়পরায়ণতার সাথে সাক্ষ্যদানকারী সুবিচার প্রতিষ্ঠাতা হও এবং কোনো সম্প্রদায়ের শত্রুতা হেতু তোমরা সুবিচারের অন্যথা করো না; তোমরা সুবিচার করো; যা ধর্মভীরুতার নিকটবর্তী এবং আল্লাহকে ভয় করো; তোমরা যা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তদবিষয়ে পরিজ্ঞাত (০৫ : ০৮)। সুবিচার তথা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে ইসলাম চৌদ্দশত বৎসরেরও আগে যে নির্দেশ দিয়েছে তা বর্তমান আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগেও বৈপ্লবিক বলা যায়। যেমন আল-কোরআন দীপ্তকণ্ঠে আহ্বান জানিয়েছে- হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে সাক্ষ্যদানকারী সুবিচার প্রতিষ্ঠাতা হও এবং যদিও তা তোমাদের নিজের অথবা পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতিকূল হয়; যদি সে সম্পদশালী অথবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহই তাদের জন্য যথেষ্ট; অতএব, সুবিচারে স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না এবং যদি তোমরা নীরব থাক অথবা বিরত হও, তবে তোমরা যাহা করছ তদবিষয়ে নিশ্চয়ই আল্লাহ পরিজ্ঞাত (০৪ : ১৩৫)। এই একটি আয়াত যথাযথভাবে মেনে চললে বিশ্বমুসলিম জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করত তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। কোরআন আরো বলে- ১) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে আদেশ করছেন যে, গচ্ছিত- বিষয় তার অধিকারীকে অর্পণ করো এবং যখন তোমরা লোকদিগের মধ্যে বিচার-মীমাংসা করো, (তখন) ন্যায় বিচার করে; অবশ্যই আল্লাহ উত্তম উপদেশ দান নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী পরিদর্শক (০৮ : ২৮)। ২) যারা সুন (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী ও মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল; আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন (০৩ : ১৩৪)। ৩) এবং তোমরা অত্যাচারীদিগের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, অন্যথায় নরকাগ্নি তোমাদিগকে স্পর্শ করবে...(১১:১১৩)। এভাবে এ পবিত্র কোরআন সমগ্র মানবজাতিকে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
কোরআন ঘোষণা করেছে- * সমগ্র মানবম-লী এক জাতি (০২:২১৩)। * ‘হে মানবগণ, নিশ্চয় আমি তোমাদিগকে একই পুরুষ ও একই নারী হতে সৃষ্টি করেছি এবং আমি তোমাদিগকে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও বিভিন্ন বংশ করেছি- যেন তোমরা পরস্পরকে পরিজ্ঞাত হও; নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের সংযমশীলতাই সম্মানজনক; নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী সর্বজ্ঞ’ (৪৯ : ১৩)। এটা যেন কোরআনের ইউনিভার্সাল হিউম্যান ডিক্লারেসন। দেশ, মহাদেশ, বর্ণ, ভাষা, গোত্র ইত্যাদির বিভিন্নতা থাকলেও মানুষ মূলত সৃষ্টির সেরা, একই জাতি। কোরআন বলে- ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে অত্যুৎকৃষ্ট আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি’ (৯৫ : ০৪)। অর্থাৎ মানুষকে সৃষ্টির সেরা বানিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।
আর্থিক বিষয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করে সুদ নিষিদ্ধ করেছে (০২ : ২৭৫)। ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান কমাতে ধনীদের জন্য জাকাত প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে (০৯ : ৩৪-৩৫)। এসব বিষয় কোনো আধুনিক অর্থনীতিবিদের দেয়া কোনো থিয়োরি নয়, বরং প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগে পাঠানো মহান আল্লাহর নির্দেশ যা চিরকালীন বলে মেনে নিতে কোনো অসুবিধা আছে বলে মনে হয় না। কোরআন হারামণ্ডহালালের ব্যাপারে মানবজাতিকে সতর্ক করে দিয়েছে। এ মর্মে আল্লাহর ঘোষণা- ‘হে মানবগণ, পৃথিবীর মধ্যে যা বৈধ পবিত্র, তা হতে ভক্ষণ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (০২ : ১৬৮)। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ গ্রাস করতে নিষেধ করেছে আল কোরআন (০৪ : ২৯)। ওজনে কম-বেশি করে মানুষকে প্রতারণা করতে নিষিদ্ধ করেছে আল্লাহর মহাগ্রন্থ। কোরআনের উপদেশ- * ....এবং যখন তোমরা কিছু পরিমাপ করবে (তখন) পূর্ণ পরিমাণে প্রদান করবে এবং সঠিক পরিমাণে প্রদান করবে এবং সঠিক পরিমাণে ওজন করবে; এর পরিণাম উত্তম ও কল্যাণকর’ (১৭:৩৫)।* এবং নভোমণ্ডল- তিনি একে সমুচ্চ করেছেন এবং তিনি তুলাদণ্ড প্রচলিত করেছেন, যেন তোমরা পরিমাপে কমবেশি না করো এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিমাণ প্রতিষ্ঠিত কর এবং পরিমাপে হ্রাস করো না। (৫৫ : ০৭-০৯)। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে, ন্যায়প্রতিষ্ঠা ও শান্তি স্থাপন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এরই মধ্যে হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, ইসলাম যদি শান্তি ও ন্যায়ের ধর্ম, তবে ইসলামি দুনিয়ায় এত অন্যায় আর অশান্তি কেন? সারা বিশ্বে যদিও পঞ্চাশেরও অধিক মুসলিম রাষ্ট্র রয়েছে, তবে এসবের মধ্যে এমন ক’টি রাষ্ট্র রয়েছে যারা পবিত্র কোরআনের শিক্ষা মেনে চলে? যার ফলে একাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা মেনে চলে না বলেই এসব রাষ্ট্রে অশান্তি লেগে থাকে। ফলত, সুযোগ নেয় ইসলামের শত্রুরা। ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের কাজিয়া লাগিয়ে দেয় আর শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে কোনো কোনো দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে। এদের বিষয়ে কোরআন বলে- ....এবং যখন তাদের বলা হয় যে, তোমরা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না; তারা বলে আমরা শান্তি-স্থাপনকারী ব্যতীত নই। সতর্ক হও। নিশ্চয় তারা অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা বুঝছে না (০২ : ১১-১২)। আজকাল অর্ধসত্য প্রকাশ করে প্রতারণা করা বা কারো বদনাম করা একটা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ পবিত্র কোরআন দেড় হাজার বছর আগে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। তোমরা সত্যকে অসত্যের সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না (০২ : ৪২)।
আমরা জানি ইসলামি বিধানে বিনা বিচারে কোনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা নিষিদ্ধ ও মহাপাপ। কোরআন বলে- ‘যদি একজন অন্যজনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে অথবা ভূমণ্ডলে অশান্তি সৃষ্টি করে, তবে যেন সে সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করল এবং যে কারো জীবন রক্ষা করল, সে যেন সমগ্র বিশ্বমানবকে রক্ষা করল...’ (০৫ : ৩২)।
বর্তমানে একাংশ অসাধু মানুষ অনেকটা পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ও মুসলমানদের বদনাম করতে অহরহ চেষ্টায় রত আছেন বললে বোধহয় ভুল হবে না। এমনকি, একাংশ মানুষ এসব অন্যায় কর্মের প্রতিবাদ না করে এক ধরনের নীরব সমর্থন জানিয়ে নিজেদের অজান্তে সকলের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। আমাদের মনে রাখা উচিত, সময় কাউকে ক্ষমা করে না, করবেও না।
তাই নিরপেক্ষভাবে বিচার করলে মনে-জ্ঞানে এটা প্রতীয়মান হয় যে, পবিত্র কোরআন তথা ইসলামের শিক্ষার অবহেলা থেকে সমাজে সকল বিশৃঙ্খলার উদ্ভব। শুধু লোক দেখানো ভেকধারী মুমিন হলে চলবে না, হতে হবে প্রকৃত মুসলিম। এদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের নির্দেশ- বিশ্বাসীরা! ‘তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো, আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (০২:২০৮)। মুসলমান হিসাবে জীবনযাপন করতে হলে ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অন্ধবিশ্বাস, পশুসুলভ চরিত্র নিয়ে আর যা হোক, প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায় না। পৃথিবীতে ন্যায়, শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের অবদান অতুলনীয়। বিদায় হজের ভাষণে বিশ্বনবী উদাত্ত কণ্ঠে মানবজাতির প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। জগতে সাম্য ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বনবীর এ শেষ আহ্বান অনুসরণ মানবজাতির জন্য অত্যাবশ্যক বলা যায়।