ঢাকা ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত?

ম. ইলিয়াস হোসেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত?

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংবাদ হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হওয়া উচিত? গভীর রাতের টকশো থেকে শুরু করে, সকল প্রিন্ট এবং ইলেট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক দলের মধ্যেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ বলছেন তিন মাসের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন দিয়ে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, কেউ বলছেন কিছু মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া, আবার সুশীল সমাজের অনেকেই মনে করছেন, এই সরকার, গত ১৫ বছরের সকল জঞ্জাল দূর করতে রাষ্ট্র সংস্কারে হাত দিক, তাতে যদি তিন থেকে ছয় বছর সময় লাগে তাতেও সমস্য নেই? রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, ফ্যাসিবাদের পতনের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা, যার আলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে একটি শান্তিপুর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

দেশের অপর একটি অংশ মনে করে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের যে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে নির্বাহী বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিজিবি এবং আনসারসহ দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে সাধারণ জনগণের কাছে বিতর্কিত করেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করাসহ যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান থাকা প্রয়োজন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়। অতঃপর ৮ আগস্ট, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় তারুণ্যনির্ভর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, এই আন্দোলনের প্রধান ‘ভ্যান-গার্ড’ ছিল আমাদের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা।

বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলনের মুখে পরাজিত ফ্যাসিবাদী সরকারের সৃষ্ট রাষ্ট্র কাঠামোতে, গত ১৫ বছরে যে ঘুণপোকা বাসা বেঁধেছে, তা দ্রুত নির্মূল করা খুব সহজ হবে না। তদুপরি আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের এখন একটিই দাবি, তা হলো রাষ্ট্র-সংস্কার। সেই দাবি পূরণ করতে হলে বর্তমান সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ‘রাষ্ট্র-সংস্কার’ শব্দটি ক্ষুদ্র হলেও এর ব্যাপকতা অনেক বেশি। দেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনিতিক, লেখক, গবেষক এবং সুশীল সমাজসহ অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিরা রয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই রাষ্ট্র-সংস্কারের বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন।

তবে আমি কোনো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নই, কিংবা কোনো সংবিধান বিশেষজ্ঞও নই। আমি সহজে যেটি বুঝি, রাষ্ট্রের অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আছে, আছে ’৭২-এর সংবিধান, অনেক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এসবের সংস্কারের জন্য প্রয়োজন বুদ্ধিভিত্তিক ইনপুট এবং পর্যাপ্ত সময়। এমন সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার সংস্কার ছয় মাসে সম্ভব, কোনোটা এক বছর, আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এক বছরের অধিক সময়ও লাগতে পারে। এসব বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে সর্বাগ্রে দরকার সংস্কারের গুরুত্ব অনুযায়ী একটি প্রায়রিটি লিস্ট করা। অতপর, সেই প্রায়রিটি অনুসারে সংস্কার কার্যক্রমে মনোনিবেশ করা। এ প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের উচিত একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত করা। তাহলে দেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি হবে। অন্যথায় সাধারণ জনগণের মনে নতুন আশঙ্কার জন্ম নিতে পারে।

আমি মনে করি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী এবং জবাবদিহিমূলক করা। কারণ দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যাবহার শুরু হয় গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায় থেকে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় নতুন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা ক্ষমতার ভারসাম্যসহ দুর্নীতি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে একে শক্তিশালী করতে হলে, স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে একেবারে রুট লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। যেমন, গ্রাম থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, এর পরে জেলা এবং জাতীয় নির্বাচন। স্বাধীনতা পরবর্তী গতানুগতিক পদ্ধতি পরিহার করে গ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নতুন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে নির্বাচন-পরবর্তী ফলাফলকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করার সুযোগ না থাকে। এমন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারলে সমাজে থাকবে না কোনো বৈষম্য এবং দুর্নীতি, রোহিত হবে প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

আমাদের ছোটবেলায় গ্রাম সরকার পদ্ধতি চালু হয়েছিল, পরবর্তীতে উপজেলা পদ্ধতি চালু হয়; কিন্তু সরকারের নীতির ধারাবাহিকতার অভাবে এর আবেদন সর্বজনীন না হওয়ায় সেটি টিকে থাকতে পারেনি, কারণ পুজিবাদী সমাজে সামন্তবাদের প্রভাবে তা হারিয়ে যায়। আমাদের দেশে যে প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে জেলা, এমনকি জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ক্ষমতা (ম্যাসল পাওয়ার) এবং অর্থ লেনদেনের প্রভাব মুক্ত রাখা খুবই কঠিন। এক্ষেত্রে গ্রাম থেকে জাতীয় নির্বাচন, সকল ক্ষেত্রেই ব্যাপক অর্থ লেনদেন হয় যা নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক ওই অর্থ উত্তোলনের প্রয়োজনে দুর্নীতি করতে বাধ্য হয়। তাই এধরনের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পরিহার করে একটি নতুন পদ্ধতি অনুসরন করা যেতে পারে। আমার ধারণা, এতে একক ক্ষমতার অবসান হবে। শুধু তাই-ই নয়, এতে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। আসলে আমাদের শুরু করতে হবে গ্রাম পর্যায় থেকে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার পদ্ধতি এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিম্নরূপে সংশোধন করা যেতে পারে-

প্রতিটি গ্রামে ‘গ্রাম পরিষদ সরকার’ নামে একটি সরকার ব্যবস্থা থাকবে, যার প্রধান হিসেবে একজন ‘গ্রাম সরকার প্রধান’ (হেড ম্যান) থাকবে। উক্ত গ্রাম সরকার প্রধানের অধীনে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটির সকল সদস্যকেই স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ক. শিক্ষা সম্পাদক, খ. ক্রীড়া সম্পাদক, গ. পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সম্পাদক, ঘ. মহিলা ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক, ঙ. বন ও পরিবেশ সম্পাদক, চ. অর্থ ও বাজেট সম্পাদক, ছ. ধর্ম সম্পাদক, জ. কৃষি সম্পাদক, ঝ. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, ট. সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঠ. যোগাযোগ সম্পাদক, ড. পানি সম্পাদক, ঢ. আইন ও বিচার সম্পাদক, ণ. দুর্যোগব্যবস্থাপনা সম্পাদক, ন. নির্বাহী সম্পাদক-১ (প্রথম সদস্য সচিব) এবং প. নির্বাহী সম্পাদক-২ (দ্বিতীয় সদস্য সচিব)।

গ্রাম সরকারের অনুরূপ ইউনিয়ন পরিষদ সরকার, উপজেলা পরিষদ সরকার এবং জেলা পরিষদ সরকার থাকবে। প্রত্যেক সরকারের গঠনতন্ত্রে একই সংখ্যক সদস্য থাকবে। প্রত্যেক সরকারের প্রধান হিসেবে একজন প্রধান থাকবেন, যার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারের আদলে স্ব স্ব গ্রাম-ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলার সার্বিক উন্নয়নে নিজ নিজ বিভাগের বাৎসরিক বাজেট প্রণয়নসহ সকল বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক সম্পাদকের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে স্থানীয় পর্যায়ের দুর্নীতি ব্যাপক হারে কমবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনে তাদের বিশেষ ভোটিং ক্ষমতা থাকবে। যেমন- গ্রাম সরকারের ভোটিং ক্ষমতা ১৫, অন্যান্য সম্পাদকের ক্ষমতা ১০। ‘ইউনিয়ন পরিষদ সরকার’র অধীনেও ১৬ জন সম্পাদক থাকবেন, যাদের ভোটিং ক্ষমতা ইউনিয়ন সরকার প্রধানের ক্ষেত্রে ২০ এবং সম্পাদকদের ক্ষেত্রে ১৫ হতে পারে। একইভাবে উপজেলা সরকার প্রধানের ভোটিং ক্ষমতা ২৫ এবং তার সম্পাদকদেও (১৬ জন) ভোটিং ক্ষমতা ২০ করা যেতে পারে, জেলা পরিষদের প্রধানের ভোটিং ক্ষমতা ৩০ এবং সম্পাদকদের ২৫ করা যেতে পারে।

এই ভোটিং ক্ষমতা জাতীয় নির্বাচনের (সংসদ নির্বাচন) ভোটের সাথে সন্নিবেশ করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন, বিশেষ করে সংসদ নির্বাচন সাধারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমে হতে হবে। তবে ভোট গণনার ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের ভোটের ফলাফলকে ৭৫ শতাংশের মাধ্যমে গণনা করতে হবে এবং অবশিষ্ঠ ২৫ শতাংশ ভোট সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার সকল গ্রাম সরকার, ইউনিয়ন সরকার, উপজেলা-জেলা পরিষদ সরকার এবং তাদের সম্পাদকদের ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করতে হবে। এতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধিদের একক ক্ষমতা, দম্ভ এবং প্রভাব কিছুটা হলেও খর্ব হবে, ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার উপায় তৈরি হবে বলে আমি মনে করি। স্থানীয় সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে গ্রাম সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ সরকার চালু করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে উপজেলা এবং পরবর্তীতে জেলা পরিষদ সরকার নির্বাচন করে একটি সর্বজনীন সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হতে পারে।

এবার আসা যাক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সংক্রান্ত যৌক্তিক সময়ের বিষয়। যদি আমরা নির্বাচনের ইস্যু নিয়েই কথা বলি, তাহলে সকল পর্যায়ের নির্বাচনসম্পন্ন করতে যে সময় লাগবে তা নিম্নরূপ-

১. দেশের এই মুহূর্তে চলমান সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক হতে সময় প্রয়োজন ন্যূনতম তিন মাস। (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২৪)। ২. রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য প্রায়রিটি লিস্ট তৈরি এবং নির্বাচনের রোড ম্যাপ প্রস্তুত করতে সময় প্রয়োজন তিন মাস। (জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৫)। ৩. গ্রাম এবং ইউনিয়ন সরকারের নির্বাচনে সময় প্রয়োজন দুই মাস। (এপ্রিল থেকে মে ২০২৫)। ৪. উপজেলা এবং জেলা পরিষদ সরকার নির্বাচনে সময় প্রয়োজন দুই মাস। (জুন থেকে জুলাই ২০২৫) ৫. দেশের অন্যান্য নির্বাচন যেমন সিটি কর্পোরেশন, মেয়র ইত্যাদিতে সময় প্রয়োজন দুই মাস। (আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বও ২০২৫)। ৬. দেশের সংবিধান এবং কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের ক্ষেত্রে জনগণের মান্ডেট গ্রহণে রেফারেন্ডামের আয়োজন করতে সময় প্রয়োজন দুই মাস। (অক্টোবর থেকে নভেম্বর ২০২৫)। ৭. সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সময়ের প্রয়োজন তিন মাস। (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৬)। ৮. সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে, জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে আয়োজন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

প্রিয় পাঠক, উপরে বর্ণিত সকল ধারণা আমার নিজস্ব। আমার বিশ্বাস, বর্তমান সরকার উক্ত সময়সীমার মধ্যেই রাষ্ট্র-সংস্কারের নিমিত্তে প্রস্তুতকৃত রোডম্যাপ অনুযায়ী সকল গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে, এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। তবে কিছু কিছু সংস্কার আছে যার কার্যক্রম চলমান থাকতে পারে। এই সময়সীমা যদি যৌক্তিক মনে হয়, তাহলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা বিবেচনা করতে পারে। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এর থেকে বেশি সময়ের প্রয়োজন মনে করে, তাহলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ জনগণের মনে নতুন আশঙ্কার জন্ম দিবে। বিষয়টি বিবেচনার যোগ্য বলে আমি মনে করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত