ঢাকা ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিশ্ব রাজনীতিতে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ

অভিজিৎ বড়ুয়া অভি, কথা সাহিত্যিক, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিশ্ব রাজনীতিতে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ

গত মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নভেম্বরে পর্যটকরা যেতে পারলেও রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যেতে পারবেন, থাকতেও পারবেন। তবে দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন না। ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না। এ সময় আরেক উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করা হবে। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সীমিত থাকবে। দ্বীপ পরিবেশবান্ধব করার জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ (একবার ব্যবহারযোগ্য) প্লাস্টিক নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং ডিয়েগো গার্সিয়ার মধ্যে একটি সমান্তরাল রেখা টানা যেতে পারে, যা ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ যেখানে স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন সামরিক নৌঘাঁটি ছিল। দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-রাজনৈতিক এক খেলা শুরু হয়েছে।

তিনটি রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও পাকিস্তান, ‘অর্কেস্ট্রেটেড বিপ্লব’এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনে প্রধানত জড়িত বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি, বর্তমান সংকটে আরেকটি মূল বিষয় হচ্ছে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ। মাত্র ৮ বর্গ কিমি. জুড়ে অপেক্ষাকৃত ছোট দ্বীপ হওয়া সত্ত্বেও, দ্বীপটি উল্লেখযোগ্য কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। এটি বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসাবে কাজ করে, এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রবেশদ্বার। ভারত ও চীন উভয়ের সাথেই এর নৈকট্য ও কৌশলগত মূল্যকে আরো জোরদার করে। ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-রাজনীতি, বাণিজ্য, বাংলাদেশের অবস্থান এবং উদ্বেগ আসলে একটি নতুন শীতল যুদ্ধের জন্ম দিয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক বা ইন্দো-প্যাসিফিক এশিয়া হলো বিশ্বের বিশাল বৈচিত্র্যময় জৈব-ভৌগোলিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। যা ভারত মহাসাগরের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জল এবং পশ্চিম ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগর নিয়ে গঠিত। বিশ্ব বাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই রুটটি দিয়ে বিশ্বের তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগ পণ্য পরিবহন হয়। বঙ্গোপসাগর, ইন্দো-প্যাসিফিকের ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর সেই কারণে বাংলাদেশ সবার আগ্রহের বিষয়। এটি একেবারেই নিশ্চিত যে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তি হয়ে ওঠা চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যাতে মার্কিন অর্থনীতির উন্নতি অব্যাহত থাকে এবং তার বিশ্বে কর্তৃত্ববাদ ও নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী থাকে। চীন, মার্কিন এই উদ্যোগকে চীনকে বাদ দেয়ার এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের একটি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে মনে করে। এদিকে চীন বেআইনি সামুদ্রিক শিপিং লেনকে হুমকি দিচ্ছে এবং চীনের (পিআরসি) সীমানা বরাবর অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। এই উত্তপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ, এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ বঙ্গোপসাগর হলো ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট জোন এবং পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্যের প্রধান পথ। সুতরাং ভৌগোলিক তাৎপর্য এবং উভয় মার্কিন ও চীন বৃহৎ শক্তির সাথে তার সম্পর্কের কারণে, একটি পক্ষ বেছে নেয়া বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি বলে মনে করতো বিগত হাসিনা সরকার। কিন্তু তার পতনে পরিস্থিতি চীনের অনুকূলে নয়। কারণ বর্তমান সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাব।

জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে, বাংলাদেশ সরকারের বিআইআইএসএস এবং জাপান সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরকে অন্তর্ভুক্ত এবং ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে, জাপান বর্তমানে মাতারবাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে। যা ‘বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’-এ ব্যাপক অবদান রাখবে, যাকে বিগ-বিও বলা হয়। এই ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিকের কৌশলগত বাণিজ্য রুটে অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ এখন পরাশক্তি গুলোর কৌশলের অংশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন ভূ-রাজনীতির ষড়যন্ত্রে এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়ে গেছে। একদিকে ভারত ও পাকিস্তানের বৈরিতাই, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বৈরিতা এবং এখন চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এর প্রভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। তাছাড়াও চীন-ভারত বৈরিতা বাংলাদেশের জন্য আরেক সমস্যা। বাংলাদেশ ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড (ওবিওআর) উদ্যোগের একটি অংশ এবং এর কৌশলগত অবস্থান চীনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর চীনের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই করিডোরে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা এর গুরুত্ব তুলে ধরে। উপরন্তু, চীন চট্টগ্রাম বন্দরসহ বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণে জড়িত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কাজ করতে চায়। এদিকে আরাকান আর্মি (এএ) চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে। এএ এই বছরের শুরুতে চিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটি সফলভাবে দখল করার পরে এই অঞ্চলে নিজস্ব শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আরাকান আর্মি (এএ) এর বিষয়ে মার্কিন সরকার ও পেন্টাগনের আগ্রহ আছে। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মি (এএ) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই বাংলাদেশের জন্য চিন্তার বিষয়। গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক এবং করে যুক্তরাষ্ট্রের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে উল্টো পথ ধরেছেন। ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, বাংলাদেশকে যে কোনো উপায়ে বিদ্রোহীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বেশ কিছু বছর যাবত, চীনের আধিপত্য খর্ব করার জন্য বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটির জন্য যুক্তরাষ্ট্র মরিয়া। এদিকে ‘বাংলাদেশ, ভারতের কিছু অংশ যেমন সেভেন সিস্টার ও মিয়ানমারে আরাকান নিয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র:’ এই কুখ্যাত এজেন্ডা নিয়ে, একটি গ্রুপ গোপনে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা) এর পরেশ বড়ুয়াসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়েছে। গত বছর শেখ হাসিনা ১৪-দলীয় জোটের নেতাদের বলেছিলেন যে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে অংশ নিয়ে ‘পূর্ব তিমুরের মতো একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র’ গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে। বহু বছর ধরে, ওয়াশিংটন কক্সবাজার-টেকনাফ উপদ্বীপের অগ্রভাগের প্রায় ৯ কিমি. দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে একটি ছোট দ্বীপ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দিকে নজর রেখেছে। তবে, একটি সংবাদ সম্মেলনের সময়, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জোর দিয়েছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনায় জড়িত ছিল না বা এটি করার কোনো ইচ্ছাও নেই। এদিকে, বেশ কয়েক বছর ধরে, খ্রিষ্টান মিশনারি, সেইসাথে পশ্চিমা এনজিওগুলো, গোপনে বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায়, যেমন টেকনাফ, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, মিজোরাম, মেঘালয়, আরাকান প্রদেশ গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। হতে পারে তা, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের খ্রিষ্টান ধর্মে রূপান্তরিত করা এবং বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ভূখণ্ড নিয়ে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করা। খ্রিষ্টান মিশনারি প্রকাশনাগুলো এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে ‘খ্রিষ্টান নিপীড়নের’ মিথ্যা দাবির সাথে সুপরিকল্পিত প্রচার চালাচ্ছে। জুলাই ২০২৩ সালে, একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী এমএনএফ সরকার ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী মিজো-কুকি-চিন-জোমি উপজাতিদের একীকরণের মাধ্যমে ‘মাতৃভূমি’ ঘোষণা করেছে’। এরইমধ্যে, একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের প্রকৃত এজেন্ডা আড়াল করার জন্য, কেএনএফ নেতারা জামাত উল আনসার ফিল হিন্দ আল শারকিয়া (জেএএফএইচএস) নামে একটি ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের সাথে হাত মিলিয়েছে। জেএএফএইচএস, কেএনএফের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘খিলাফত গ্রাম’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে। এই বিপজ্জনক গ্রুপের কিংপিনরা জমি কিনতে চেয়েছিল এবং কৃষি খামারের আড়ালে জঙ্গি তৎপরতা চালাতে চেয়েছিল।

সুতরাং বলা যায়, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন নিয়ে কোনো চক্রান্ত বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন, এই রাষ্ট্রগুলোকে তাদের অধীনস্ত রাষ্ট্র হিসাবে ব্যবহার করে, পরিকল্পিত খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের উপর চড়ে পুরো অঞ্চলে প্রবেশাধিকার পাবে। নিঃসন্দেহে, এটি বাংলাদেশ, ভারত এবং মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। বর্তমান পেন্টাগনের ভূমিকা ও আগ্রহ বাংলাদেশের জন্য কোনো সংকেত হতে পারে। তা দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ব্যাপকভাবে ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-রাজনীতিতেও গভীর প্রভাব ফেলবে। সব বিষয় বিবেচনা করলে এটা প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও পাকিস্তানের মতো বহিরাগত শক্তির স্বার্থের সাথে মিলে বাংলাদেশের বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাকে তীব্রতর করেছে। এই বহিরাগত দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ তার কৌশলগত অবস্থানের জন্য উল্লেখযোগ্য মূল্য পরিশোধ করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত