চারকোল খুলছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার

এস এম মুকুল, কৃষি-অর্থনীতি বিশ্লেষক

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সোনালি আঁশ পাটের স্বগৌরব প্রত্যাবর্তনের নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলছে পাটকাঠি। পাটকাঠির ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জানি এটি রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া, পানের বরজে ব্যবহৃত হয়। তাই এই পাটকাঠির তেমন কোনো গুরুত্ব ছিল না। যদি আগে আখের ছোবড়ার সঙ্গে মিশিয়ে পার্টিকেল বোর্ড তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও পাটকাঠির ব্যবহার হতো। তবে পাটকাঠি পুড়িয়ে চারকোল তৈরি এই শিল্পে যোগ করেছে নতুনমাত্রা। দেশে চারকোল তৈরির মিলে ব্যবহৃত হওয়ায় পাটকাঠির চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। পাটকাঠি বা পাটখড়ি বিশেষ ধরনের চুল্লিতে পুড়িয়ে প্রস্তুত হচ্ছে কার্বন। যার আরেক নাম চারকোল। এই কার্বন রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশে উৎপাদিত কার্বন পাউডার বা চারকোল কিনে নিচ্ছে চীনসহ কয়েকটি দেশ। বিদেশে পাটখড়ির কার্বন থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতসবাজি, ফেসওয়াশের উপকরণ, প্রসাধনপণ্য, মোবাইলের ব্যাটারি, দাঁতমাজার ওষুধ, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ ও সারসহ নানা পণ্য তৈরি হয়। চারকোল তৈরির মিলে পাটকাঠি ব্যবহৃত হওয়ায় পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। দাম ভালো পেয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। পাটের দাম না পাওয়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে কৃষক। একদিকে সোনালি আঁশ, অন্যদিকে রূপালী কাঠি-দু’টো মিলে এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পাট চাষে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশে চারকোল শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। শুরুর বছরই চীনে চারকোল রপ্তানি শুরু হয়। এরপর থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে কয়লা উৎপাদিত হচ্ছে। বিশেষ চুল্লিতে পাটকাঠি ১০-১২ ঘণ্টা জ্বালানোর পর চুল্লির মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়, যাতে ভেতরে অক্সিজেন না প্রবেশ করে। এভাবে ৪ দিন রেখে তা ক্রাসিং করে প্যাকেটজাত করবার পর রপ্তানি করা হয়।

বর্তমানে দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টির মতো চারকোল ফ্যাক্টরি আছে। কারখানাগুলো অবস্থান জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গাজীপুর জেলায়। বর্তমানে জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে। ১০-১২টি প্রতিষ্ঠান পাটকাঠি থেকে কয়লা উৎপাদন করছে। সাধারণত এক মণ চারকোল উৎপাদনে গড়ে খরচ হয় ৩০-৩৫ টাকা অথচ বিক্রি করা যায় ৭৫-৯০ টাকায়। বিদেশে বেশি চাহিদা থাকায় চারকোল বানাবার কারখানার চাহিদাও বাড়ছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাটখড়ির কার্বন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত তৈরি করেছে। এই চারকোল দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আশুসম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে চলেছে।

পাট বহুমুখী ব্যবহার্য একটি কৃষি পণ্য। পাটের কোনো অংশই ফেলনা নয়। সোনালি আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য। পাট থেকে সুতার কাঁচামাল ভিসকস তৈরি এবং সেই ভিসকস থেকে তৈরি হচ্ছে ডেনিম কাপড়। বিজেএমসি’ সূত্রে জানা যায়, পাটের আঁশ থেকে ভিসকস উৎপাদন আমাদের একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ভিসকস উৎপাদন করেছি। বড় পরিসরে ভিসকস উৎপাদনে একটি প্রকল্প প্রস্তাব একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদনের জন্য দেওয়া আছে। যদি অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে পাটের আঁশ থেকে আরো একটি মূলবান পণ্য উৎপাদন সম্ভব হবে। পাটের কদর আরো বাড়বে। আগে পাটকাঠির তেমন ব্যবহার ছিল না। এখন সেই পাটকাঠি দিয়ে তৈরি হচ্ছে চারকোল, যা বিদেশে রপ্তানিও শুরু হয়েছে। উদ্ভাবনী পণ্যটিও বিজেএমসি উৎপাদন করতে চায়। এ জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবও একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, আমাদের দেশে এ শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ীরা যদি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করেন তাহলে পণ্য রফতানি আরো বেড়ে যাবে। প্রবাদে আছে যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন। সত্যিই যেন তাই হয়েছে। পাটকাঠি বা পাটখড়ি এখন আর শুধু খড়ি বা লাকড়ি নয়। এর দাম অনেক। এর ছাই বা চারকোল বিদেশে কালোহীরক হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পাটকাঠির এই ছাই যেন হীরার পাউডার। ক্রমাগত লোকসানের কারণে এ দেশের বহু পাটকল বন্ধ ছিল। সরকারের নানামুখী তৎপরতা ও প্রণোদনার ফলে বর্তমানে চালু হয়েছে বেশকিছু পাটকল। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় পাটশিল্পকে নিয়ে সারাবিশ্ব এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে পাটের গুরুত্ব বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাটশিল্পকেন্দ্রিক বহুমুখী পণ্য এখন বিশ্ব পরিসরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

পাট থেকে পলিথিন, পাট পাতার চাসহ পাটকেন্দ্রিক পণ্য বৈচিত্র্য যুক্ত হচ্ছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এবং আভিজাত্যে। এরফলে পাটের বাজার ক্রমশ বড় হচ্ছে। আর এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাট গাছের মূল উপাদান পাটকাঠি বা পাটখড়ি। পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে বদলে যাবে পাটশিল্পের অবয়ব। খুলে যাবে এই শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার। ক্লিভল্যান্ডভিত্তিক শিল্প বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডোনিয়া গ্রুপ ইনকর্পোরেশনের তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ৮ দশমিক ১ শতাংশ হারে চারকোলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে চারকোলের বৈশ্বিক বাজার হবে ১০ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশকে এ বাজার ধরতে হলে দেশে চারকোল কারখানা বৃদ্ধি করতে হবে।

পাট অধিদফতর জানায়, দেশে বছরে পাটখড়ি উৎপন্ন হয় ৩০ লাখ টন। এর অর্ধেকও যদি কার্বন তৈরি করা যায়, তাহলে দেশে বছরে উৎপাদন দাঁড়াবে ২ লাখ ৫০ হাজার টন। এ খাতে বছরে রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ৩২ কোটি ২৫ লাখ ডলারের। আর সরকার এ খাতে রাজস্ব পাবে ৪০ কোটি টাকার মতো। অন্যদিকে এ খাতে কর্মসংস্থান হবে প্রত্যক্ষভাবে ২০ হাজার ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ মানুষের। কাজেই পাটের চেয়ে পাটখড়ির গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। দেশে উদীয়মান রপ্তানিপণ্য হিসেবে শিল্পের মর্যাদাও পাচ্ছে পাটকাঠির ছাই। কৃষকদের অভিমত, বাজারে পাট বিক্রি করে কোনো রকম উৎপাদন খরচ ওঠে। কিন্তু পাটকাঠি বিক্রির পুরো টাকাটাই লাভ! অনেকেই পাটকাঠি কেনাবেচাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। এতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানও।

২০১২ সালে প্রথম পাটকাঠিকে ছাই বানিয়ে তা রপ্তানির পথ দেখায় ওয়াং ফেই নামের চীনের এক নাগরিক। এরপর থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। মূলত তার দেখানো পথ ধরেই বর্তমানে চীন ছাড়াও তাইওয়ান, জাপান, হংকং ও ব্রাজিলেও এটি রপ্তানি হচ্ছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। একই সঙ্গে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো জানায়, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পাটখড়ির চারকোল রপ্তানি করে ৫৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বাংলাদেশ চারকোল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির মতে, এ খাতে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। শিগগিরই তা বেড়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। চারকোল বা পাটকাঠির কার্বনের চাহিদা রয়েছে চীন, মেক্সিকো, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ব্রাজিল, তাইওয়ান, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। জানা গেছে, ইউরোপে ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্লান্টেও রয়েছে পাটখড়ি কার্বনের ব্যাপক ব্যবহার। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানান এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। শিল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, চারকোল শিল্পকে একটি উদীয়মান শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও পাটজাত পণ্য হিসেবে ২০ ভাগ ক্যাশ ইনসেনটিভ পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ শিল্প বিকাশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ দিতে হবে। এ শিল্পের জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া এ শিল্পের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাটকাঠি থেকে তৈরি ছাই যার ইংরেজি নাম ‘অ্যাকটিভেটেড চারকোল’। ত্বক সচেতনদের কাছে অ্যাকটিভেটেড চারকোল এখন একটি পছন্দের উপাদান। আগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হলেও বর্তমানে বিশ্বের নামীদামী স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ডগুলো তাদের ফেস ওয়াস, স্ক্র্যাবার এবং পিল অব মাস্কের মূল উপাদান হিসেবে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহার করছে।

এ ছাড়া পানির ফিল্টার, ফটোকপিয়ারের কালি, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কার করার ওষুধে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ কয়লা এবং অ্যাকটিভেটেড চারকোলের মাঝে মূল পার্থক্যটা হলো অ্যাকটিভেটেড চারকোল তৈরিতে কোনো বিষাক্ত উপাদান ব্যবহার করা হয় না। হাড়, পাট কাঠি, নারকেলের শক্ত আবরণ, জলপাই কাঠ ইত্যাদি উপকরণ পুড়িয়ে অ্যাকটিভেটেড চারকোল তৈরি করা হয়। এই কয়লাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অক্সিডাইজ করে ফাঁপিয়ে তৈরি হয় অ্যাকটিভেটেড চারকোল। অ্যাকটিভেটেড চারকোল ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে ত্বককে পরিষ্কার করে। ফেস মাস্ক হিসেবে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহার করলে ত্বক থেকে ব্যাকটেরিয়া, ক্ষতিকর কেমিক্যাল, বিষাক্ত উপাদান এবং ধুলো ময়লা দূর হয়ে ত্বক পরিষ্কার হয়। অ্যাকটিভেটেড চারকোল রোমকূপ ছোট করে। তাই মেকআপের আগে প্রাইমার হিসেবে অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি রোমকূপ ছোট হয়। ফলে ত্বকে মেকআপ খুব ভালোভাবে বসে। নিয়মিত অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহারে ব্রণ সমস্যার সমাধান হয়।

ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করার কারণে ব্রণের সমস্যা কিছুদিনের মধ্যেই কমিয়ে ফেলে অ্যাকটিভেটেড চারকোল। সেই সঙ্গে সপ্তাহে তিনবার অ্যাকটিভেটেড চারকোল দিয়ে স্ক্র্যাবিং করলে ব্রণের দাগ ধীরে ধীরে কমে যায়। পোকার কামড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের জুড়ি নেই। মিনারেল পানির সঙ্গে অ্যাকটিভেটেড চারকোল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে পোকার কামড়ে লাগিয়ে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্বালা-যন্ত্রণা কমে যায়। অ্যাকটিভেটেড চারকোল পোকার বিষ শোষণ করে নেয়ার কারণে খুব দ্রুত জ্বালা কমে যায়। ফার্মেসিতে ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায় অ্যাকটিভেটেড চারকোল। এই ট্যাবলেট খুলে ভেতরের অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহার করা যায় ফেইস প্যাক হিসেবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভেষজ দ্রব্যের দোকানে অ্যাকটিভেটেড চারকোল কিনতে পাওয়া যায়।