স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি দুর্নীতি রয়েছে। লোভ ও অতিরিক্ত ভোগের আকাঙ্ক্ষা থেকেই দুর্নীতির উৎপত্তি হয়। সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ব্যক্তিগত লাভের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনের বিধিবিধান ও কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়ে কাউকে কোনো সুবিধা দেয়া হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি শুধু সরকারি অফিসে সীমাবদ্ধ নেই। সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। শুধু অভাবের তাড়নায় মানুষ দুর্নীতি করে এটি সত্য নয়। বিত্তশালী কর্মকর্তা বা ব্যক্তি আরো অর্থ-সম্পদের জন্য দুর্নীতি করে। মানুষের মধ্যে নীতিনৈতিকতার ঘাটতি হলেই দুর্নীতি জেঁকে বসে। একইসঙ্গে রয়েছে মিথ্যাচার, প্রতারণা, পরনিন্দা, স্বার্থপরতা, পরশ্রীকাতরতা ও অসততার দুর্নাম। এ ছাড়া লোকমুখে যেসব অভিযোগ সচরাচর শোনা যায় সেগুলো হলো সরকারি অফিসে তদবির না করলে কাজ হয় না। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা অতিমুনাফাখোর, বিশেষ বিশেষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় কোনো কার্য উপলক্ষে টাকা না দিলে ন্যায্য কাজ তো হবেই না, বরং অহেতুক হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়।
দেশে দুর্নীতির ব্যাপ্তি দেখে স্বাভাবিক ভাবেই ধারণা হতে পারে, আমাদের গোড়ায় গলদ রয়েছে। আমরা বিদেশি ঔপনিবেশিক শাসন, স্বৈরাচার, একনায়ক কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শাসিত হয়েছি। নীতি নৈতিকতার শিক্ষায় আমাদের রয়েছে বিরাট ঘাটতি। কী পরিবার, কী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কী সমাজ-কোথাও সততা ও নীতিনৈতিকতাকে ১ নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয় না। এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যে ওজনে কম দেয়া, অতিমুনাফাখোরি, খাদ্য ও ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে ভেজাল দেয়া, কর ও ভ্যাট ফাঁকি তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিকভাবে পাঠদান না করানো, হাসপাতালে অতিরিক্ত ফি আদায় ও ভুল চিকিৎসা, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংকঋণ গ্রহণ।
এ ছাড়াও মানি লন্ডারিং করে বিদেশে অর্থ প্রেরণ প্রভৃতি অন্যায়-অপরাধের কথা সব হরহামেশাই শোনা যায়। তাছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে লাভবান এবং কারো ক্ষতি করা, কোর্ট বা যেকোনো তদন্তে মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রদান, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন প্রভৃতি আরো উচ্চমানের দুর্নীতি। আমাদের দেশের দুর্নীতির ধরন অনেকটা ছোঁয়াচে রোগের মতো। একজনের মধ্য থেকে অন্যজনের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। বিশেষ করে সামর্থ্যবান, ধনী, শিক্ষিত, ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনুসরণে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাবান, কম শিক্ষিত লোকরাও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে ওঠে। আবার কোথাও দুর্নীতি হয় সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করে। কোনো ব্যক্তি বা চাকরিজীবী স্বাভাবিক অবস্থায় দুর্নীতি না করলেও সুযোগ পেলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে, অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক ও পরিবেশের কারণেও মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়। প্রভাবশালীরা দুর্নীতি করে যদি পার পেয়ে যায় তবে অন্যরাও দুর্নীতি করবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের প্রভূত অগ্রগতি হলেও দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন তেমন কার্যকর নয়। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তবে সত্য কথা হলো, দুদকের পক্ষে সারা দেশের সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তা ছাড়া সারা দেশের দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণও দুদকের কাছে নেই। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতির অনুসন্ধানের জন্য ১৯৫৩ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো সৃষ্টি হলেও পরবর্তী সময়ে কমিশনের জন্য প্রণীত আইনে দুদকের অধিক্ষেত্র বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় জনবল ও অফিস বিস্তৃতি হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলেই শুধু দুদক কাজ করতে পারে।
শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দেশের সামাজিক পরিবেশ, রাজনীতি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি নষ্ট করে। দেশে বৈষম্য বাড়ে। সব ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে আমজনতা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্নীতিবাজরা নির্দ্বিধায় দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। দেশের ভবিষ্যতের জন্য এসবই অশুভ লক্ষণ। দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৎ ও যোগ্যদের যথাস্থানে বসিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নিতে হবে। জনগণকেও এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। সত্যি বলতে কী, দুর্নীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। দুদক বড় দুর্নীতি নিয়ে কাজ করতে পারে না। পুলিশ, র্যাব এবং সাংবাদিকরা যে বিষয়গুলো বের করে আনে সেগুলো নিয়ে দুদক কাজ করে। আইনের বাস্তবায়ন নেই বলে মানুষ দুর্নীতি করার সুযোগ পায় এবং জনগণ তার আয়ের হিসাব বা করের তথ্য ঠিকভাবে দেয় না এবং এটা আদায়ে তেমন জোরদার ব্যবস্থা নেই। দুর্নীতি দমন করার মূল উপায়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।
যেমন : রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে-এটা শুধু কাগজে-কলমে থাকলে চলবে না, বাস্তবে থাকা প্রয়োজন। কারো প্রতি কোনো ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন না করে এটা থাকতে হবে। দেশের শীর্ষপর্যায় থেকে শুরু করে একেবারে নিম্নপর্যায় পর্যন্ত এর প্রয়োগ থাকতে হবে। আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা বিচারের আওতায় আসবে তাদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আইন সবার জন্য সমান হবে। কোনো রকম প্রভাব বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই অপরাধীদের বিচার করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য থাকতে হবে- দুর্নীতি দমনে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে সেসব প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা থাকতে হবে। সাধারণ অর্থে নীতিহীনতাকে দুর্নীতি হিসেবে অভিহিত করা হলেও রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে সুশাসনের অভাবকে দুর্নীতি বোঝায়। এক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়ম, অপচয়, সরকারি অফিসে ঘুসের বিনিময়ে সেবা প্রাপ্তি ইত্যাদি অভিযোগের পাশাপাশি স্বজনপ্রীতি, আইন প্রয়োগে ঘাটতি এবং নাগরিক ?সুবিধা নিশ্চিতে জবাবদিহির ঘাটতি থাকলে তা দুর্নীতির আওতায় পড়ে। তবে দুর্নীতি সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতির জন্য বেশি দায়ী করা হয়। কেননা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের প্রদত্ত করের টাকায় পরিচালিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার বিষয়টি থাকায় আন্তর্জাতিকভাবেও রাষ্ট্রগুলোর সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত স্বচ্ছতার বিষয়ে জোর দেয়া হয়।
জবাবদিহিতা সুশাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সুশাসনে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সেবাদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। জবাবদিহিতা বলতে বোঝায় দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি ও দায়-দায়িত্বের স্বীকারোক্তি। জবাবদিহিতার সঙ্গে মানবাধিকার যুক্ত। জবাবদিহিতার মাধ্যমে গড়ে ওঠে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে নিবিড় আন্তঃসম্পর্ক বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবের জন্য দায়ী কিছু বিষয় আছে। এগুলো হলো প্রশাসনিক জটিলতা, দুর্বল সংসদ, অনুন্নত রাজনৈতিক দল, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব এবং দুর্বল নির্বাচন ব্যবস্থা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত কয়েকটি সংসদে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল না। এ কারণে সংসদ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারছে না। স্বৈরশাসনও জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে আঘাত হেনেছে। তাছাড়া আমলারা অনেক সময় জনগণের সামনে সত্য তথ্য প্রচার করতে চায় না। শাসকশ্রেণিরও একটি অংশ তথ্য গোপনের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। এই অস্বচ্ছতা দুর্নীতির জন্ম দেয় এবং সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। রাজনৈতিক জবাব দিহিতা দুর্বল হলে তা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় খাতকে প্রভাবিত করে। সামাজিক জবাবদিহিতা হলো নাগরিক, সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং পরিষেবা সরবরাহকারীদের আচরণ ও কার্যকারিতার মধ্যে সুদৃঢ় মিথস্ক্রিয়া। যেখানে সরকার, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা সবাই ন্যায়-নৈতিকতা ও সুশাসনের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের কল্যাণ এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে। সামাজিক জবাবদিহিতা নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সংযোগ সাধন করে থাকে। এতে প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের জন্য নাগরিকদের কাছে রাষ্ট্রকে জবাবদিহি করতে হয়। সামাজিক জবাবদিহিতা স্বচ্ছতারভিত্তিতে সরকারি নীতির বিকাশ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াগুলোর গুণমান বৃদ্ধি করে। আর এতে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ও জনকল্যাণে সরকার ও প্রশাসন আত্মনিয়োগ করে।
প্রশাসনে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করার জন্য জবাবদিহিতার ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করা জরুরি। অভ্যন্তরীণ বা বিভাগীয় জবাবদিহিতার মাধ্যমে যথাযথ শুদ্ধাচারের আচরণ পরিলক্ষিত হয় না। কারণ এতে কর্মকর্তার কর্তব্যে অবহেলা, অর্পিত দায়িত্ব প্রতিপালনে ব্যত্যয় হলে কিংবা দোষত্রুটির জন্য আইনানুগ সাজার পরিবর্তে যোগসাজশে রফাদফা করার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে একজনের দোষ অন্যজনের ওপর চাপানোসহ গুরুদোষে লঘুদণ্ড দেয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে। ঘটতে পারে ক্ষমতার অপব্যবহারও। মনে রাখতে হবে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রদেয় কর ও বিভিন্ন ফি-অর্থ থেকে বেতনসহ প্রদেয় সুযোগ-সুবিধাদি ভোগ করে থাকেন। তাই তাদের জবাবদিহিতাও জনগণের কাছে হওয়া উচিত। জবাবদিহিতার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই নয় বরং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের জবাবদিহিতাও আবশ্যক। দুর্নীতি কমাতে ও রাজনৈতিক উন্নয়নে জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া যেমন গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গভাবে রক্ষা করা যায় না, তেমনি গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন ও জবাবদিহিতাকেও প্রতিষ্ঠা করা যায় না। জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করা গেলে সরকারি অর্থ সাশ্রয় হবে; দুর্নীতি কমবে; ক্ষমতার অপব্যবহার কমবে; রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হবে; সুষ্ঠু উন্নয়ন পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন ফলপ্রসূ হবে এবং জাতীয় উন্নতি বেগবান হবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই। এছাড়া দুর্নীতির সুবিধা ভোগীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে বিচারহীনতার বিষয়টিও দৃশ্যমান। এভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করায় জাতিগতভাবে আমরা একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে উপনীত হয়েছি। কারণ ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থার জন্য দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ সমাজ বিনির্মাণ প্রয়োজন। সেজন্য সমাজের ভেতর থেকেই সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য দুর্নীতিবিরোধী স্বচ্ছ মানসিকতা তৈরিতে পরিবার থেকেই শিশুকে শিক্ষা দিতে হবে। আর রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা যেন না করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি সর্বস্তরের নাগরিকদেরও স্বতঃস্ফূর্ত উদার মানসিকতা জরুরি। রাষ্ট্র ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসে দেশে দুর্নীতির পরিমাণ কমে আসবে, সেটিই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা।