বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পাঁচটি দিন- ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ২৬ মার্চ ১৯৭১, ৭ নভেম্বর ১৯৭৫, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ ফ্যাসিবাদ পতনের কাল। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের হাজার বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই অঞ্চলের জনসাধারণ বরাবরই স্বাধীনতা প্রিয় এবং সকল রকম প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও তারা লড়াই করে নিজেদের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতিই তাদের এই মনোভঙ্গি তৈরিতে সহায়ক। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বাংলাকে কয়েক শতাব্দী স্বাধীন রাজনৈতিক জীবন রক্ষায় সাহায্য করেছিল।
বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি দুঃশাসন-নির্যাতন থেকে মুক্ত হয়ে একটি আত্মমর্যাদাবান জাতি হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার ৯ মাস পরে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বিজয়ের প্রেরণা দেশের জনগণের ছিল অনেক স্বপ্ন অনেক আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু স্বাধীনতার পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আদিপত্যবাদী অপশক্তি বাংলাদেশকে পরোক্ষভাবে দখল করার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি দাসত্বের শৃঙ্খল পরিয়ে দেয়, নতুন সরকার পরিচালনায় তারা নিয়োগ করে উপদেষ্টামণ্ডলী। বিদেশি এই আগ্রাসন পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণকে অন্ধকারে রেখে তাদের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করে তৎকালীন আওয়ামী সরকার। তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে মৌলিক অধিকার লুণ্ঠিত হয় কেড়ে নেয়া হয় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা। তারা গঠন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল। হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা ও জেলবন্দি করে রাখে তারা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পট-পরিবর্তনের ফলে আওয়ামী লীগের চিরকাল ক্ষমতায় থাকার মূল পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র চলতে থাকে অব্যাহত গতিতেই। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই ঘটে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থান, সে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মোশতাক আহমেদ পদচ্যুত হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মহান স্বাধীনতার ঘোষক সেনাবাহিনী প্রধান জনগণের মুক্তির মহানায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমানকে কুচক্রীরা গৃহবন্দি করে রাখে। ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে এক রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি বিরাজ করতে থাকে। ৪ তারিখে খালেদ মোশারফের মা ও ভাই রাশেদ মোশারফের নেতৃত্বে শেখ মুজিবের ছবি নিয়ে মিছিল বের হয়। মুজিবপন্থি আওয়ামী লীগের এই মিছিল সাধারণ জনগণ মেনে নেয়নি। মেনে নেয়নি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। পুনরায় শ্বাসদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য গোটা দেশ এক সাথে ফুঁসে ওঠে। ৭ নভেম্বর সকালে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুক্ত করে আনেন জিয়াউর রহমানকে। শহীদ জিয়ার ছবি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। সিপাহী-জনতা একাত্ম হয়ে স্লোগান তোলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে। অবিস্মরণীয় ছিল সিপাহী জনতার সেই মিলন, সেই ঐক্যের ঐতিহাসিক দৃশ্য।
সিপাহী-জনতার সম্মিলিত প্রয়াসে এবং মহান আল্লাহর করুণায় রক্ষা পায় আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব। এ কারণেই ৭ নভেম্বর হয়েছে বিপ্লব ও সংহতি দিবস।
ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার বিপ্লব দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে উন্মুক্ত করে দেয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ। জাতি হিসাবে আমরা নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হই। অতএব, ৭ নভেম্বরের অনুপ্রেরণা জাতীয় ঐক্যের প্রেরণা আমাদের স্বাধীনতার অবিনাশী রক্ষাকবচ। আওয়ামী লীগ ও তার দোষররা বিরামহীন মিথ্যা প্রচারণার দ্বারা ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবী ঐতিহাসিক ভূমিকাকে বিকৃত করে দেশকে আবার বিদেশিদের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। ছাত্র-জনতা স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে দেশকে এনে দিয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ।
৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বদ্ধ হয়ে সকল জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো জনগণকে সাথে নিয়ে নতুন করে দেশ পুনঃনির্মাণ করতে হবে। যেখানে থাকবে না শোষণ-বঞ্চনা-ষড়যন্ত্র-দুর্নীতি বৈষম্য ও সন্ত্রাস। আমরা এমনই একটি দেশ চাই। ৭ নভেম্বর নিয়ে এদেশের একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। অন্য একটি দেশের স্বার্থ এবং উপনিবেশিক চিন্তার সাথে তাদের চিন্তার ঐক্য খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ৭ নভেম্বরের বিপ্লবকে নতুন আলোকে দেখা প্রয়োজন। নতুন আলোকেই বিপ্লবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
১৯৭৫ সনের বিপ্লব ও ২০২৪ সনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাণ্ডসিপাহীদের অভ্যুত্থান একই সূত্রে গাঁথা। এরই নাম দেশপ্রেম। এর রূপ রস গন্ধ একই সূত্রে গাঁথা। ছাত্র-জনতাণ্ডসিপাহীদের সম্মিলিত কণ্ঠে সরবে উচ্চারিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা। উচ্চারিত হলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের কথা। উচ্চারিত হলো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অন্যের পদানত করার সকল পদক্ষেপ নস্যাত করার কথা। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে কোন অর্থে ৭ নভেম্বরের ঘটনাক্রমে বিপ্লবের তাৎপর্য বহন করে। ৭ নভেম্বরের ঘটনাক্রম যে বিপ্লবাত্মক তার প্রমাণ মেলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এমনকি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের দিকে দৃষ্টি দিলে। ৭ নভেম্বরের পরের বাংলাদেশ আগের বাংলাদেশ থেকে স্বতন্ত্র হয়ে উঠে। এই স্বাতন্ত্র সুস্পষ্ট হয়ে উঠে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে। সুস্পষ্ট হয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। এই স্বাতন্ত্র পরিস্ফুট হয়ে উঠে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে, অর্থনীতি এমনকি সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে।
৭ নভেম্বরের পূর্বের বাংলাদেশে বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক একদলীয় বাকশালের কুয়াশা ৭ নভেম্বরের পরের বাংলাদেশে ছিল অনুপস্থিত। বহুদলীয় গণতন্ত্রে দলগুলো ক্রমে ক্রমে বিকশিত হতে শুরু করেছিল। সংবাদপত্রের মুখে নতুনভাবে কথা ফুটে উঠেছিল। বিচার বিভাগ নির্বাহী কর্তৃত্বের নিয়ন্ত্রনমুক্ত হতে শুরু করেছে। আন্তুর্জাতিক ক্ষেত্রে ইঙ্গ-সোভিয়েত অক্ষশক্তি বলয় থেকে সরে এসে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্তীর্ণ অঙ্গনে বিস্তৃত হয়েছিল। ৭ নভেম্বর সফল বিপ্লবের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে মাথা উচুঁ করে উঠেছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে মর্যদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্ব, পূর্ব-এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় এবং সারা পৃথিবীর সমসার্বভৌত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ভূমিকা পালনের জন্য সচিকিত হয়েছে। অর্থনীতি ক্ষেত্রেও গভীর পরিবর্তন সূচিত হয় বিপ্লবের পর। সমাজতন্ত্রের নামে যে অপচয়প্রবণ দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কাঠামো বিদ্যমান ছিল ৭ নভেম্বরের পরে তারও অবসান ঘটে। সংকীর্ণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে রাষ্ট্র ও সামাজিক পর্যায়ে বৃহৎ পরিধি বিশিষ্ট উদার ও পরিশীলিত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আবেদন ব্যাপক হয়ে ওঠে। ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিক পরিবর্তন ঘটে। যারা জনকল্যাণের লক্ষ্যে সমাজ পরিবর্তনে উদ্যোগী, বাস্তবতার নিরিখে জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী তাদের জন্য ৭ নভেম্বরের সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। এ নিবন্ধে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাংলাদেশি, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ওপর সামান্য আলোকপাত করব।
জিয়াউর রহমান প্রচলিত রাজনৈতিক ধারা থেকে ওঠে আসেননি। বরং ঘটনা প্রবাহ, স্বয়ং তাকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নিয়ে আসে। যেভাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববাসীর সামনে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে। যারা তাকে অবমূল্যায়ন করতে চেয়েছিলেন, সে সকল রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া গোষ্ঠীকে প্রচণ্ড হোঁচট খেতে হয়েছিল। মূলত তার সৈনিক জীবনের প্রচণ্ড দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা, দায়িত্বের প্রতি অপরিসীম নিষ্ঠা, সমগ্র জাতির উন্নয়নের স্বপ্ন, সর্বোপরি স্বাধীনতা যুদ্ধে তার দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও স্বাধীনতাকামী জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তা রূপায়ণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ও গভীর উপলব্ধি তাকে দক্ষিণ এশিয়ায় এক বিশিষ্ট রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি আমাদের আত্ম পরিচয়কে সুস্পষ্ট ও সঠিকভাবে তুলে ধরেন। তিনি এ কথাও সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে, বহতা নদীর মতো গণতন্ত্রের সঙ্গে এদেশের মানুষের নিবিড় সংযোগ ও আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্যে একদলীয় ব্যবস্থার শৃঙ্খলে আবদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্তি দিয়ে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। অর্গলমুক্ত করেন গণতন্ত্রকে মুক্তি দিয়ে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। অর্গলমুক্ত করেন গণতন্ত্রের বিভিন্নসোপান সকল মৌলিক অধিকার। এভাবে তিনি সমকালীন রাজনৈতিক ইতিহাসে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দুরূহ দায়িত্ব পালন করেন ও গণমানুষের সুমহান মর্যদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া কৃষিনির্ভর দেশে উৎপাদনের প্রধান এলাকা হিসাবে গ্রামকে বেছে নেন। স্বনির্ভর গ্রাম গড়ে তোলার কর্মকাণ্ড শুরু করেন। তিনি আরো উপলব্ধি করেন, শুধুমাত্র সরকারি প্রচেষ্টায় দেশের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করা সম্ভব না। এ জন্য গোটাজাতিকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করেন। এই উপলব্ধি থেকে তিনি দেশব্যাপী স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেন। যা এদেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা দূরীভূত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। যে কোনো জাতির অস্তিত্ব, আত্মমর্যাদা রক্ষা ও সমৃদ্ধির জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন শিক্ষা, সচেতনতা ও জাতীয় কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। যত বেশিসংখ্যক নাগরিক শিক্ষা, সচেতনতা ও জাতীয় কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করবে। তত বেশিসংখ্যক নাগরিক শিক্ষার আলো লাভ করে, সরাসরি জাতীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে। নি:সন্দেহে সে জাতিই তত বেশি শক্তিশালী। জনসংখ্যা যাই হোক। আয়তনে দেশ যত ক্ষুদ্রই হোক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ এ কথাই বলে।
৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে সামনে রেখে এসব কথা আজ নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আমরা আজ আমাদের স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধীন অর্থনীতি নিয়ে টিকে থাকতে পারবো কিনা, এটা আজ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ৭ নভেম্বরে ঘটনাবলী আমাদের দু‘টো জিনিস শিখিয়েছে। এক. সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী এবং দুই. স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্লে সেনাবাহিনী ও জনগণ মিলেমিশে এক হয়ে যেতে পারে। নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঐতিহাসিক সত্য আরো উজ্জ্বলরূপে প্রতিষ্ঠিত হলো। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে জাতির জন্ম হয়েছে, সেই জাতি কারো গোলামির বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে না, ৭ নভেম্বরের শিক্ষা এটাই।
সহ-প্রচার সম্পাদক, বিএনপি