বাবা-মার জন্য সন্তান হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার বিরাট এক নিয়ামত। সন্তান বাবা-মার চোখের শীতলতা, অন্তরের প্রশান্তি, জীবনের পরিপূর্ণতা এবং সব আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সন্তানের সঠিক লালন-পালনের জন্য তাদের জন্মের পর থেকে প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত বাবা-মাকে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়, যার ওপর নির্ভর করে সন্তানের সুষ্ঠু গঠন, সুন্দর বিকাশ, সত্যিকারের শিক্ষা ও সুপ্রতিষ্ঠা।
প্যারেন্টিং পরিচিতি : Parenting ইংরেজি শব্দ। এর প্রতিশব্দ... Child rearing ...। অর্থ সন্তান প্রতিপালন। পরিভাষায় প্যারেন্টিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সন্তান জন্মের পর থেকে তার অগ্রগতির প্রতি সজাগ থাকা হয় এবং মানসিক, শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও ধর্মীয় ইত্যাদি দিক দিয়ে তাকে সহযোগিতা করা হয়। এক কথায়, সন্তান প্রতিপালনে বাবা-মার দায়িত্ব কর্তব্যই প্যারেন্টিং।
প্যারেন্টস পরিচিতি : জন্মদাতা পিতামাতা হলেন মূলত প্যারেন্টস। এ ছাড়া দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, নানা-নানী, খালা-খালু, মামা-মামী, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কো-প্যারেন্টস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্যারেন্টিং-এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা: প্যারেন্টিং একটি আমানতদারি। এটি সন্তানের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে, সন্তানের অধিকার নিশ্চিত করে, বাবা-মাকে দায়িত্ব সচেতন করে। এটি বাবা-মা ও সন্তান উভয়ের জন্যই একটি গাইডলাইন। এটি সন্তানের ইহ ও পারলৌকিক জীবনে সফলতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা। এর উপর নির্ভর করে পিতা-মাতার মান-সম্মান, আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানের বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি দেশ ও জাতির কল্যাণ। ভালো প্যারেন্টিংয়ের ফল হলো সুসন্তান, সুখি পরিবার, সুনাগরিক, সুস্থ সমাজ এবং সমৃদ্ধ রাষ্ট্র, সুশৃঙ্খল জাতি। আবার, প্যারেন্টিং ব্যর্থতার ফল হলো চরিত্রহীন সন্তান, নৈতিক অবক্ষয়, আদর্শহীনতা, সামাজিক অবক্ষয়, পাপাচার বৃদ্ধি, হতাশা, অশান্ত পরিবার, বিশৃঙ্খল রাষ্ট্র এবং বিপর্যস্ত বিশ্ব। তাই ভালো প্যারেন্টিংয়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
প্যারেন্টিংয়ের ধরন: প্যারেন্টিং শব্দটি উন্নত বিশ্বে খুবই আলোচিত বিষয় হলেও আমাদের দেশের অধিকাংশ পিতা-মাতাই এ বিষয়ে প্রায় অজ্ঞ। তারা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের অনুশীলন করা রীতি এবং নিজেদের সাধারণ বুদ্ধি বা কমন সেন্সের উপর যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেকেলে, সময় অনুপযোগী, অবৈজ্ঞানিক এবং গবেষণাভিত্তিক নয়। আমাদের অনেকে প্যারেন্টিং বলতে সন্তানের জন্য নামী-দামি খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা এবং তাদের নাদুস-নুদুস স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা বোঝেন। কেউ শুধু সন্তানের পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত। তারা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সন্তানকে বিভিন্ন কোচিং ও প্রাইভেট টিউটরের পেছনে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ান। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মোটেই খেয়াল করেন না। কিছু প্যারেন্ট সন্তানের কোনো বিষয়েই খবর রাখেন না। কিন্তু পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হলেই শুরু করেন বকাঝকা, মারধর, ভাত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিসহ নানা শাস্তি। কিছু প্যারেন্ট সন্তানকে নামী-দামি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েই নিজেকে দায়মুক্ত মনে করেন। এরপর তারা শুধু সন্তানের চাহিদা মতো টাকার জোগানই দেন। এ টাকা কোথায় ব্যয় হয় তারা কিছুই জানেন না। কিছু প্যারেন্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সন্তানের পেছনে ছায়ার মতো লেগে থাকেন; কিন্তু এরপর তাদের আর কোনো খোঁজ রাখেন না।
কিছু প্যারেন্ট শুধু নিজের রুটি-রুজি, ব্যবসা-বাণিজ্য আর রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। সন্তানের কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ তার নেই। তাদের ধারণা- বাড়ি-গাড়ি সবই আছে, এগুলো দেখভাল করলেই সন্তানের জীবন অনায়াসে পার হয়ে যাবে। কিছু প্যারেন্ট শুধু সন্তানের বৈষয়িক উন্নতি-অবনতির দিকে নজর রাখেন। তাদের চারিত্রিক শুদ্ধাচার ও পারলৌকিক সফলতা নিয়ে কিছুই ভাবেন না। কিছু প্যারেন্ট শুধু সন্তানের চারিত্রিক শুদ্ধাচার ও পারলৌকিক সফলতা নিয়েই চিন্তা করেন, পার্থিব উন্নতি ও প্রতিষ্ঠা নিয়ে চিন্তা করেন না। এ জাতীয় চিন্তার কারণে প্রকারান্তরে তারা নিজেরাই যে ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘন করছেন, সে দিকেও তাদের খেয়াল নেই। কিছু প্যারেন্টের সন্তানের উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সে কারণে খুব সহজেই পিতা-মাতাকে জিম্মি করে নামী-দামি মোবাইল, ক্যামেরা, ট্যাব, মোটরসাইকেলের সাথে ওয়াইফাই সংযোগ এবং হাজার হাজার নগদ টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে সন্তানরা। আবার সংখ্যায় কম হলেও কিছু প্যারেন্ট তাদের সন্তানের সুষ্ঠু গঠন, বিকাশ ও প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেন। তারা সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে খুবই যত্নবান। এরা সন্তানের সব প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি স্নেহের শাসনও করেন। তারা সন্তানকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসেন; কিন্তু কোনো অন্যায় কর্ম ও আবদারকে প্রশ্রয় দেন না। এরাই যথার্থ প্যারেন্টস।
প্যারেন্টিং চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের সমাজ-সংস্কৃতি: পরিবার শিশুর প্রথম বিদ্যালয়। সন্তান সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে বেশি শিক্ষালাভ করে তার পরিবার থেকে। সে পিতা-মাতা, দাদী-দাদা, চাচা-ফুফু এদের আচরণের ভালো-মন্দ দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকেই তার দৃষ্টিভঙ্গি গঠিত হয়। সুতরাং পরিবার থেকেই সততাণ্ডনৈতিকতার প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে। পরিবার যদি কলহ-বিবাদ, অনৈক্যের বিষবাষ্পে ভরা থাকে সে পরিবারে সন্তানের বেড়ে ওঠা, বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা সবই বাধাগ্রস্ত হয়। পরিবারের পরই শিশু সমাজ থেকে শিক্ষা পায়। সমাজের মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ দ্বারাও সে প্রভাবিত হয়। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে তারও দৃষ্টিভঙ্গি গঠিত হয়। সুতরাং সমাজে একটি শিশুর সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার উপাদানগুলো অবশ্যই বিদ্যমান থাকতে হবে। কোনো সমাজের পিতা-মাতা, অভিভাবক বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি নিজে ধূমপান, মদপান, জুয়া, ধর্ষণ, ব্যভিচার, গুম, খুন, চুরি, লুটতরাজ, ডাকাতি, অশ্লীলতা ইত্যাদি অপকর্মের সাথে জড়িত থাকেন আর তাদের সন্তান বা অধীনস্থরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাহলে প্রকৃত দোষী কে? সন্তান লালন-পালনের প্রধান দায়িত্ব পিতা-মাতা পালন করলেও সমাজ ও রাষ্ট্র তার সুষ্ঠু প্রতিপালনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কথায় আছে, ‘প্রজারা রাজার চরিত্রে চরিত্রবান হয়’।
রাজা অর্থাৎ দায়িত্বশীলরা ভালো তো প্রজা বা নাগরিকরা ভালো। কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের পরিবার নীতি-নৈতিকতার চর্চা প্রায় শূন্যের কোঠায়। পরিবার ও সমাজব্যবস্থা ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে। সর্বত্র অনৈতিকতার ছয়লাব এবং নৈতিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দায়িত্বশীলতা, আমানতদারিতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শালীনতাবোধ, জবাদিহিতার সোনার চেয়ার আজ দখল করে আছে মিথ্যাচার, গলাবাজি, বিচারহীনতা, দায়িত্বহীনতা, তছরুপ ও জুলুম, অশ্লীলতা, খেয়ানত, অযোগ্যতা আর অদক্ষতা। ন্যায়বোধ আজ নির্বাসনে। মানুষের খুন আজ নুনের চেয়ে সস্তা। এরকম অরাজক পরিবেশে অনাগত ভবিষ্যৎ বংশধরদের কাছে প্যারেন্টিং কতটা চ্যালেঞ্জিং তা অবশ্যই ভাবনার দাবি রাখে।
সফল প্যারেন্টিংয়ের উপায়: বাবা-মাকে শুধু সৎ, চরিত্রবান সন্তান আশা করে বসে থাকলে চলে না, এ জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সাথে সাথে বিজ্ঞানসম্মত সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হয়। সফল প্যারেন্টিংয়ের ক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে আদর্শিক চারিত্রিক মডেল উপস্থাপন করতে হবে। কারণ তারাই সন্তানের সবচেয়ে বড় প্রভাবক। মনে রাখতে হবে- তেঁতুল গাছে কখনো আঙ্গুর ফল ধরে না। উপার্জনে পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। কারণ হারাম ও অবৈধ অর্থে লালিত সন্তান কখনো আদর্শ মানুষ হতে পারে না। উন্নত মূল্যবোধ ও নৈতিকতা যেমন- ধৈর্য,সততা, আমানতদারিতা, ন্যায়পরায়ণতা, ক্ষমা, উদারতা, পরার্থপরতা, আত্মসংযম, পরমতসহিষ্ণুতা ইত্যাদি সদগুণাবলি লালন করতে হবে। বৈবাহিক ও দাম্পত্য জীবনে পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। বিয়ে, সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিবাদ ও কলহমুক্ত সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করতে হবে। ইতিবাচক ও উন্নত দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হতে হবে। একান্ত ব্যক্তিগত কর্ম ও বিষয়াদির ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
নিজের পিতা-মাতা ও আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে। মাঝেমধ্যে আত্মীয়দের বাসায় সন্তানদের বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে। পরিবারে লৌকিকতামুক্ত ধর্ম চর্চার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ ধর্মহীন মানুষ পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। সামাজিক কাজে ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে। এতে থিউরি শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রাকটিক্যালও হয়ে যাবে। প্যারেন্টিং বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। মানসম্মত বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করাতে হবে। সন্তানের চলাফেরা, বন্ধুবান্ধব, বাসায় অবস্থান ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। সন্ধ্যার পর সন্তান যাতে বাসার বাইরে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানের পড়ার রুটিন তৈরি করতে সহায়তাপূর্বক তা অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানের বন্ধু তৈরির ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। মাঝে মধ্যে তাদের বন্ধুর বাসায় পরিবারসহ আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
মিডিয়া ও প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে ইউটিউব থেকে ভালো ভালো, শিক্ষণীয় জিনিস ডাউনলোড করে রাখতে হবে। পরে সময়-সুযোগ মতো সেগুলো দেখানো যেতে পারে। সপ্তাহে একদিন মুভি নাইটের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। পরে মুভির শিক্ষণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কোনো জিনিস নিষিদ্ধ না করে ভালো এবং মন্দের পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। সন্তানের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ ও ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে হবে। কারো কাছে কোনো কিছু চাইতে বা ঋণ করতে সন্তানকে পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সন্তান সম্পর্কে কোনো খারাপ মন্তব্য বা সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সন্তানের এইচএসসি পাসের আগে তাকে পারসোনাল এনড্রয়েড ফোন অথবা মোটরসাইকেল দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সন্তানকে ছোট, নির্বোধ বা অবুঝ ভাবা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো ভুলের কারণে বকা দেয়া বা প্রহার করা, অতিরিক্ত শাসন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মানসিক পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবারের উপার্জন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। অতিরিক্ত নগদ অর্থ তার হাতে দেয়া উচিত নয়। সন্তানের খরচের খাত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সন্তানের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হবে। শত ব্যস্ততার মাঝেও সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। মনে রাখতে হবে- বাবা-মার আসল কাজ বা দায়িত্ব শুরুই হয় তাদের বাসায় ফেরার পর। কৌশলে হলেও সন্তানের মনের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
আপনি উত্তর না দিলে সে অন্যজনকে আপনার চেয়ে জ্ঞানী ও আপনজন ভাববে। বয়োঃসন্ধিকালীন সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে এবং সে সময়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ সামগ্রী কিনে দিতে হবে। ভার্চুয়াল প্লেগ্রাউন্ডের পরিবর্তে খেলার মাঠের প্রতি সন্তানকে আগ্রহী করতে হবে। ভালোবাসা, আদর আর কাউন্সিলিংয়ের সাথে সাথে স্নেহ মিশ্রিত শাসনও করতে হবে।
শেষ কথা: সন্তানের প্রতিটি পদক্ষেপ সজাগভাবে পর্যবেক্ষণ এবং তার সবরকম উন্নতির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করাই প্যারেন্টিং। সুখি-সমৃদ্ধ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্বগঠনের মাধ্যমে ইহ ও পরকালীন সফলতা নিশ্চিত করতে প্যারেন্টিং শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সন্তানের প্রভাবক ৩টি অঙ্গ পিতা-মাতা, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে। সফল প্যারেন্টস হিসেবে মহান স্রষ্টা আমাদের সবাইকে কবুল করুন।
শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক