দাবির রাজনীতি : জনস্বার্থ নাকি জনদুর্ভোগ?

রাজু আহমেদ

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

কিছু যৌক্তিক দাবি-দাওয়ার সাথে কিছু কিছু অহেতুক দাবিতে রাস্তা অবরোধ, সাধারণ মানুষকে হয়রানি, তীব্র যানজট সৃষ্টি কিংবা জনজীবন অতিষ্ঠ করে তোলার পাঁয়তারা চলছে কি-না তা সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। সাবধানতা অবলম্বন না করলে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিতে পারে। হঠাৎ হঠাৎ এমন দাবি উত্থাপিত হচ্ছে যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে থমকে দিতে বাধ্য করছে। বর্তমানে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি সার্বিক বিচারে তেমনি অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। কিছুদিন আগে অটোপাসের দাবিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে প্রবেশ করে হট্টগোল বাঁধানোর ব্যাপারগুলোতে অন্যকোন ইঙ্গিত আছে কি-না খুঁজে দেখা দরকার। মোটামুটি কোমল বা নমনীয় সরকারের কাছে যা খুশি তাই চাওয়া যায়, যা ইচ্ছা তাই বলা যায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে জনগণ তো এমন জনবান্ধব সরকারের প্রত্যাশাই করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে গণআকাঙ্ক্ষা পূরণের যে সোপান রচিত হয়েছে তা ভবিষ্যতের পথ দেখাবে বলে আশা করছি। তবে ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভেবে যারা কাঁধে ওঠার চেষ্টা করছে, কলিজায় খামচি দিচ্ছে তাদের নিবৃত্ত করা না গেলে জাতির জাতীয় স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে চলার পথ ততটা মসৃণ থাকবে না। এই যে চারদিকে দাবির রাজনীতি চলছে তাতে জনস্বার্থ কতটুকু আর জনদুর্ভোগ কতখানি তা কি আন্দোলনকারীদের আদৌ বোধগম্য হচ্ছে? নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের কাছে যেসকল দাবি করার ফুরসৎ মিলতো না তা এখন অকপটে বলা যাচ্ছে। তবে এই নমনীয়তার সুযোগে কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি কিংবা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের একীভূতকরণের দাবি অথবা অন্য এমনসব দাবি তুলে সরকারে বিব্রত করা হচ্ছে কি-না, যেগুলোর বাস্তবভিত্তিক বাস্তবায়নের কোনো গ্রহণযোগ্যতা-যৌক্তিতা নেই।