সেশনজট একটি অভিশাপ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে ?এবং বাস্তবায়নের পথ খোঁজে নিজস্ব ডিপার্টমেন্টে। কিন্তু সেশনজট শিক্ষার্থীদের উৎসাহ-উদ্দীপনাকে ধূলিসাৎ করে দেয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্টেই সেশনজট জড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই বছরেও একটি সেমিস্টার উত্তীর্ণ হতে অক্ষম। আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ইবির একটি স্বনামধন্য বিভাগ। বাংলাদেশে একমাত্র ইবিতে এই বিভাগটি রয়েছে। তাই ইবিতে এর জনপ্রিয়তা অনেক।
আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ আইন অনুষদের অধীনে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা চোখেমুখে হাজার হাজার স্বপ্ন বুনে পড়তে আসে এই বিভাগে। কিন্তু তারা যখন বছর শেষ করেও একটি পরীক্ষায় বসতে পারে না, তখন তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, নিজেদের খুব ছোট করে দেখে। আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসনে অনেক আন্দোলন করলেও মিলছে না মুক্তির পথ। সেশনজট ঘিরে রয়েছে ইবির বেশ কয়েকটি বিভাগকে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, সমাজকল্যাণ বিভাগসহ বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় সব বিভাগ। সেশনজট শুধু আমাদের স্বপ্নের পথের বাধাই না, এটি আমাদের পারিবারিক অশান্তিরও কারণ। শিক্ষার্থীরা যখন সেশনজটে আটকে যায়, তখন তাদের সামনের রাস্তা অস্পষ্ট দেখায়। এর মধ্যে রয়েছে বেকারত্বের অভিশাপ। পড়াশোনা শেষ করেই একজন শিক্ষার্থী চাকরি জোগাড় করতে পারে না। স্বপ্নের পথে উদ্দীপনা জোগাতে সেশনজট নিরসন হতে পারে আশীর্বাদ। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া উচিত। অন্য সেশন আসার আগেই আগের সেশনের সব পরীক্ষা নিয়ে নেয়া উচিত।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া