স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রমণ হার তুলনা করলে প্রতি বছরই বাড়ছে, চলতি বছর সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। এবার ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১৮২ জন, যা পূর্বের যে কোনো বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বছর শেষে এ মৃত্যুর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অর্থাৎ ২০২১ সালের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন এর মধ্যে মারা যায় ১০৫ জনের মতো। তবে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ও মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ২০১৯ সালে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা যায়, ওই বছর আক্রান্ত হয় লক্ষাধিক মানুষ ও মৃত্যু হয় ৩০০ জন। সরকারি হিসাব মতে, আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১,০১,৩৫৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করে ১৭৯ জন। এবার মারা যাওয়া ১৮২ জনের মধ্যে শুধু ঢাকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের। ডেঙ্গুর প্রকোপ ঢাকা শহর কেন্দ্রিক হলেও বর্তমানে অন্য জেলাগুলোতেও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রামে। এর জন্য দায়ী চট্টগ্রামে কিছু যায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা। এসব বসতিতে যেখানে-সেখানে পানি জমে থাকছে তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা ও বংশ বিস্তার হচ্ছে ব্যাপক হারে। আর এ অবস্থার জন্য দায়ভার কি জনগণের অসচেতনতা নাকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও রয়েছে? দায় যারই থাকুক, মানুষ ডেঙ্গু থেকে মুক্তি চায়। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এর থেকে জনগণকে মুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানাই।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।