ঢাকা ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বাস্থ্য সচেতনতা

প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ
স্বাস্থ্য সচেতনতা

আমরা জানি, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। তাই এ বিষয়ে লিখতে আগ্রহ হচ্ছে। কারণ স্বাস্থ্য সম্পর্কীত যে জ্ঞান আমার আছে এবং যা আমি সচরাচর মেনে চলি, সেটা যদি অন্যের সমান্যটুকুও কাজে লাগে তাহলে আমি ধন্য হবো। আল্লাহর শুকরিয়া ৫৯ বছর বয়সে আমার প্রতিদিন নিয়মিত ঔষধ খেতে হয় না। সে হিসাবে আমাকে স্বাস্থ্য সচেতন বলতেই পারেন। তো শুরু করা যাক। স্বাস্থ্য মূলত দুই প্রকার। এক- শারীরিক, দুই- মানসিক। শারীরিক সুস্থতার জন্য খুব স্বল্প সংখ্যক লোক সচেতন। তবে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতার খুবই অভাব পরিলক্ষিত হয়। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে- হতাশা, বিষন্নতা, একাকিত্ব, উদ্বেগ, শুচিবাই, অবসাদ, স্মৃতিভ্রমের মতো মারাত্মক মানসিক রোগ হতে পারে, যার কারণে- ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বড় বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আত্মহত্যার মতো জটিল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মেডিটেশন দরকার। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য উন্নত দেশসহ সকল দেশে মেডিটেশন ক্লাব গড়ে উঠছে এবং এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের ক্লাব গড়ে উঠছে। মেডিটেশন মানে জিকির বা ধ্যান। জিকির যেহেতু দরকার হবে- তাই আল্লাহ তায়ালা জিকিরের ব্যবস্থা হিসাবে বিভিন্ন এবাদত দিয়েছেন এবং বাধ্যতামূলক করেছেন। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘জিকিরের জন্য নামাজ কায়েম কর’। জিকিরের জন্য রসুল (সা.) বিভিন্ন আমল করতে উৎসাহ দিয়েছেন। যেমন- কোরআন তেলাওয়াত, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, তসবিহ- তাহলিল, তাকদিস ইত্যাদি। অন্যান্য ধর্মেও ধ্যানের জন্য উৎসাহ দেয়া আছে। জিকির/ধ্যানের উপকারিতাণ্ড (১) মানসিক চাপ কমায় (২) দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে (৩) আবেগীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করে (৪) আত্মসচেতনতা বাড়ায় (৫) মনোযোগের ব্যাপ্তি বাড়ায় (৬) বয়স সম্পর্কিত স্মৃতিশক্তি হ্রাসে প্রবণতা কমায় (৭) উদারতা তৈরি করতে পারে (৮) আসক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে (৯) ঘুমের উন্নতি ঘটায় (১০) ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (১১) রক্তচাপ কমায় (১২) সব জায়গায় গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। সুস্থতার লক্ষণ প্রধানত তিনটি। প্রথমণ্ড খাবার খেলে হজম হয়। দ্বিতীয়- প্রসাব-পায়খানা স্বাভাবিক। তৃতীয়- পরিমিত ঘুম হয়। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে সমস্যা থাকলে অবহেলা করা ঠিক হবে না। হজমে সমস্যা হয় সাধারণত খাবার পর পর বেশি পানি খাওয়া, খাবার পর পর শুয়ে/বসে থাকা, প্রতিনিয়ত গুরু পাক, ভাজাপোড়া, তেল/চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, কম ঘুমানো উল্লেখযোগ্য। প্রসাবের সমস্যা হয় সাধারণত পানি কম খাওয়া, প্রতিনিয়ত প্রসাব আটকিয়ে রাখা, প্রসাবের চাপ নিয়ে ঘুমিয়ে পরা উল্লেখযোগ্য। পায়খানা নিয়মিত না হওয়া (কোষ্ঠকাঠিন্য) সাধারণত- পানি কম খাওয়া, শাক-সবজি-ফলমূল কম খাওয়া, পায়খানার চাপের পর বিলম্ব করতে থাকা, শুধু গোস্ত খাওয়া, ৩-৪ মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ সেবন না করা উল্লেখযোগ্য। ঘুম না আসার কারণ সঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস না করা, অনেক রাত পর্যন্ত না ঘুমানো ও মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্য। শরীরিক সুস্থতার জন্য তিনটি অভ্যাসের ভারসাম্য দরকার। প্রথমত- শারীরিক পরিশ্রম করা, দ্বিতীয়ত-খাদ্য গ্রহণ, তৃতীয়ত-শারীরিক বিশ্রাম নেয়া। অর্থাৎ সুস্থ থাকতে হলে এই অভ্যাসগুলো অব্যশই মেনে চলতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম এ পরিমাণ হতে হবে যেন, শরীর থেকে ঘাম ঝড়ে। যারা কায়িক পরিশ্রম করে- কুলি, মজুর, কৃষক, শ্রমিক এরা সাধারণত খুব বেশি দূরারোগ্য ব্যাধিতে ভোগে না। অবশ্য ভেজাল খাবার, কীটনাশক ও ফরমালিনের কারণে এ সমস্ত লোকদেরও এখন দূরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিচ্ছে। যারা বসা কাজ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করেন তাদের সকাল-বিকাল বাগানে কাজ করা, ব্যায়ম করা, হাঁটা, জিমে যাওয়া প্রভৃতির মাধ্যমে শরীরকে ঘামানোর চেষ্টা করা। এতে রক্ত চলাচল বাড়ার কারণে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়বে, শরীরের বর্জ্য দ্রুত বের হবে, ঘুমটা ভালো হবে। পরিমিত ঘুম সুস্বাস্থ্যের অন্যতম অনুসর্গ। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। দুই বারেও ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করা যেতে পারে। রাসুল (সা.) তিন সময় ঘুমাতেন- এশার আগে খেয়ে এশার পর ঘুমিয়ে যেতেন। শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পরে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলেই সুন্নত পড়ে ঘুমিয়ে যেতেন আর বেলাল (রা.) জামাতের সময় ডেকে দিতেন। জোহরের আগে খেতেন ও জোহরের পর শুইতেন। শুইলে আমাদের মেরুদণ্ড বিশ্রাম পায় এতে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। স্বাস্থ্য খাতে জনগণ শারীরিক পরিশ্রম করলে যে পরিমাণ জাতীয় বাজেট বরাদ্দ দরকার হবে তার চেয়ে বেশি বরাদ্দ দরকার হবে যদি জনগণ শারীরিক পরিশ্রম না করে অর্থাৎ অলস হয়। কারণ অলস হলে রোগ ব্যাধি বাড়বে। জনগণের রোগব্যাধি বাড়লে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বেশি লাগবে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষণীয় হলো সবাইকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। যারা বসা কাজ করেন বা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করেন তাদের সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক সক্রিয়তা বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্যহীনতা বেশি ঘটে। আমরা শারীরিকভাবে সমস্যায় পড়লে সচেতন হই। হৃদরোগ হলে এ ব্যাপারে সচেতন হই, কিডনি রোগ হলে এ ব্যাপারে সচেতন হই, লিভারের রোগ দেখা দিলে আমরা সচেতন হই, ডায়াবেটিস হলে তখন আমরা সচেতন হই, হাড়ের সমস্যা দেখা দিলে আমরা সচেতন হই। অথচ আগে সচেতন হলে অনেক রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেমন- স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হৃৎপিণ্ড, কিডনি, লিভার, হাড়ের জন্য কি কি খাবার উপাদেয় আর কি কি খাবার ঝুঁকিপূর্ণ তা আগেই জানবে, সেইভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলবে। কি কি অভ্যাস এসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের জন্য ভালো এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেভাবেই দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর চর্চা করবে। যেমন আগে ঘুমালে ভালো না রাত ২-৩টার দিকে ঘুমালে ভালো? রাতের খারার রাত ৮টার মধ্যে খাওয়া ভালো না সন্ধ্যার পর নাস্তা করে ঘুমানোর আগদিয়ে খাওয়া ভালো? স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হলো রাত ৮টার মধ্যে রাতের ভারী খাবার খাওয়া এবং খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর এবং ২ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমানো। কারণ খাবার পর পর ঘুমানো ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। ঘুমানোর পর শরীরের অনেক অঙ্গ অকার্যকর থাকে। যার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দেয় এবং শরীরবৃত্তীয় অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে।

খাবার গ্রহণ পরিমিত ও সুষম হতে হবে। খাদ্যের উপাদান ৬টি- (১) শর্করা (২) আমিষ (৩) স্নেহ (৪) ভিটামিন (৫) খনিজ লবণ ও (৬) পানি। শাক-সবজি বেশি খেতে হবে শর্করা কম। কারণ শর্করা থেকে গ্লুকোজ তৈরি হয়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়লে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়ার প্রবণতা বাড়ে। শাক-সবজি প্রতিজন প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম খাওয়া উচিত। মৌসুমি সকল শাক-সবজি খাওয়া। একই ধরনের শাক-সবজি প্রতিদিন না খাওয়া। আমিষ জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া। মাছ না গোস্ত কোনটি প্রাধান্য দিব? এ ব্যাপারে আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বি চৌধুরী শিক্ষকতা করার সময় ওনার ছাত্র-ছাত্রীদের কবিতার ছন্দে বলতেন- ‘বেশি-পা-না-খা, কম-পা-খা, নাই-পা-খা-খা’। অর্থাৎ ৪ বা ততোধিক পাবিশিষ্ট প্রাণী না খাওয়াই ভালো। দু পা বিশিষ্ট প্রাণী যেমন- মুরগি, হাঁস, পাখি ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। আর নাই পা মানে- মাছ, বেশি বেশি খা, এটাই স্বাস্থ্যকর। তেল কম খাওয়া। আমরা খাবার মুখরোচক করার জন্য অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করি, যেটা অস্বাস্থ্যকর। এ উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন- সয়াবিন কোনো তেল না বরং ক্যামিক্যাল। সবচাইতে শরীরের দিক দিয়ে উপকারী ভালো তেল-অলিভ ওয়েল, দ্বিতীয় সারির হলো সূর্যমূখী বীজের তেল। তারপর হলো রাইচ ব্রান ওয়েল, সরিষার তেল খাওয়া যেতে পারে। লবণ পরিমিত খাওয়া। একটা পরিসংখ্যানে এসেছে যে, লবণ কম খেলে উচ্চ রক্তচাপের রোগী অর্ধেক কমে যাবে। চিনি/মিষ্টি বেশি খাওয়া ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ায়। কমাতে হবে। একজন বয়স্ক পুরুষ প্রতিদিন চিনি সর্বোচ্চ ৩৭ গ্রাম খেতে পারবে আর বয়স্ক মহিলা খেতে পারবে সর্বোচ্চ ২৫ গ্রাম। চিনি/মিষ্টি বেশি খাওয়া ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ায়। ভিটামিনগুলো আমাদের শরীরকে বাড়াতেও সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিনের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। কিছু ভিটামিন শরীরকে সংক্রমন প্রতিরোধ করতে এবং স্নায়ুকে সুস্থ রাখতে সাহায্যে করে। অন্যগুলো আমাদের শরীরকে খাদ্য থেকে শক্তি শোষণ করতে বা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্যে করে। ১৩টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে অ, ঈ, উ, ঊ, ক এবং ই ভিটামিন (ই১-থোয়ামিন, ই২-রিবোফ্লাভিন, ই৩-নিয়াসিন, ই৫-প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ই৬- পাইরিডক্সিন, ই৭- বায়োটিন, ই৯- ফোলেট, ই১২- কোবালামিন)। শরীর কখনো ভিটামিন ঈ তৈরি করে না এবং সংরক্ষণও করে না অর্থাৎ প্রতি দিনেরটা প্রতিদিনই নিতে হয়। টক জাতীয় খাবার ভিটামিন ঈ এর উৎস। ভিটামিন ঈ এর অভাবে অনেক রোগব্যাধি দেখা দেয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। প্রতিদিনই ভিটামিন ঈ নিতে হবে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে নেয়াই নিরাপদ। আমলকির মধ্যে ভিটামিন ঈ সবচাইতে বেশী পাওয়া যায়। বিভিন্ন ফলে এই ভিটামিন থাকে। তাই ফলজাতীয় খাবার প্রতিদিন খাওয়া উচিত। ফল কোষের পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় যার কারণে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আচার ঈ এর উৎস নয়। কারণ রান্নার পর ভিটামিন ঈ নষ্ট হয়ে যায়।

আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম কেøারাইড, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ, জিঙ্ক, আয়োডিন, সালফার, কোবাল্ট, তামা, ক্লোরাইড, ম্যাঙ্গানিজ, সেলিনিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। এ সবের মধ্যে ক্যালসিয়াম বেশী পরিমাণ প্রয়োজন হয়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতে জমা হয় যা উহাদের মজবুত করতে ও ভাল রাখতে সাহায্যে করে। আমাদের শরীরের পেশী এবং রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত ও প্রসারিত করতে এবং স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে সাহায্যে করার জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ৪০ বছর বয়সের পর আমাদের হাড় ক্ষয় হতে থাকে। তাই প্রতিদিন ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। প্রধানত দুগ্ধ জাতীয় খাবার ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ। সব চাইতে বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় টক দই এ। কোনো কোনো সবজিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ শরীরকে সরবরাহ করা সুস্থতার চাবিকাঠি। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যরশ্মি থেকে ৭০ শতাংশ- ৮০ শতাংশ। ভিটামিন ডি ছাড়া শরীর ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। এজন্য প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকা জরুরি। পানি পান করার আদর্শ হিসাব হলো- প্রতিদিন নিজের প্রতি কেজি ওজনের জন্য সর্বনিম্ন ৩০ সষ আর সর্বোচ্চ ৪৫ সষ পর্যন্ত পান করা। খাবারের পর হজমের শেষের দিকে ১ থেকে ১.৫ গ্লাস পানি পান করা। বাকি সময় একবারে বেশি পানি পান করার কারণে কিডনিতে চাপ পড়তে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে পানিশূন্যতা দেখা দিবে এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। সরবতের কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন- সকাল বেলায় এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে একটি লেবু চিপে দিয়ে খালি পেটে পান করা। সম্ভব হলে সরবতে এক চামুচ মধু দেয়া যেতে পারে। বেশি গরম পানিতে মধু না দেয়া ভালো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত