একজন গাড়িচালক হওয়া ততটা সহজ না যতটা আমরা মনে করি। একজন বাসচালক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত। তার বাসে দৈনন্দিন নিত্য নতুন মানুষ আরোহন করে। প্রত্যেক মানুষের মন-মানসিকতা সমান নয়। কিন্তু একজন বাসচালক ও সহকারীকে সবার মন জুগিয়ে চলতে হয়। একজন চালককে রাস্তায় চলার সময় সর্বক্ষণ তিনটি লুকিং গ্লাসের দিকে খেয়াল রাখতে হয় এবং হাতের স্টিয়ারিংয়ের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হয়। এসব কিছু মেইনটেইন করতে হলে প্রয়োজন একটা সুস্থ সবল মস্তিষ্ক। কিন্তু পাবলিক বাসে মানুষের ভিড় এবং সারাক্ষণ কোলাহলের মধ্যে থাকতে হয়। এত কিছুর মধ্যেও একজন চালক কীভাবে তার আইকিউ ঠিক রেখে বাস চালায় তা ভাবতেই আশ্চর্য লাগে। একজন চালকের হাতে বাসে থাকা ৪০-৫০ জন মানুষের জীবন নির্ভর করে। আর আমরা বাসে উঠে কেবল আমাদের নিজের সুবিধার কথাই চিন্তা করি। এটা ঠিক যে, কিছু চালক ও তার সহকারী যাত্রীদের সাথে বাজে ব্যবহার করে, কৌশলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। কিন্তু তারপরও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ, জ্যাম, মানুষদের মেইনটেইন করে একজন চালক দৈনিক কয়েকশ’ মানুষের জীবন নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দেয়। এজন্য কী তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো ভালো আচরণ পেতে পারে না? তাই আসুন, আমরা নিজেরা বাসে উঠে শুধু আমাদের কথা চিন্তা না করে, সকলের কথা চিন্তা করার মন-মানসিকতা তৈরি করি। সকলেই যেন বাসের চালক ও তার সহকারীর সাথে ভালো আচরণ করি। তাহলে তারাও আমাদের সাথে ভালো আচরণে অভ্যস্থ হবেন।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।