ঢাকা ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নতুন সুবাস নিয়ে নতুন বছরের শুরু

নতুন সুবাস নিয়ে নতুন বছরের শুরু

শেষ হয়ে গেল আনন্দ বেদনার ২০২৪ সাল। সারাবিশ্ব বরণ করে নিলো আরো একটি নতুন বছরকে। স্বাগত ২০২৫। নতুন বছরের সুবাস ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে। সেই সুবাসে মধ্যদিয়ে বাংলাদেশও জেগে উঠুক নতুন করে। বিদায়ী বছরের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য এই বছরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বছর অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিশ্চয়ই সফল হবেন বলে সবাই বিশ্বাস করেন। অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছেন। এজন্য ৬টি সংস্কার কমিশনও গঠন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দিবেন। এই বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সাধারণ জনগণ যে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল, একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেই ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার একটি দারুন বছর হতে পারে। রাষ্ট্রপরিচালনায় সব ধরনের সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের শেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এক্ষেত্রে নির্বাচনপ্রক্রিয়া, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তির ওপর অনেকটা নির্ভর করছে। গত ১৫ বছরে ভোটার হওয়ার যোগ্য তাদের নাম ভোটার তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের রমজান মাসে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম জনগণের নাগালে রাখতে হবে। ছিনতাই, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন করার কথা বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রাজধানীতে সম্প্রতি এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের সব বিচার সম্পন্ন করে আমরা আগামী বিজয় দিবস পালন করব। আমরা সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত ‘টপ কমান্ডার’ বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সবার বিচার প্রায় আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। আইন উপদেষ্টা ও চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে জুলাই গণহত্যার বিচারের সময়সীমা নিয়ে কথা বলায় কোনো কোনো মহল থেকে গণহত্যার বিচার প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তেমনটি মনে করি না। আমরা মনে করি, গণহত্যা বিচারের এরকম একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় বিচার কাজে সংশ্লিষ্টরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যেমন যত্নশীল হবেন; তেমনি অধিক তৎপর হবেন। একইসঙ্গে এর মধ্যদিয়ে বিচার পাওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার হবে। গত বছর নিয়ন্ত্রহীন দ্রব্যমূল্যের কারণে সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিলো। সামনে রমজান আসছে। যদিও সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না। দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রধান উপদেষ্টা অনুরোধ করেছেন। ইতোমধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। গত বছর জুড়ে ব্যাংক খাতের যে অস্থিরতা ছিলো, বিদায় বছর শেষে কিছুটা সংকট কেটেছে। গ্রাহকরা ব্যাংকের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে পাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত