পৃথিবীতে ১৮ হাজার মাখলুকাত। তার মধ্যে মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে আবার লিঙ্গের ভিত্তিতে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা: পুরুষ লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ, তৃতীয় লিঙ্গ। পুরুষ ও মহিলাদের গ্রহণযোগ্যতা সমাজে থাকলেও, নেই তৃতীয় লিঙ্গের। যার জন্য জীবিকানির্বাহে তাদের পরতে হয় চরম বিরম্বনায়। পরনির্ভশীল হয়েই জীবনের পথচলা তাদের। অন্যের কাছে হাত পেতে, ভিক্ষাবৃত্তি করে, মানুষকে জিম্মি করে, ছোট শিশুদের গুটির চাল বানিয়ে, মহিলাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, সাধারণ মানুষকে মারধোর করে, সাথে মেয়ে মানুষ থাকলে তাদের অর্থ আদায়ের হাতিয়ার বানিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে জীবন পরিচালনা করে থাকেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। যা কখনোই একটা দেশের জন্য মঙ্গলকর নয়। প্রতিটি সেক্টরে যেমন থাকে ভালো দিক তেমনি খারাপ। তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মধ্যেও ভালো খারাপ বিরাজমান। তাদের মধ্যেও আছে আত্মসম্মান বোধ। সেই আত্মসম্মান বোধ থেকে অনেকেই কর্ম করে খায়, অনেকেই কর্ম করতে চায়। তারা পরনির্ভশীল ও মানুষের বিড়ম্বনার কারন হতে চায় না। কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্র তাদের ইচ্ছা শক্তির যথাযথ ব্যবহার করতে সক্ষম না হওয়ার কারনে তারা হয়ে উঠেছে সমাজের বিরক্তিকর অধ্যায়। অনেকেই আবার এটাকে নিচ্ছে সহজে অর্থ আয়ের উৎস হিসেবে। তাইতো অনেকে পুরুষ থেকে পরিবর্তন হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গে। যা সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ। তৃতীয় লিঙ্গের কথা শুনলেই আমরা তাদের দিকে আড় চোখে তাকাই। যার কারন হিসেবে আমরা সমাজ ব্যবস্থা ও তাদের কার্যক্রমকে দায়ী করতে পারি। সময়ের পরিক্রমায় সমাজের একটা বড় অংশে পরিণত হচ্ছে তারা। এদের বঞ্চিত রেখে কখনোই সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সরকারের উচিত তৃতীয় লিঙ্গের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাদের জন্য কর্ম সংস্থান, শিক্ষা, সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। সমাজের সকলের মধ্যে কুসংস্কার, পৌরনিক ধ্যান-ধারণার সমাপ্তি ঘটিয়ে আধুনিকতার আলোয় আলোকিত সমাজ গড়তে নারী-পুরুষের পাশাপাশি তাদের মতেরও প্রাধান্য দিতে হবে।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ