ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। তিন দিন কোনো সরকার নেই। পুলিশ বাহিনী পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। জনপ্রশাসনে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা। এমন এক পরিস্থিতিতে গত বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হলো।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে এই ছয় মাস পার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশ বাহিনী এখনও কাজের স্বাভাবিক ধারায় ফেরেনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। অবশ্য যে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল সেটা কিছুটা শৃঙ্খলায় ফিরেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও সফলতা আসেনি। খাদ্যমূল্যস্ফীতি এখনও ১০ শতাংশের উপরে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নতুন বিনিয়োগ টানা আর অর্থনীতির গতি ফেরানোও এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দাবি-দাওয়া নিয়ে নানা আন্দোলনে প্রায়ই জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
চলতি বছরের মধ্যেই বিচার শেষ করতে চায় সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অন্যতম আলোচিত বিষয় সংস্কার। সরকারের ৬ মাস পূর্তির এই দিনেই প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। আলোচনা রয়ে গেছে নির্বাচন নিয়েও। সর্বশেষ জাপানি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ ভাগে নির্বাচন হতে পারে। ছয় মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম সফলতার মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের (রিজার্ভ) পতন ঠেকানো।