আহ্ছানিয়া মিশন উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সারা পৃথিবীতেই এর অধ্যাত্মবাদী ও জনকল্যাণমূলক কর্মপরিধি বিস্তৃত। ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ নীতিবাক্যে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুফিসাধক হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এই মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। সাতক্ষীরা জেলার নলতা শরীফে আহ্ছানিয়া মিশনের কেন্দ্র অবস্থিত। এ বছর আহ্ছানিয়া মিশনের ৯০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে এবং নতুনভাবে উদ্দীপ্ত হতে প্রতিষ্ঠাদিবস আজ ১৫ মার্চকে ‘আহ্ছানিয়া মিশন দিবস’ হিসেবে উদযাপন করছে।
আহ্ছানিয়া মিশন হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক চেতনার সাংগঠনিক প্রয়াস। নিজস্ব বা প্রাতিস্বিক ভাবনাকে প্রাতিষ্ঠানিক সত্তায় রূপান্তর করতে তিনি আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নিজ জীবনের এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত মিশনের উদ্দেশ্য অভিন্ন। তিনি লিখেছেন- ‘শরীয়ত আমার শরীর আর তরীকত আমার প্রাণ। এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য সৃষ্টি করাই আমার জীবনের উদ্দেশ এবং এই উদ্দেশ্য বিশ্বকে জানাইতে আমি উদ্গ্রীব।’ তাঁর এই উদ্গ্রীব এবং উদ্দীপনাতে আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্দেশ্য মিশে আছে। ‘মিশনের মুখ্য উদ্দেশ্য’ শিরোনামে তিনি লিখেছেন- ‘আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্দেশ্য- শরীয়ত ও তরীকতের সমন্বয় সাধন, শরীয়তকে তরীকতে পরিণত করা, ধরার বুকে বেহস্ত আনয়ন করা।’
‘সত্যতা, পবিত্রতা ও প্রেমিকতা’ এই তিন ভিত্তির উপর মিশন প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)-এর জীবন-দর্শন প্রতিষ্ঠিত। তাঁর দর্শনের এই তিন মৌলভিত্তি থেকেই আহ্ছানিয়া মিশনের আদর্শ উৎসারিত। সাতটি পবিত্র অঙ্গীকার সহকারে তিনি মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেছেন। মিশনের লক্ষ্য নির্ধারণে তিনি লিখেছেন- ‘সমগ্রমানব সমাজের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতি সাধন করা; মানুষে মানুষে পার্থক্য দূর করা; একতা ও ভ্রাতৃত্বের বিকাশ সাধন ও স্বর্গীয় প্রেম জাগরণে প্রেরণা জাগানো; মানুষকে নম্র ও বিনয়ী হতে, আমিত্ব বিসর্জন দিতে, আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করতে শিক্ষা দেয়া; মানুষকে স্রষ্টা ও সৃষ্টের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে ও উপলব্ধি করতে সক্ষম করা; সৃষ্টিকর্তার প্রতি ও তাঁর সকল সৃষ্টি-জগতের প্রতি কর্তব্য সম্পাদন করিতে সক্ষম করা এবং নিপীড়িত সকল মানব জাতির প্রতি সম্ভাব্য সকল সাহায্য-সহযোগিতা করা।’
পৃথিবীজুড়ে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ও মানুষে মানুষে মহব্বতের বন্ধন দৃঢ় করতে আহ্ছানিয়া মিশনের জন্ম। বিশেষ জাতি-বর্ণ-গোষ্ঠীতে মিশনের পরিধি বৃত্তাবদ্ধ নয়। তিনি মিশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন এভাবে- ‘এই মিশনের মুখ্য উদ্দেশ্য: স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা। ইহার উদ্দেশ্য অতি ব্যাপক। সমগ্র মানব সমাজের উন্নয়ন ও আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের মহান দায়িত্ব লইয়া এই মিশন জন্ম লাভ করিয়াছে। কোনো বিশেষ সম্প্রদায়, কি বিশেষ জাতি, কি বিশেষ বর্ণে ইহা সীমাবদ্ধ নহে। সকল বান্দা খোদারই সৃষ্ট এবং সৃষ্টির প্রতি তাহার মহব্বত বিদ্যমান।...মানুষে মানুষে পার্থক্য করা অবিধেয়। প্রত্যেক সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার মহব্বত সমভাবে বিদ্যমান, সুতরাং সৃষ্টের প্রতি বৈষম্য দৃষ্টি রাখিলে স্রষ্টার প্রতি হেয় জ্ঞান করা হয়। সৃষ্টের খেদমতই প্রকৃতপক্ষে খোদার খেদমত।’
১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করার পর হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) আভিজাত্যের কলকাতার নগরী ছেড়ে নিজ গ্রাম সাতক্ষীরার নলতায় ফিরে আসেন। তিনি লিখেছেন- ‘দীর্ঘকাল জন্মভূমি হইতে দূরে ছিলাম।
একদা বশারাত হইলো ৪০০ শত মানবের রূহানী চিকিৎসার জন্য আমাকে দেশে ফিরিতে হইবে। আমার মত এই নালায়েকের উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হইল, তাহা মাথায় লইয়া দেশে ফিরিলাম এবং সংকল্প করিলাম জীবনের অবশিষ্ট কয়েকদিন গরিব-সেবায় ব্রতী থাকিব।’
এখানে মিশন প্রতিষ্ঠাতার দৃষ্টিভঙ্গির দুটি দিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও পর্যবেক্ষণযোগ্য। প্রথমত মিশনের প্রতিষ্ঠালগ্নে ব্রিটিশ ভারতের কেন্দ্র কলকাতা ছেড়ে তিনি স্বগ্রামে ফিরে আসেন। শহরের পরিবর্র্তে গ্রামের অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত অথচ সহজ-সরল মানুষকে নিয়ে মিশনের অভিযাত্রার শুভ সূচনা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন- ‘শহর হইতে দূরে সরিয়া মানবের খেদমত করাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য স্থির করিয়াছি। খেদমতে যে আনন্দ, মখ্দুমিয়াতে তাহা নেই।’ দ্বিতীয়ত, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বড় বড় অনুদান বা বরাদ্দের পরিবর্তে তিনি মুষ্ঠিভিক্ষার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষকে মিশনে সম্পৃক্ত করতে সচেষ্ট হন। ‘আমার শিক্ষা ও দীক্ষা’ গ্রন্থে আহ্ছানিয়া মিশনের প্রারম্ভিক পর্যায় নিয়ে তিনি লিখেছেন- ‘আমরা দ্বারে দ্বারে মুষ্টি ভিক্ষা করি এবং মুষ্টির চাউল বিক্রয় করি- শিক্ষকের বেতন দেই, শ্রমিকবেশে স্বয়ং রাস্তা-ঘাট প্রস্তুত করি, নামাজ শিক্ষার ব্যবস্থা করি...।’
মিশন প্রতিষ্ঠার একবারে প্রারম্ভিক পর্যায়ে তিনি সমাজ সেবার পাশাপাশি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মিশনকর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি মিলাদ ও দরুদ শরীফের আয়োজন করতেন। আমন্ত্রণ বা আহ্বানের অপেক্ষা না করে অনেক সময় অন্তর্গত তাড়নায় উপযাচক হয়ে তিনি মিলাদ শরীফের পয়গাম নিয়ে মানুষের বাড়িতে হাজির হতেন। পাশাপাশি বাড়িসংলগ্ন মছজিদে মিশনের মাধ্যমে মক্তব ও নৈশস্কুলের সূচনা করেন। এ সময় মৃতের সৎকার মিশনের কর্মসূচির তালিকায় গুরুত্বের সাথে স্থান পায়। মিশনের উদীপ্ত পথচলায় তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন- ‘খেদমত করাই মিশনের একমাত্র কর্ত্তব্য। আমরা খাদেম হইতে ভালবাসি। পীর সাজিয়া অপরের খেদমত গ্রহণ করা অপছন্দ করি।...সাম্য, একতা ও ভ্রাতৃত্ব আমাদের চরম লক্ষ্য। শ্রমিকবেশে রাস্তা তৈয়ারী করিব, আর সেই রাস্তার আশেকের পদণ্ডধূলি বক্ষে লইয়া চরিতার্থ হইব, ক্ষুদ্র আমরা- মহাদরবারে শোকরিয়া আদায় করিব! খাদেম হইয়া আমরা মানুষের মনকে জয় করিব, বক্তৃতার দ্বারা নয়- কার্যের দ্বারা। আমরা ভিক্ষুক হইয়া চাউল কুড়াইয়া দুস্থের দেহে কাপড় যোগাইব, আমরা দরূদ শরীফ আবৃতি করিয়া ব্যাধি পীড়া অপনোদন করিব...।’
আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্দেশ্য, আদর্শ ও কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে মানুষের আগ্রহ জন্মে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মিশনের শাখা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভক্তির আগ পর্যন্ত খুলনা ও কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় অভিন্ন আদর্শ ও উদ্দেশ্য নিয়ে অন্তত ৩০টি মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বার্ষিক সম্মেলনগুলোতে এসব মিশন যোগদান করে। মিশন প্রতিষ্ঠার প্রথম দশকেই অভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মহিলা মিশন প্রতিষ্ঠাও শুরু হয়। ফলে মিশন প্রতিষ্ঠার এক যুগের মধ্যেই হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা নলতা আহ্ছানিয়া মিশনকে সকল মিশনের আদর্শ হিসেবে কেন্দ্রীয় মিশনরূপে ঘোষণা করেন। ৪৭ এ ভারত ভাগের পরবর্তী এক যুগের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ে আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, চট্টগ্রাম আহ্ছানিয়া মিশন, হবিগঞ্জ আহ্ছানিয়া মিশন ইত্যাদি এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সাতটি বিভাগের কুড়িটি জেলায় ১৮৬টি মিশন, ভারতের কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ৯টি মিশন, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় একটি করে সারা পৃথিবীতে ২০০টি আহ্ছানিয়া মিশন স্ব-স্ব উদ্যোগে, স্ব-স্ব পরিধিতে স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবায় নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
আহ্ছানিয়া মিশন ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গত ৯ দশক ধরে কাজ করছে। এর প্রবাহমান কর্মসূচিতে কোথাও কোনো অবসাদ নেই, কখনো স্তিমিত হয়নি মিশনের আদর্শিক গতিধারা। মিশনের বিভিন্ন অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন রমজান মাসে মাসব্যাপী দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ইফতার জমায়েতের আয়োজন করে যেখানে প্রতিদিন দশ হাজারের বেশি রোজাদার একত্রে ইফতার করেন। মিশনের পরিচালনায় দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে দাতব্য হাসপাতাল হিসেবে আহ্ছানিয়া মিশন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে গরিব ও অসহায় মানুষকে সেবা দিয়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পাবলিক লাইব্রেরি, ইসলামিক লাইব্রেরি পরিচালনা করে এবং গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া সারা বছর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বৃক্ষ রোপণ, বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্প, অসহায় দুস্থের অর্থিক সহায়তা, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প পরিচালনা, মিশনের কবরস্থানসমূহে বেওয়ারিশ ও হত-দরিদ্র পরিবারের মৃতদের দাফন-কাফনে ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন শাখা মিশনের পরিচালনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় এতিমখানা পরিচালনা তথা স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবায় এসব কার্যক্রম পরিচালনায় মিশনের অসংখ্য প্রকল্প চলমান।
কেন্দ্রীয় মিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন শাখা মিশন অভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ দক্ষতার সাথে কাজ করছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ‘আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য সেক্টরের আওতায় বিভিন্ন হাসপাতাল, ‘আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ ক’টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ এবং পথশিশু পুনর্বাসনসহ অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এছাড়া হবিগঞ্জ আহ্ছানিয়া মিশন, চট্টগ্রাম আহ্ছানিয়া মিশন, কুমিল্লার লাঙলকোর্ট আহ্ছানিয়া মিশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নোয়াগাঁও আহ্ছানিয়া মিশন, খুলনা আহ্ছানিয়া মিশন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন, আস্কারপুর আহ্ছানিয়া মিশন, দেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা আহ্ছানিয়া মিশন, মরিচা-ভাঙড় আহ্ছানিয়া মিশন, ঘুণি আহ্ছানিয়া মিশন, উত্তর আমেরিকায় আমেরিকা ও কানাডা আহ্ছানিয়া মিশন, ইউরোপে লন্ডন আহ্ছানিয়া মিশন অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়া আহ্ছানিয়া মিশন স্ব স্ব পরিধিতে উল্যেখযোগ্যভাবে কাজ করছে।
মিশন প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) মনে করতেন- আত্মিক উন্নয়ন ছাড়া মনুষ্যত্বের বিকাশ সম্ভব নয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ-ভালোবাসা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় মানবিক পৃথিবী গড়া। মানুষকে প্রেমময়ের প্রেমে আলোকিত করা আহ্ছানিয়া মিশনের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অধ্যাত্মিক শিক্ষার মাধ্যমে আত্মিক উন্নয়ন ও শান্তির পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় নিরলস পরিশ্রম করছে আহ্ছানিয়া মিশন। শতবর্ষের অভিমুখে আহ্ছানিয়া মিশনের প্রত্যাশা মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধের বিকাশ ঘটুক, মানুষ ভালোবাসুক সমগ্র সৃষ্টিকুলকে, ধর্মে ধর্মে সংঘাতের অবসান ঘটুক, সাম্প্রদায়িক বীজ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হোক, অস্থিরতার পৃথিবীতে স্থিরতা আসুক ফিরে, স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবায় নিমগ্ন হোক পৃথিবী।
পরিচালক, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট