শীত মৌসুম এলেই শুরু হয় খেজুর রস, খেজুরের গুড়সহ নানা উপাদানে তৈরি পিঠা খাওয়ার ধুম। উদ্বেগের বিষয়, কালের বিবর্তনে রসের হাড়ি ও খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য হারাতে বসেছে। গ্রামে এর কিছুটা দেখা মিললেও ইট-পাথরের শহরে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে খেজুর গাছ। ক্রমাগত অপরিকল্পিত নগরায়ন গিলে খাচ্ছে বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী রস-উৎসব। বর্তমানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে গাছের সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি অপ্রাচুর্যতা আছে খেজুরের রসেরও। যাদের শৈশব-কৈশোর গ্রামে কেটেছে তাদের হয়তো খেজুরের রস খাওয়ার সঙ্গে আছে মূল্যবান স্মৃতি; কিন্তু খেজুর গাছের বিপন্নতায় শহুরে জনগোষ্ঠীর আছে বাংলার এ ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার তিক্ততা। যে হারে খেজুর গাছ নিধন হচ্ছে সে তুলনায় রোপণ করা হয় না। এখন আর আগের মতো ফেরি করে খেজুর রস বিক্রির দৃশ্যও খুব একটা চোখে পড়ে না? অযতœ আর অবহেলায় মলিন কিছু খেজুর গাছের দেখা মিললেও তাতে রস হয় না। বাংলার হারাতে বসা এ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে সরকারি উদ্যোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হ
আরিফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ