সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে নতুন গঠিত সংগঠন ‘ফিল্ম অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ’ বা ফ্যাব। এ সংগঠনের উদ্যোগেই ৩০ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফ্যাব ফেস্ট’ শীর্ষক সম্মেলন। যেখানে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, চিত্রগ্রাহক, প্রযোজক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, লেখক, গণমাধ্যমকর্মী ও দৃশ্যসংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। প্রথমবারের মতো দেশে এমন ক্রিয়েটিভ সামিট অনুষ্ঠিত হলো। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় ফ্যাব ফেস্ট উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর, চলচ্চিত্রকার মসিউদ্দিন শাকের ও মোরশেদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ। উদ্বোধনী পর্বে গান পরিবেশন করেন আরমীন মুসা, তনুশ্রী দাস, রেজাউল করিম, ইউসুফ আলী খান, আহনাফ খান প্রমুখ।
মূলত সিনেমা বা দৃশ্যশিল্পের নীতিমালা ‘সংস্কার’ ও বাংলা কনটেন্টের বর্তমান সময়কে ‘নতুন করে সংজ্ঞায়িত’ করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে ফ্যাব ফেস্ট। আয়োজকদের ভাষায় এটি ‘চিন্তা লেনদেনের উৎসব’। এ উৎসবের মাধ্যমে গল্প বলার স্বাধীনতা, এফডিসি সংস্কার, নীতিমালা সময়োপযোগী করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছেন নির্মাতা-কুশলীরা।
উদ্বোধনের পর ‘বাংলাদেশি সিনেমা অ্যাট আ ক্রস রোড : হাউ রিফর্ম ক্যান প্রোপেল আস’ শীর্ষক একটি আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নূর সাফা জুলহাজের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, কামার আহমাদ সাইমন, পিপলু আর খান ও ব্যারিস্টার মঈন গণি।
সকাল সাড়ে ১১টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় ‘গোয়িং ওয়াইল্ড, গোয়িং জেনর’ শীর্ষক আলোচনা। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে আলোচনায় হয়। দুপুরের পর অনুষ্ঠিত হয় ‘হাউ পরান অ্যান্ড হাওয়া ব্রট ডাউন দ্য হাউস’ শীর্ষক কেস স্টাডি। এটি সঞ্চালনা করেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
বিকাল সোয়া ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ‘স্টে লোকাল, গো গ্লোবাল : প্রডিউসারস পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক আলোচনা। সন্ধ্যায় ‘কনটেন্ট অ্যাজ কারেন্সি’ শীর্ষক আলোচনার সঞ্চালনা করেন প্রযোজক গাউসুল আলম শাওন। এরপর কালজয়ী সিনেমা ‘ঘুড্ডি’র স্মৃতিচারণায় অংশ নেন নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ও অভিনেত্রী লায়লা আজাদ নূপুর। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী।