সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জেনেসিস থিয়েটার’-এর প্রধান নূর হোসেন রানা। তার সৃষ্টিশীল কাজের বেশিরভাগই শিশুদের নিয়ে। পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বলা যায় তিনিই মাতিয়ে রাখেন। সর্বশেষ ‘আদি ঢাকা পিঠা উৎসব’-এ সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যবস্থা করে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। পাশাপাশি মঞ্চে জাতীয় কবি নজরুলকে নিয়েও কাজ করছেন।
তিনি একাধারে মঞ্চ, টিভি, চলচ্চিত্র অভিনেতা, নির্দেশক এবং নাট্য সংগঠক। মঞ্চে তার নির্দেশনায় জেনেসিস থিয়েটারের প্রযোজনা ‘দামাল ছেলে নজরুল’ ও ‘একজন আমেনা’ সর্বাধিক প্রদর্শিত নাটক। আজ তার জন্মদিন।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, তার এবারের জন্মদিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হবে। জন্মদিন প্রসঙ্গে নূর হোসেন রানা বলেন, জন্মদিন কখনোই আয়োজন করে উদযাপন করা হয় না। যেহেতু একটা দল চালাই, দলের ছেলেমেয়েদের আবদারে এবার স্বল্প পরিসরে কিছু আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে অবশ্য আমি বিস্তারিত কিছু জানি না।
নিজ সংগঠন জেনেসিস থিয়েটার প্রসঙ্গে নূর হোসেন রানা বলেন, মোরশেদ ভাইয়ের (নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম) ফিল্ম সোসাইটিতে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম আমি। মুক্তিযুদ্ধের ওপর কিছু করার স্বপ্ন থেকে বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হই। ১৯৯০ সালে তখন জেনেসিসের জন্ম। এর পর মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কালোচিল’ পরিবেশনার মাধ্যমে আমরা আত্মপ্রকাশ করি। এতে আমি অভিনয়ও করি। ছবিটি ওই সময় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। সে থেকেই জেনেসিস থিয়েটারের পথচলা।
নিজের কাজ প্রসঙ্গে রানা বলেন, আমি শিশুতোষ কাজে আগ্রহী। সেই চেতনা থেকে বিটিভিতে নির্মাণ করি ছোটদের জন্য নাটক ‘সীমান্তের ওপারে’ ও ‘আমার খোকা যুদ্ধে গেল’। এছাড়া, নির্মাণ করি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পড়ন্ত বিকেল, ‘হারান মাঝি’ ও ‘একজন কুসুমের গল্প’।
গত বছর ২৫ মার্চ মুক্তি পায় নূর হোসেন রানা অভিনীত মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জাল ছেঁড়ার সময়’। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাফিজ উদ্দিনের সহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ওই সময় বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ও করেছিলেন। এছাড়া, একাধিক বিজ্ঞাপনচিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন তিনি।
নূর হোসেন রানা বলেন, অভিনয়টা চালিয়ে যেতে চাই। যেহেতু শিশু-কিশোরদের নিয়ে আমি কাজ করতে পছন্দ করি, নির্দেশনায় সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।