ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বাধীনতার মাসে এলো যুদ্ধের দুই সিনেমা

৩ মার্চ প্রেক্ষাগৃহের আলোয় এলো দুটি সিনেমা। চমৎকার ব্যাপার হলো, দুটি সিনেমাই মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। এগুলো হলো ‘ওরা ৭ জন’ ও ‘জেকে ১৯৭১’। সাধারণত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ঘিরে পরিবেশ শান্তই থাকে। তবে এ দুটি সিনেমা থেমে থেমে বিভিন্ন সময়ে আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে। পোস্টার, ট্রেলারের সূত্র ধরে পেয়েছে প্রশংসাও। মুক্তি উপলক্ষে ছবি দুটির যাবতীয় তথ্যে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক-
স্বাধীনতার মাসে এলো যুদ্ধের দুই সিনেমা

ওরা ৭ জন

নির্মাণ করেছেন খিজির হায়াত খান। মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরের একটি গল্প পর্দায় তুলে আনার চেষ্টা করেছেন তিনি। এজন্য ছবিটির শুটিং করা হয়েছে সিলেট অঞ্চলে। নির্মাণ শেষে অবশ্য মুক্তি দিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে নির্মাতাকে। কারণ দু’দিন আগ অব্দি তিনি জানতেন না, তার ছবিটি আসলে কয়টি হল পাবে কিংবা আদৌ পাবে কি-না! তবে মুক্তির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতল ‘ওরা ৭ জন’ টিম। দেশের ২৬টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে এটি, যা সাম্প্রতিক সিনেমাগুলো তো বটেই, যুদ্ধভিত্তিক সিনেমার ক্ষেত্রেও বড় সংখ্যা।

স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নির্মাতা খিজির হায়াত খান বললেন, দেশটা আমাদের, ইন্ডাস্ট্রিটা আমাদের- আর এটাকে বাঁচানোর দায়িত্বও আমাদের। পাশে থাকার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। অর্জনে, গর্জনে, বিজয়ে দেখা হবে সিনেমা হলে।

জেকে ১৯৭১

মুক্তিযুদ্ধের বহু ঘটনা এ প্রজন্মের আড়ালে রয়ে গেছে। সেরকম একটি ঘটনাই ক্যামেরায় তুলে আনলেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান। এটি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা। দেশের ৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তার জন্য ফরাসি যুবক জ্যঁ কুয়ে ছিনতাই করেছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) একটি বিমান। তার সেই দুঃসাহসী কাণ্ডই উঠে এসেছে ‘জেকে ১৯৭১’ ছবির পর্দায়।

ছবিটি নির্মিত হয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এর কারণ জানিয়ে নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান বলেছেন, ‘আমরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের, আফগান যুদ্ধ এমনকি সোমালিয়ার যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত সিনেমা দেখি। কিন্তু আন্তর্জাতিক দর্শকদের দেখানোর জন্য ইংরেজিতে আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের কোনো সিনেমা নেই। তাই আমরা এ সিনেমাটি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করছি এই ছবির মাধ্যমে ফরাসি যুবক জ্যঁ কুয়েকে মানুষের ভালোবাসার জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।’

এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সৌরভ শুভ্র দাস। এ ছাড়া আরও রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতা ফ্রান্সিসকো রেমন্ড, রুশ অভিনেত্রী ডেরিয়া গভ্রুসেনকো, অভিনেতা নিকোলাই নভোমিনাস্কি, পশ্চিমবঙ্গের সব্যসাচী চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত