বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস ছিল ২১ মার্চ। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসুচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আয়োজনে ছিল আলোচনা, গুণী পুতুলনাট্য শিল্পী সম্মাননা প্রদান ও পুতুলনাট্য প্রদর্শনী। ঢাকার আয়োজনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল স্কুল পর্যায়ে পুতুলনাট্য প্রদর্শনী। শিশুদের নিয়ে বিকাল ৩টায় জাতীয় নাট্যশালার লবিতে অনুষ্ঠিত হয় পুতুলনাট্য কর্মশালা। কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন সাইফুল ইসলাম জর্নাল। বিকেলে নাট্যশালার সিঁড়িতে জলপুতুল পাপেটস ও কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার পরিবেশন করে পুতুলনাট্য প্রদর্শনী। বিকাল সাড়ে ৫টায় বের করা হয় শোভাযাত্রা। সন্ধ্যায় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হয় মূল আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মো. সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সম্মাননা প্রদান করা গুণিজনরা হলেন- কাজলী, ভানু চন্দ্র বর্মণ, কীরিটি রঞ্জন বিশ্বাস ও অধ্যাপক ড. রশীদ হারুন। এর পর শুরু হয় মাল্টিমিডিয়া পাপেট থিয়েটার ও বাংলাদেশের পুতুলনাট্য উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র পুতুলনাট্য প্রদর্শনী। এ ছাড়া ২২ মার্চ সকালে ঢাকা পাপেট থিয়েটারের পরিবেশনায় মোহম্মদপুর প্রভাতি আইডিয়াল স্কুল ঢাকা উদ্যানে পুতুলনাচ পরিবেশন করে। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লালমনিরহাট, রংপুর, বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা, খুলনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও কুমিল্লায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পুতুলনাট্য উৎসব।
