স্বাধীনতা এনেছি আমরা/স্বাধীনতা এনেছি লক্ষ শহীদের রক্তে/স্বাধীনতা এনেছি লক্ষ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে। শহীদের লাল রক্ত যেন যায় না বৃথা এই লক্ষে/মেহনতি জনতাকে শপথ নিতে হবে ঐক্যে/এসো দেশটাকে ভালোবেসে কাজ করি মিলেমিশে বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে। স্বাধীনতা রক্ষায় দিতে যদি হয় আরও প্রাণ/প্রাণ দেব তবু মোরা দেব নাকো মান। নতুন করে মনের মতন গড়তে এ দেশটাকে সবাই/ঘরে বসে থেকো না আর কাজ কর সময় আর নাই/তাই সবকিছু ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলো এগিয়ে। এটি প্রফেসর ড. রশিদুন্ নবীর লেখা একটি গান। ‘স্বাধীনতার গান’ শিরোনামে এ গানটি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রচিত। রশিদুন্ নবী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে তিনি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। তার কর্মের পথ সুর ও সঙ্গীতের। তাই এ গানটির মাধ্যমে একজন মুক্তিযোদ্ধার রচনায় প্রকাশিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ের আকুতি। গানের প্রথম দিকে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের ইতিহাস যেমন উঠে এসেছে, তেমনি গানটি শেষ হয়েছে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক সঙ্গীতজ্ঞের প্রাণের উপলব্ধি ও চাওয়ার পূর্ণ প্রকাশ এ গানটি। তাই স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও গানটি আজও প্রাসঙ্গিক।