জয়া-স্বস্তিকার প্রথম দেখা
‘আমাদের এ বন্ধন চিরকাল স্থায়ী হোক’
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
টালিগঞ্জের বাণিজ্যিক মাসালা সিনেমার ভিড়ে অভিনয়সত্তা ধরে রাখা গুটিকয়েকের একজন তিনি। এজন্য তার কদর বরাবরই চড়া। সেই অফট্র্যাকের রাস্তায় তার দাপটে রীতিমতো ভাগ বসালেন আরেক অভিনেত্রী।
যিনি কলকাতা তো দূর, ভারতেরও নন; বরং বাংলাদেশের।
একের পর এক টলি ছবিতে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে সবাইর মন জয় করে নিলেন এক দশকের জার্নিতে। নিজের মাঠে অন্যের দাপট দেখে কপালে ভাঁজ পড়া কিংবা মনের কোণে হিংসার দাবানলের সূচনা হওয়াটা হয়তো স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তা ঘটেনি। বরং ঢাকাই রমণীর প্রতিটি কাজই মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছেন তিনি। যাদের ঘিরে এত কথার অবতারণা, তারা স্বস্তিকা মুখার্জি ও জয়া আহসান।
একজন টলিউডে আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত তারকা, অন্যজন ঢাকা থেকে গিয়ে গড়েছেন নিজস্ব সাম্রাজ্য। মজার ব্যাপার হলো, জয়ার টলিউড জার্নির এক দশকেও স্বস্তিকার সঙ্গে কখনও দেখাই হয়নি, একত্রে কাজ তো আরও দূরবর্তী প্রসঙ্গ। তবে আসন্ন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুই দেবীর পারস্পরিক দর্শনের সুযোগটা হয়েছে।
কলকাতার ইনডালজ ম্যাগাজিনের বিশেষ ফটোশুটে একত্রে অংশ নিয়েছেন জয়া-স্বস্তিকা। যেটার ছবিগুলো এইর মধ্যে সোশ্যাল দেওয়ালে ভাইরাল।
স্বস্তিকা বলেন, তার (জয়া) অভিনীত সবগুলো সিনেমা আমি দেখেছি, দর্শক হিসেবে তার সঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি। সবসময় চেয়েছি তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে। ইনডালজকে ধন্যবাদ সেই সুযোগটা করে দেওয়ার জন্য। ওদিকে জয়ার মুখেও ঝরলো উচ্ছ্বাসের বুলি। লিখলেন, স্বস্তিকা মুখার্জি, এটা তো কেবল সূচনা আমার মনে হয়; একসঙ্গে আরও অনেক প্রচেষ্টার সূত্রপাত। অনেক ভালোবাসা নিও। তোমার কাজ ও উদ্যোগগুলো সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে; শুধু অভিনয়শিল্পী হিসেবেই নয়, বরং মানুষ হিসেবেও। আমাদের এ বন্ধন চিরকাল স্থায়ী হোক।