ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নসু মাঝি আর সন্ধ্যাতারার গল্প

নসু মাঝি আর সন্ধ্যাতারার গল্প

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম। বিস্তীর্ণ হাওরের মাঝে বিচ্ছিন্ন এক উপজেলা। যেখানে অনেকের ভিড়ে এবারের ঈদে দু’জন বিশেষ মানুষের দেখা পাবেন টিভি দর্শকরা; তারা হলেন নসু মাঝি আর সন্ধ্যাতারা। হাওরের এই দু’জন মানুষকে ঘিরে একটি বিশেষ টেলিছবি রচনা ও নির্মাণ করেছেন হিমু আকরাম। নাম রেখেছেন ‘সন্ধ্যা নামের নদীটা’। এতে নসু চরিত্রে শ্যামল মাওলা আর সন্ধ্যা হলেন মিহি আহসান। পুরো শুটিং হয়েছে অষ্টগ্রামেই।

হিমু আকরাম গল্পটি এমনভাবে বেঁধেছেন, তার খানিক রেশ রাখা যাক আগাম। নসু মাঝি হাওরে ট্রলার চালায়। জামাল মিয়ার আটটি ট্রলারের মধ্যে একটার দায়িত্ব নসুর। বিকাল হলে নদীতে যখন ঢেউ বাড়ে, নসুর তখন সন্ধ্যার জন্য মন পোড়ে। সন্ধ্যার কথা ভাবতে ভাবতেই তার দিন যায়, রাত পোহায়। নসু মাঝি অবশ্য তাকে সন্ধ্যা বলে ডাকে না, ডাকে সন্ধ্যাতারা নামে।

চুরি করে স্টুডিওতে ছবি তোলা, গ্রামের হাটে জিলাপি কেনা, আলতা পরানো- ভালোই কাটে নসু আর সন্ধ্যাতারার প্রেম। বাড়ে একে অপরের প্রতি মায়া।

একদিন ইজারাদার লোকমান আসে সন্ধ্যাকে বিয়ে করতে। গঞ্জে শাড়ি-চুড়ি বিক্রি করা সন্ধ্যার গরিব বাবা রাজি হয় সেই বিয়েতে। রাজি হয় না শুধু সন্ধ্যা। নসু মাঝির জন্য তার মন পোড়ে। নসুকে নিয়ে পুবেরচরে একচালা ঘর উঠানোর স্বপ্ন তার ম্যালা দিনের! এ পর্যন্ত গল্পটা পুরনো আদলের মনে হলেও ভিন্নতা তৈরি হয় টেলিছবিটির পরের অংশে, যা আগাম বলতে নারাজ নির্মাতা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত