এখনকার সময়ে যেখানে বিয়ে ভাঙা অনেকটা ছেলেখেলায় পরিণত হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে অনন্য উদাহরণ তৈরি করলেন নাটকের দুই তারকা অভিনয়শিল্পী তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের দুই যুগ পার করে ফেলেছেন এই তারকা দম্পতি। অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ বুয়েট থেকে স্থাপত্যে স্নাতক অর্জন করেন। তবে অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল সেই ছেলেবেলা থেকেই। তাই তো কলেজে পড়াকালীন সময়ে জড়িয়ে যান মঞ্চ নাটকে।
আশির দশকের শেষের দিকে নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন তৌকীর। পরবর্তী সময়ে লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট থিয়েটার থেকে মঞ্চনাটক পরিচালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে চলচ্চিত্রে ডিপ্লোমা করে তিনি নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। অন্যদিকে জনপ্রিয় অভিনেতা বাবা আবুল হায়াতের পথ অনুসরণ করে নব্বইয়ের দশকে অভিনয় জগতে পা রাখেন বিপাশা হায়াত। ওই সময়ের জনপ্রিয় অনেক টিভি নাটকেই অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। মঞ্চ নাটকেও তিনি সমানভাবে সফল ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন গুণী এই অভিনেত্রী। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে শ্বশুর আবুল হায়াতের প্রথম নাটক ‘হারজিৎ’-এ অভিনয় করেন তৌকীর আহমেদ। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন স্ত্রী বিপাশা হায়াত। তখনো অবশ্য স্বামী-স্ত্রী হননি তারা। এর পর একসঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতে শুরু করেন তৌকীর-বিপাশা। সহশিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় তাদের মধ্যে। ওই সময় টেলিভিশনের পর্দায় শীর্ষ চাহিদাসম্পন্ন জুটি হয়ে ওঠেন তারা। এই জুটির ভালোবাসার সম্পর্ক গভীরতা লাভ করে ১৯৯৯ সালে। ওই বছরের ২৩ জুলাই সেনাকুঞ্জ মিলনায়তনে অভিনেত্রী বিপাশা হায়াতকে বিয়ে করেন তৌকীর আহমেদ। বিপাশা হায়াত ও তৌকীর আহমেদ দু’জনের বিয়ের অনুষ্ঠান একসঙ্গে হয়েছিল। তাই দুই পরিবার মিলে চার হাজার অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। সারা বাংলাদেশ থেকে লোকজন এসেছিল তাদের বিয়েতে। সেদিন ছয়-সাত হাজার মানুষ এসেছিল।
অনেকেই সেদিন খেতে আসেননি, শুধু একনজর দেখতে এসেছিলেন জনপ্রিয় এই জুটিকে।