ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অশ্লীল যুগে ছোটপর্দার কারণে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বড়পর্দা : বন্যা মির্জা

অশ্লীল যুগে ছোটপর্দার কারণে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বড়পর্দা : বন্যা মির্জা

সিনেমা ও নাটক তথা বড়পর্দা-ছোটপর্দার মধ্যে বিভাজন নিয়ে সমাজমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। তার দাবি, ছোটপর্দার তারকাণ্ডপরিচালকরা হাল না ধরলে বড়পর্দা অস্তিত্বের সংকটে পড়ত। বন্যা মির্জা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বড়পর্দা ছোট হয়ে যেত বহু আগে, যদি ছোটপর্দা থেকে নির্মাতা আর অভিনেতারা এসে কাজ না করতেন। অভিনয় মানের কোনো মিনিমাম প্রতিযোগিতা থাকত না তাহলে। কয়েকজন মানুষকে নিয়ে কোনো কারখানা চলে না। আর চলে না বলেই ভিন্ন দেশ থেকে লোকজন ধার করতে হয়। বাংলাদেশের সিনেমা চাঙ্গা হতে ছোটপর্দার নির্মাতা ও অভিনেতার দরকার হয়েছে। আর তা ছাড়া চলচ্চিত্র একটা বড় মাধ্যম। এতে একটা কোনো নির্দিষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক কাজ করেন না। কোনো দেশেই। থিয়েটার, মিউজিক আর লিটারেচার থেকে তো আসেনই; আসেন টিভি রেডিও থেকেও। আর এটাই হলো সিনেমার ইতিহাস। তিনি মনে করেন, চলচ্চিত্রের ইতিহাসটা সবাই ভুলতে বসেছেন। তিনি লেখেন, মনে হয় ইতিহাসটা সবাই ভুলতে বসেছেন। আবোল-তাবোল সব তর্ক করলে তো ইতিহাস বদলাবে না, গায়ের জোর দেখানো হবে। গোলাম মুস্তাফা সুপারস্টার তো ছিলেন বটেই, এমনকি খলিলও ছিলেন। নায়কদের মধ্যে কেবল না, তখন সুপারস্টার ছিলেন খলনায়ক, কৌতুকাভিনেতা, প্লেব্যাক সিংগার, এমনকি চিত্রগ্রাহকের মধ্যেও। বুঝতে অসুবিধা হলে বেবি ইসলামদের মতো মানুষের নাম মনে করুন।

জিজ্ঞাসা করুন পুরোনোদের। ঢাকার কালচারের অভিজাত ছিলেন এরা সবাই। এবং অভিজাতরাও সিনেমায় যেতেন এদেরই কারণে। বন্যা মির্জা লিখেছেন, ‘ সো-কলড কাটপিস, অশ্লীল (শব্দটা খুব খারাপ যদিও) দিয়ে যখন সিনেমা কোনোমতে চলে, হল সব যখন বন্ধ হতে শুরু করেছে, তখন সেই কারখানা যতটুকু দাঁড়াল তা ছোটপর্দার নির্মাতা আর অভিনেতাদের হাত ধরে। কেউ এটা অস্বীকার করলে কিছুমাত্র যাবে আসবে না। সময়টার দিকে ঘুরে দাঁড়ালে এটাই বোঝা যাবে। ঠিক তেমনি করেই যারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম নির্মাণ করেন তাদেরও অবদান আছে। সিনেমা কারখানা কারো একক মালিকানাধীন নয়। শেষে তিনি লেখেন, ‘এটাও বলতে চাই যে ‘অশ্লীল’ শব্দটা শুনতেই বেঠিক লাগে কানে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত