নতুন ও পুরোনো নাটক নিয়ে ঢাকার মঞ্চে ব্যস্ত সময় পার করছে নাট্যদলগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় নভেম্বর মাসে তিন নাটক নিয়ে মঞ্চে থাকবে প্রাচ্যনাট। নাটকগুলো হলো ‘খোয়াবনামা’, ‘আগুনযাত্রা’ ও ‘কইন্যা’। সাতচল্লিশের দেশভাগের পটভূমিতে তৎকালীন জনমানুষের বিস্তৃত জীবন আখ্যান ‘খোয়াবনামা’।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের আলোচিত খোয়াবনামা উপন্যাস থেকে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন মো. শওকত হোসেন সজীব। নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। এটি প্রাচ্যনাটের ৩৭তম প্রযোজনা। অভিনয়ে আছেন সানজিদা প্রীতি, সাখাওয়াত হোসেন রিজভী, মনিরুল ইসলাম রুবেল, চেতনা রহমান ভাষা, শশাঙ্ক সাহা, শ্রাবণ শাম প্রমুখ। আগামী ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে প্রদর্শিত হবে খোয়াবনামা। প্রাচ্যনাটের ৪১তম প্রযোজনা ‘আগুনযাত্রা’। নাটকটির গল্প গড়ে উঠেছে উমা নামে এক চরিত্রকে কেন্দ্র করে। উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তরকামী মানুষ। এ গবেষণার সূত্র ধরে কমলা হিজড়ার হত্যাকাণ্ডের সূত্র খুঁজে পায় উমা।
গবেষণা করতে গিয়ে উমা জড়িয়ে পড়ে এ সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে। ভারতীয় নাট্যকার মহেশ দাত্তানির লেখা ‘সেভেন স্টেপ অ্যারাউন্ড দ্য ফায়ার’ থেকে নাটকটি অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। অভিনয়ে শাহেদ আলী, ফরহাদ হামিদ, সানজিদা প্রীতি, শারমিন আক্তার শর্মি, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, ডায়ানা ম্যারলিন প্রমুখ। আগামী ১০ নভেম্বর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দেখা যাবে নাটকটি। এছাড়া আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে প্রাচ্যনাটের নবম প্রযোজনা ‘কইন্যা’। সিলেট-সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলের লৌকিকতা নিয়ে নাটকটি রচনা করেছেন মুরাদ খান। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, অনেক দিন আগে কইন্যা পীর কালারুকায় এসেছিলেন। কালারুকার মানুষের এখনো বিশ্বাস, কইন্যা পীর তাদের দেখে রাখেন। গল্পে এগোলে জানা যায়, দুই গ্রামের বিচ্ছিন্নতার প্রতীক একটি খাল। যার নাম চেঙ্গের খাল। চেঙ্গের খালের পশ্চিমপারের সাহেবজাদার ধর্মচিন্তা পূর্বপারের কালারুকার নাইওর আলীর ধর্মচিন্তা থেকে আলাদা। তিনি চান ওই পারে কালারুকায় তার প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। অভিনয়ে আজাদ আবুল কালাম, সানজিদা প্রীতি, শাহেদ আলী, তৌফিকুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।