শুরু হলো ১৯ দিনব্যাপী যাত্রাপালা উৎসব
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ রুপায়ণ যাত্রাপালা। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তার। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পণ স্বরূপ কাজ করে যাত্রাপালা। এবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ১৯ দিনব্যাপী ‘গণজাগরনের যাত্রাপালা উৎসব’। ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব। এই উৎসবে ১২০টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪২টি জেলায় ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব ২০২৩’ চলবে।
৩ নভেম্বর যাত্রাদল স্বাধীন বাংলা নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় যাত্রাপালা ‘আলোর পথে’, যাত্রাদল মহানগর ‘দবির দফাদার’ এবং যাত্রাদল শিখা নাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। ৪ নভেম্বর যাত্রাদল প্রগতি নাট্য সংস্থার ‘একজন রহিমুদ্দি’, যাত্রাদল নিউ লোকনাথ অপেরা ‘জননী জন্মভুমিশ্চ’ এবং যাত্রাদল বন্ধু অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। ৫ নভেম্বর যাত্রাদল সীমা অপেরা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’, যাত্রাদল গোল্ডেন-৯ নাট্যগোষ্ঠী ‘দবির দফাদার’ এবং যাত্রাদল জয়যাত্রা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। ৬ নভেম্বর যাত্রাদল স্বরূপ কথার ‘একজন রহিমুদ্দি’, যাত্রাদল নিউ শামীম নাট্য সংস্থার ‘শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং যাত্রাদল একতা অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জাগো মানুষ জাগাও মানুষ’। প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বরের পর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৪২টি জেলায় বিভিন্ন দলের পরিবেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চলবে এই যাত্রাপালা উৎসব। যাত্রাপালা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।