অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা কোথায় পেলেন?
শাবনূর আপুর অভিনয় দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিনয়ে এবং সিনেমার প্রতি আগ্রহ জন্মে।
যন্ত্রণার সাথে যুক্ত হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই।
যন্ত্রণার সঙ্গে যুক্ত হলাম একটা মিষ্টি মধুর যন্ত্রণার মধ্যদিয়ে, আমার মুঠো ফোনে একটা কল আসে, কল রিসিভ করলে অপর পাশে থেকে বলে আপু আপনি কি বড় পর্দায় কাজ করতে ইচ্ছুক? তারপর আমি আগ্রহ প্রকাশ করি। পরবর্তীতে কাজ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলা হয় এবং তারা তাদের গল্পে আমাকে নির্বাচন করেন। প্রথমে আমি কাজটি করতে চাইনি কারণ বড় পর্দায় একটা চ্যালেঞ্জ থাকে যে ১০০ তে ১০০ না হলে তো সিনেমা হিট হবে না, ফ্লপ হয়ে গেলে পরবর্তীতে কি হবে না হবে! তো এই ভাবেই নানান জল্পনা-কল্পনার মধ্যদিয়ে যুক্ত হই যন্ত্রণা সিনেমার সাথে।
শুটিংয়ের সময় মজার কোনো স্মৃতি?
খুবই দ্রুত সময়ে শুটিং শুরু করতে হয়েছিল। শুটিংয়ের প্রথম দিনই অসুস্থতার কারণে আমাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তখন সবাই মনে করেছিল আমি মজা করছি, আমি শুটিং সেট ছেড়ে চলে যাব! আসলে না, আমি একদম-ই অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম।
আপনার স্বপ্নের চরিত্র কোনটি, যেটিতে কাজ করার ইচ্ছে আপনার?
সুন্দর একটা গল্পে নিজেকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই। তবে মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে সিনেমা, শিক্ষিকা বা চিকিৎসক এর চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপনা করার ইচ্ছেটা একটু বেশি।
অভিনয়ের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দিক কোনটি বলে মনে হয় আপনার?
আমার কাছে অভিনয়ে চ্যালেঞ্জিং দিক মনে হয় যে, একটা চরিত্রে আমি অন্তর্গত যেমন বলতে গেলে আমি সায়মা স্মৃতি ঠিক এই চরিত্র থেকে যখন অন্য একটি ভিন্ন চরিত্রে সম্পূর্ণরুপে পরিপূর্ণভাবে স্বল্প কিছু দিনের জন্য নিজেকে পরিবর্তন করতে হয়। কারণ, একটা চরিত্রের মানুষ সহজেই অন্য একটি চরিত্রের মানুষের ১০০ তে ১০০ মুখোশ পড়তে পারে না। তখন কিছু দিনের জন্য নিজেকে ওই পরিবর্তন করাটা আমার কাছে একটু চ্যালেঞ্জিং মনে হয়।
প্রথম সিনেমায় কাজ করে সিনেমাঙ্গনের পরিবেশ আপনার কেমন লাগল?
প্রথম সিনেমাতে কাজ করে আমার সিনেমা অঙ্গনের পরিবেশ যথেষ্ট ভালো লেগেছে। তবে একটু চ্যালেঞ্জিংও মনে হয়েছে। কারণ, এখানে কাজ করতে হলে একদম নিখুঁত হতে হবে, কারণ এখানে অপূর্ণতার কোনো সুযোগ নেই।
ওটিটি প্লাটফর্ম বা ওয়েব সিরিজে কাজ করার কোনো ইচ্ছা আছে কি না?
বাংলা সিনেমার এখন অনেক বেশি উন্নত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলা সিনেমার একটা সুবাতাস বইছে। আপাতত এটাকেই কাজে লাগাতে চাই।
আপনার পরবর্তী কী সিনেমা পেতে যাচ্ছি?
আমার পরবর্তী সিনেমা আশা রাখছি কাজী হায়াৎ স্যারের ‘লাট সাহেব’।
তারকাদের ব্যক্তি জীবন নিয়ে অনেক গসিপ থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকারা ট্রলের শিকার হন এই বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
হ্যাঁ, তারকারা ট্রলের স্বীকার হয়ে থাকে, ভালো এবং মন্দ মানুষ মিলেই সমাজে আমরা বসবাস করি। ভালো মানুষকে তার ভালো চিন্তা ধারা থেকে যেমন দূরে সরানো যায় না, তেমনি মন্দ মানুষকে তার মন্দ চিন্তাধারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
আমরা তারকা, আলোচনা-সমালোচনার সমষ্টিই আমরা। তো করতে থাকুক তারা তাদের কাজ। আর আমি আশাবাদী আমি দর্শকদের ভালো কিছু কাজ যেন উপহার দিতে পারি, আর আমার সেই ভালো কাজ নিয়েই যেন অনেক অলোচনা-সমালোচনা হয়।