দ্বিতীয় বিয়ে করব না : অপু বিশ্বাস
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
একসময় বড়পর্দায় জুটি হিসেবে দেখা যেত ঢালিউড ক্যুইন অপু বিশ্বাস ও চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয় ছিল এই জুটি। সবাই তাদের কেবলই পর্দার নায়ক-নায়িকা হিসেবে জানতেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে এসে এ নায়কের সঙ্গে বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন অপু। একই সঙ্গে একমাত্র আব্রাম খান জয়কে প্রকাশ্যে আনেন। তখন নায়িকা জানান, ২০০৮ সালে শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার। একমাত্র ছেলে জয়ের জন্ম হয় ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, কলকাতায়। আর এভাবে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনায় অনেকটা বিপাকে পড়েন ঢালিউড কুইন। এরপর ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর অপুকে তালাকের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই তারকা দম্পতির তালাক হয় বলে জানা যায়। তবে শাকিব-অপুর মধ্যকার বিরহে বিষয় প্রকাশ্যে আসার কয়েক বছর পর হঠাৎ জানা যায়, বুবলীকে বিয়ে করেছেন শাকিব। ‘বসগিরি’ সিনেমার নায়িকা বুবলী গত বছরের ৩ অক্টোবর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শাকিব খানের সঙ্গে তোলা তিনটি ছবি পোস্ট করে বিয়ের তারিখ জানান। একই সঙ্গে ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্ম তারিখও জানান বুবলী।
বুবলী এভাবে শাকিবের সঙ্গে বিয়ে ও সন্তানের কথা প্রকাশ্যে আনার পর তার সঙ্গে বিরহ শুরু হয় শাকিবের। এদিকে অপু-বুবলী-শাকিবের দাম্পত্য ইস্যু নিয়ে প্রায়ই শিরোনাম ও সমালোচনা হয়। প্রায় চর্চায় উঠে শাকিবের দুই বিয়ে। তবে নায়কের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঝামেলা কিংবা বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠলেও কখনো দ্বিতীয়বার বিয়ে করা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি অপু কিংবা বুবলীকে। এবার দ্বিতীয়বার বিয়ে প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বললেন অপু। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভেবেছেন কি না, এ নিয়ে কথা বলেছেন অপু। তিনি বলেন, কখনো ভাবিনি। আর দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন কী? এর পরই তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমার এমন একটা অবস্থান, যেখানে সবাই মনে করেন- অপু বিশ্বাস যাই করবেন, তাতে একটা বার্তা থাকবে। সেদিক থেকে দর্শকের কাছে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান রয়েছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে?
দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিত পাবে। কিন্তু সন্তানটা? সে কি একজন সৎবাবা পাবে? সন্তানের প্রতি সেই বাবা কি সমান ভালোবাসা দেবে, তা তো নয়। এজন্য আমি মনে করি দ্বিতীয় বিয়েই করব না। এ নায়িকা আরো বলেন, তাহলেই সন্তান তার বাবাকে পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। এজন্য যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতে হয়। আর তাতে ভুল কিছু নেই। একজন মা হিসেবে এই আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন অপু।