সময়টা ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ দলে দলে বসতভিটা ছেড়ে পালাচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাণভয়ে পাড়ি জমাচ্ছে সীমান্তের ওপারে। ফারিণও তার বাবার সঙ্গে দেশ ছাড়ার জন্য বেরিয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষার জন্য ফারিণের বাবা মাথায় টুপি পরেছেন। যাওয়ার পথে জোভানের সামনে পড়ে তারা। জোভান পীর বংশের ছেলে। সবসময় পাঞ্জাবি টুপি পরে থাকে। ফারিণকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। জোভানের মা খুব কট্টর ধার্মিক। ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের এলাকায় আসা পাকিস্তানি বাহিনীর সেবায় তিনি নিবেদিত। ছেলে জোভানকেও তিনি তার মতো করে চলতে কড়াকড়ি আরোপ করেন। কিন্তু ছেলে তার সবকিছু মেনে নিতে নারাজ। এদিকে, পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে রাতে এক ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নেয় ফারিণ ও তার বাবা। প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে মন চায় না ফারিণের।
সকালে কলপাড়ে পানি আনতে গেলে আবার জোভানের মুখোমুখি হয় সে। জোভান তার প্রেমে পড়ে যায়। ফারিণও একটা আকর্ষণবোধ করে।
কিন্তু সে জানে ধর্মীয় কারণে তাদের সম্পর্ক সম্ভব নয়। তাই জোভানকে ফিরিয়ে দিতে চায়। জোভান তাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বিষয়টা বুঝতে পেরে তার মা একরাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ফারিণদের বাড়িতে যায়। এভাবেই এগিয়ে যায় টেলিফিল্ম ‘প্রেম ৭১’। শাহজাহান সৌরভের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ। অভিনয় করেছেন জোভান, তাসানিয়া ফারিণ, এসএম মহসীন, সাবেরী আলম প্রমুখ। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হয় টেলিফিল্মটি।