আ লা প ন

অভিনয় করি দর্শকের জন্য তমা মির্জা

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা। ক্যারিয়ারের অন্যতম সুসময় পার করছেন তিনি। গেল ঈদে মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফির ‘সুড়ঙ্গ’ তার ক্যারিয়ারে যুক্ত করেছে সাফল্যের আরো একটি পালক। ‘ময়না’ চরিত্রে তিনি দর্শকের হৃদয়ে দাগ কেটেছেন। এর আগে একই নির্মাতার ‘ফ্রাইডে’ ও ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেছিল অন্য এক তমা মির্জাকে। ব্যস্ত সময়ের মাঝেই তিনি অর্জন করেছেন স্নাতক ডিগ্রি। নিজের অর্জন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তমার সঙ্গে কথা বলেছেন আলোকিত বাংলাদেশের বিনোদন প্রতিবেদক।

তমা মির্জা নামটি যেন ঢাকা পড়ে গেছে ‘ময়না’য়। জার্নিটা কেমন ছিল?

এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাজি হওয়াটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এটি কোনো টিনএজারের কাহিনি নয়। চাইলেও আমি ন্যাকামি করে সংলাপ বলতে পারব না। ওভার এক্সপ্রেশনও সম্ভব নয়। নিশো ভাই (আফরান নিশো) একজন দক্ষ ও ভালোমানের অভিনেতা। তার অভিনয় সাবলীল ও বাস্তবধর্মী। তার সঙ্গে যদি আমি ওভার করে ফেলি, সেটি স্ক্রিনে খুব বাজে লাগবে। আমাকে ন্যাচারাল অভিনয় করতে হয়েছে। ব্যক্তি তমাকে সবাই চেনেন। আমি এই চরিত্রের মতো নই। আশপাশের যাদের সঙ্গে মিশি, তারাও এমন নয়। আশপাশেও এ ধরনের মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তবে এই ময়নার মতো নারীকে আমরা জানি; কিন্তু কাছ থেকে দেখি খুব কম। তাই চরিত্রকে ভাবা একটু কঠিনই ছিল। ময়না যে কী চায়, তা বোঝা কঠিন। ময়নার চাহিদা খুব অল্প; কিন্তু সেই চাহিদা মেটানোর যে পথ সে বেছে নেয়, সেটা সঠিক নয়। দর্শকের মনে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি অভিনয়শিল্পীদের জন্য এটি একটি রেফারেন্স চরিত্র হয়। সবার মনে যেন দাগ কাটে চরিত্রটি- এটাই ছিল আমার চেষ্টা।

এ ছবিতে তারকা অভিনেতা আফরান নিশোর সঙ্গে অভিনয় করেছেন। কেমন ছিল এ অভিজ্ঞতা?

এই সিনেমায় আমার চরিত্রটা একটু ট্রিকি। পরিচালক রাফীর সঙ্গে আমার আগে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। তিনি কাজের প্রতি খুবই হেল্পফুল। নিশো ভাইয়ের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। তিনি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন, নিশো ভাই আমার কাজটাকে আরো সহজ করে দিয়েছেন।

‘সুড়ঙ্গ’ কি আপনার ক্যারিয়ারের সেরা ছবি?

দেখুন, অভিনয় করি দর্শকের জন্য। তারা যদি এটি বলে থাকেন, তা হলে তো আর কথা নেই। আমার কিন্তু ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘ফ্রাইডে’ও পছন্দের কাজ। তবে সুড়ঙ্গের ক্যানভাস অনেক বড়। এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। কোটি কোটি দর্শক দেখছেন। ‘সুড়ঙ্গ’ আলাদা করে দর্শকের ভালোবাসা ও ভালোলাগার জায়গা তৈরি করে দিয়েছে।

ঈদে আপনার ছবির সঙ্গে আরো কয়েকটি ছবিও মুক্তি পেয়েছিল। সেগুলো নিয়ে অভিমত কী?

ঈদের ছবিগুলো দর্শক বেশ উপভোগ করছেন। এতেই বোঝা যায়, সিনেমার সুদিন ফিরছে। এবার ঈদের সিনেমার গান সুন্দর হয়েছে। অনেককেই বলতে শুনেছি, আগে সিনেমায় ভালো গান হতো, আমরা এখন কেন সে রকম গান পাই না। প্রিয়তমার ‘ঈশ্বর’ তো অসাধারণ। সুড়ঙ্গে ‘গা ছুঁয়ে বলো’ দারুণ হয়েছে। ‘প্রহেলিকা’, ‘ক্যাসিনো’, ‘লাল শাড়ি’ সিনেমায় সুন্দর সুন্দর গান শুনছেন শ্রোতারা। ঈদের সিনেমার সাফল্যের জন্য নির্মাতাদের পাশাপাশি প্রযোজকদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই। সিনেমার ব্যবসা ভালো হলে চলচ্চিত্রের জন্যই মঙ্গল।