বাচিক ও অভিনয়শিল্পী সংগীতা চৌধুরী। বছরজুড়ে আবৃত্তি ও অভিনয় অঙ্গনে তার পদচারণা। সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় আপনগতিতে কাজ করে চলছেন তিনি। ইংরেজি বছরের প্রথম দিন কথা হলো তার সঙ্গে। কুশল বিনিময় শেষে ২০২৩ এর প্রাপ্তি প্রসঙ্গে সংগীতা জানান, গত বছর ভালো গেছে। কাজের পরিধি বেড়েছে। চলমান জীবনযাত্রা গতি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব’। যেখানে আমি সায়েরা খাতুনের চরিত্রে রূপদান করেছি। আরও মুক্তি পেয়েছে শিশুতোষ মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক ছবি ‘মাইক’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এসেছে ওয়েব সিরিজ ‘মিশন হান্টডাউন’ ও ওয়েব ফিল্ম ‘মার্ডার নাইনটিজ’। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ডাবিং প্রিভিউ কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছি। বিটিভির প্রিভিউ কমিটিতে ২০২২ সাল থেকে আছি। আবৃত্তি ও থিয়েটারের ব্যস্ততা ছিল যথারীতি। গেল কয়েকমাস ধরে সংগীতাকে টিকটক প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুকণ্ঠী সংগীতা বলেন, আমি স্কিন অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছি। ‘ইয়েলো বক্স’ এর মাধ্যমে পণ্যগুলো মানুষ ক্রয় করতে পারবে। এসব পণ্য আমি নিজে ব্যবহার করে থাকি। গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্যই এ উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন বছরের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে সংগীতা জানান, এ বছর ব্যস্ততা বাড়বে। দুটো ধারাবাহিক নাটকে যুক্ত হচ্ছি। মুক্তি পাবে ওয়েব ফিল্ম ‘ফরগেট মি নট’ ও সিনেমা ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। ‘কস্তুরি বাচিক পাঠশালা’ এর তিনটি শাখা খুলতে যাচ্ছি বাসাবো, উত্তরা ও আজিমপুরে। বর্তমানে জিগাতলা ও মগবাজার ওয়্যারলেসে দুটো শাখা আছে। আশা করছি মার্চের মধ্যেই শাখাগুলো খুলে যাবে। সবশেষে ২০২৪ সালের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে সংগীতা বললেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বলতে পারি, নতুন বছরে কর্মমুখর, নিরাপদ ও নির্ভার জীবন প্রত্যাশা করছি।