বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
বর্তমানে নিয়মিত কিছু টেলিভশন প্রোগাম ও ইভেন্টের কাজ করছি। কয়েকটি টেলিভিশনে নিয়মিত লাইভ প্রোগ্রাম আছে। যেমন- বাংলাভিশন, মাইটিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, এনটিভি। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৬০ বছর পদার্পণের লাইভ প্রোগ্রামটিও করেছি।
সংস্কৃতি জগতে ঢুকলেন কীভাবে? এক্ষেত্রে পারিবারিক আবহ কতটা অনুকূল ছিল?
ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক মনের ছিলাম, কিন্তু এভাবে ভাবিনি যে একদম মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরাসরি কাজ করা হবে। একটা সময় যখন নিজেকে নিয়ে কিছু করতে হবে, এমন ভাবনা শুরু হলো তখন সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে আবেদন করেছিলাম এবং সিলেক্টও হয়েছিলাম। কিন্তু উপস্থাপনা দিয়েই আমার যাত্রা শুরু করেছি। এরপর নিজেই বুঝতে পারলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে ভালো করতে পারব। এভাবেই উপস্থাপক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করা।
অন্যদিকে, পারিবারিক আবহ কখনো আমার বিপক্ষে ছিল না। আমি যখন আমার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মিডিয়া জগৎটাকে অগ্রাধিকার দিলাম, তখন আমার পরিবার আমাকে সার্বিকভাবে সাপোর্ট করেছে।
কাকে দেখে উপস্থাপনায় আসার আগ্রহ হলো?
সত্যি বলতে প্রথমত কাউকে দেখেই উপস্থাপনায় আগ্রহটা জন্মায়নি। টেলিভশনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো বেশি দেখতাম এবং ওই সময়টায় টেলিভশনগুলোতে নওশীন আপু, মুনমুন আপুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান বেশি হতো। তাদের প্রোগ্রামগুলো খুব ভালো লাগত। ওই দেখাটাকেই আমার শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেছি।
উপস্থাপনার পাশাপাশি অভিনয়ে নিয়মিত হতে চান কি না?
উপস্থাপনা করছি প্রায় ১২ বছর। এর মাঝে কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করা হয়েছে। ২০১২ সালে চ্যানেল নাইনে ‘সোনার বাংলা’ নামের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেলিভিশনে উপস্থাপনার ক্যারিয়ার শুরু হয়। অন্যদিকে, মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘নাইন অ্যান্ড হাফ’ শিরোনামের টেলিফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে পথচলা শুরু হয়। কিন্তু একটা সময় মনে হয়েছে নিজের একটা নির্দিষ্ট পরিচয়ে পরিচিত এবং অন্যরাও একটা পরিচয়ে চিনবে তাই ওতপ্রোতভাবে নাটকে জড়ায়নি। তবে কখনোই যে অভিনয় করব না- তা নয়, ভালো চরিত্র এবং নিজের সময়ের সঙ্গে মিলে গেলে কাজ করা হবে।
বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন?
অনেকগুলো বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। তন্মধ্যে শীর্ষে ছিল- বিকাশ, রূপচাঁদা সরিষা তেল, টেলিটক, প্রাণ গ্রুপের অসংখ্য বিজ্ঞাপন। অভিসিও করা হয়েছে বেশ কিছু।
আপনার ক্যারিয়ারের সেরা কাজ কোনটি?
ক্যারিয়ার অনেক দিনের, প্রথম থেকে নিয়ে এখন প্রর্যন্ত সব কাজই প্রিয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বলতে করোনাকালীন সময়ে আরটিভিতে বাংলার গায়েন সিজন ১ এর কাজ করা। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও অনুষ্ঠান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক কাজ করা হয়েছে। অন্য দেশের মাঝে নিজের দেশকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। ২০২১ সালে বৃহৎ পরিসরে একই মাসে পরপর দুইবার দুবাইয়ের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশিদের জন্য অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছি।
সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছা আছে?
ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই অভিনয়ের জন্য অনেক অফার পেয়েছি, সিনেমাতেও কাজের জন্যে অফার এসেছে। কিন্তু সিনেমায় অভিনয়ের আগ্রহটা তেমন ছিল না, আর আমার ক্যারিয়ারের সময়টায় সিনেমা জগতের অবস্থান তেমন ভালো ছিল না। যে সময়টাতে আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের বা সামাজিক সিনেমা দেখে যাদের বড় হয়ে ওঠা তাদের ওই সময়টাতে সিনেমার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে। যার কারণে সিনেমায় কাজ করা হয়নি। যেহেতু একই প্ল্যাটফর্মে ও কাজ করে যাচ্ছি, যদি কখনো উপন্যাস বা কোনো গল্প নিজের জীবনের সঙ্গে মিলে যায় বা বাস্তবভিত্তিক গল্প হয়, তবে অবশ্যই একটি চরিত্রে নিজেকে দেখেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব।