ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিনেমায় নিয়মিত হতে চান সাদিয়া মাহজাবীন খান

সিনেমায় নিয়মিত হতে চান সাদিয়া মাহজাবীন খান

দেশীয় টিভি নাটকের সাহসী অভিনেত্রী তিনি। নাম তার সাদিয়া মাহজাবীন খান। টিভি মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশের আগে দৃষ্টিপাত নাট্যদলের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন মঞ্চে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে অভিনেত্রী হিসেবে সাদিয়া মাহজাবীন টিভি নাটকেও সমান ব্যস্ত। পাশাপাশি দেশীয় চলচ্চিত্রেও তার মেধার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তার পরিকল্পনা গুণী নির্মাতার কাজ করে নিজেকে সামনের কাতারের অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গেল কয়েক বছর ছোটোখাটো চরিত্রে কাজ করেছি অনেক। কিন্তু ছোটোখাটো চরিত্রে কাজ করলে যেটা হয়, সকলেই ওই একই টাইপের চরিত্রে কাস্ট করতে চায়। অর্থাৎ এক জায়গায় আটকে দেওয়া হয় আমাদের। আমি মনে করি, এভারেজ কাজ করলে আমাদের মতো স্ট্রাগল করা অভিনেত্রীদের স্বপ্নগুলো মরে যায়। তাই প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের সঙ্গে ভালো গল্পের কাজ করার আকুতি জানাই সবসময়। আমি মনে করি, নতুনদের জন্য এখনো শোবিজে শক্ত অবস্থান তৈরি করা অনেক কঠিন। তবুও আমি আশা ছাড়িনি। সাম্প্রতিক সময়ে সাদিয়া বেশকিছু খণ্ড নাটক, ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন উল্লেখ করার মতো চরিত্রে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো- সেলিম রেজার ‘রোমান্টিক বাড়িওয়ালা’ ও সজীব মাহমুদের ‘উগান্ডাপুর’সহ বেশ কিছু ধারাবাহিক। তিনি অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, আনিসুর রহমান মিলন থেকে শুরু করে অনেক তারকা শিল্পীর সঙ্গে। সাদিয়া বলেন, নিজের অভিনয়ের স্কিল প্রমাণ করব বলেই দীর্ঘদিন ধরে থিয়েটারের সাথে যুক্ত রয়েছি। সেখানে প্রতিনিয়ত অভিনয়কলা শিখছি। কখনো আমার নাট্যদলের যেকোনো কলের ক্ষেত্রে সিনিয়র সদস্যরা বলতে পারবে না যে, আমি রিহার্সেল বা শো’র কোনো কাজে দেরি করেছি। সাদিয়া জানান, এখন শিল্পীদের একাধিক প্লাটফর্মে কাজ করার সুযোগ হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে নতুনদের সুযোগ কতটা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এখানে অডিশন নিয়ে কাস্টিং খুবই কম হয়। কিন্তু একজন নবাগত তো তাকে প্রমাণের জন্য অডিশন দিতে সবসময় প্রস্তুত। তাই আমি মনে করি পেশাদারভাবেই স্ক্রিনটেস্ট বা অডিশন-ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন। তাহলে আমাদের সঠিক মেধার মূল্যায়ন হবে। নিজের কাজের ক্ষেত্রে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে কী না জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, আমি অডিশনের কথা এই কারণেই বললাম যে, কেউ আমাকে অডিশন নিয়ে যদি বাদ দেয়, তাহলে কোনো দুঃখ থাকে না। কিন্তু যদি কেউ স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে, সবকিছু ফাইনাল করে কোনো কারণ ছাড়া বাদ দিয়ে অন্য কাউকে কাস্টিং করেন, তাহলে মনে করি অবিচার করা হয়। সেক্ষেত্রে আমি তাই ওটিটির কাজের প্রতি ভরসা রাখতে চাই। কারণ, এখানে প্রোপার স্ক্রিন টেস্ট করেই কাস্টিং করা হয় হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত