বিন্দু কণা, এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। ‘আমি তো ভালানা, ভালা লইয়াই থাইকো’- এই এক গানই তার সঙ্গীত জীবনের চলার পথের হিসেবে নিকেশ বদলে দিয়েছে। এই গান গেয়েই দেশ বিদেশে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন বিন্দু কণা। এরপর থেকে মূলত স্টেজ শোতে তার ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। বিন্দু কণা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় দেশের বাইরে ছিলেন অর্থাৎ গ্রীণ কার্ডের অপেক্ষায় তিনি পাঁচ মাস আমেরিকায় ছিলেন। সেখানে থাকাবস্থাতেও তিনি পাঁচ মাসে আটাশটি স্টেজ শোতে গান গেয়েছেন। দীর্ঘ পাঁচ মাসেরও বেশি সময় তিনি তার স্বামী ইবরার টিপু ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই ছিলেন।
গ্রীণকার্ড পাবার পরই তিনি গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরেন। ফেরার পরই ১২ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার রাওয়া ক্লাবে একটি শোতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আর নতুন বছরের প্রথম শো ছিলো তার গেলো ১৬ জানুয়ারি। ভালোবাসা দিবসের দিন তিনি রাজধানীর অদূরে সাভারের একটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। এদিকে বৈশাখী টিভির জন্য নতুন গীতিকারের লেখা দশটি গানের কাজ শেষ বিন্দু কণার। এই গানগুলো একে একে আগামীকে প্রকাশ পাবে বলে জানালেন বিন্দু কুণা।
তবে আগামী মাসের শুরুতেই বিন্দু কুণার কন্ঠে প্রকাশ পাবে সোহেল আরমানের লেখা ও ইবরার টিপুর সুর সঙ্গীতে ‘বন্ধু’ শিরোনামের একটি গান। এছাড়া সোহেল আরমানের আরো একটি গানের কাজ চলছে। বিন্দু কণা তার আগামীদিনের পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, ‘আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে দীর্ঘদিন নতুন কোনো গান নেই। তাই চ্যানেলটিতে অ্যাক্টিভ করতে কিছু কাভার সং শিগগিরই প্রকাশ করব। এরপর বন্ধুসহ আরো বেশ কয়েকটি একদম কমপ্লিট হওয়া মৌলিক গান প্রকাশ করব। একটা সত্যি কথা বলতেই হয়, দেশের বাইরে ছিলাম জীবনের প্রয়োজনে।
তবে মনটা দেশেই পড়ে ছিলো। প্রতি মুহূর্তে শুধু এটাই ভাবতাম, কবে দেশে ফিরব। দেশের মাটিতে পা রাখার পর বুকটা ভরে নিঃশ্বাস নিয়েছি। দেশ, দেশের মাটি, মানুষকে যে অন্তরে নিজের অজান্তেই এতটা লালন করি তা গভীরভাবে অনুভব করলাম।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি শ্রোতা দর্শকের ভালোবাসা গান করতে পারছি, আগামীতেও যেন এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারি- এ জন্য দোয়া চাই সবার কাছে।’ বিন্দুকণা ছোটবেলায় দেড় বছর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ আবুল কালাম আজাদের কাছে। বিন্দু কণার বাবা এমএ মান্নান বাংলাদেশ
পুলিশ-এ কর্মরত।