‘নৃত্যালোক’র ৩০ বছরের পথচলা শুরু

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ঐতিহ্যবাহী নাচ শেখার প্রতিষ্ঠান ‘নৃত্যালোক’র তিন দশক অর্থাৎ ৩০ বছরের যাত্রা শুরু হয় গত শুক্রবার রাজধানীর উস্কাটন গার্ডেনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে। ‘নৃত্যালোক’ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন কবিরুল ইসলাম রতন। সভাপতি হিসেবে আছেন গোলাম আহমেদ টিটো। সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন দেশ বরেণ্য মডেল, নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ ও গুনী নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার তান্না খান। শুক্রবার ও গতকাল শনিবার থেকে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’তে নতুন ব্যাচের ক্লাশ শুরু হয়েছে। শুধু নাচ নায় গানেও এখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। নাচে প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন কবিরুল ইসলাম রতন, শাওন শান, শম্পা আমিন। গানে প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন সুমন কুমার, রাজিয়া সুলতানা নিপা, জিনিয়া সুলতানা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তারকা নৃত্যশিল্পী ও গায়ক গায়িকা এখানে প্রশিক্ষণ দিতে আসেনও বলে জানিয়েছেন রতন। কবিরুল ইসলাম রতন বাংলাদেশের একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিথযশা নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিচালক। তার পরিচালিত অসংখ্য খণ্ডনৃত্য ও নৃত্যনাট্য দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। ‘নৃত্যালোক’র ৩০ বছরের পথচলা উপলক্ষ্যে রাজধানীলর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আরেক বরেণ্য নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিচালক ইউনেস্কো ও জর্জ হ্যারিসন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিবলী মোহাম্মদ। ৩০ বছরের পথ চলায় উপস্থিত হয়ে শিবলী মোহাম্মদ বলেন, ‘নৃত্যালোকের জন্য সবসময়ই আমার শুভ কামনা। এই প্রতিষ্ঠানের আরো সাফল্য কামনা করি। এটা ভীষণ সত্যি যে দিনশেষে ভালোবাসাটাই মনে থাকে।নৃত্যালোকের জন্য আমরা কাজ করবো সবাই একসাথে কাজ করবো, একে অপরকে সহযোগিতা করব, পাশে গিয়ে দাঁড়াব। সত্যি বলতে কী জীবনটাতো একটাই, এই আছে এই নাই। তাই একসাথে থাকাটাই বুদ্ধি মানের কাজ। একসাথে থাকলেই ভালো থাকা যায়। আমরা একে অপরের পাশে থেকে কাজ দিয়ে এগিয়ে যাব।’ অনুষ্ঠানে শুভ কামনা জানাতে আরো উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী আরজুমান্দ আরা বকুল, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ, তাহমিনা পারভীন, ইভান শাহরিয়ার সোহাগ’সহ আরো অনেকে। কবিরুল ইসলাম রতন বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আগত সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। আমরা সবার ভালোবাসা নিয়েই নৃত্যালোক’কে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আগামীর প্রজন্ম গড়ে উঠবে এই প্রতিষ্ঠানের ছায়ায় থেকে, ভালোবাসায় থেকে। তাই আগ্রহীদের বিশেষ অনুরোধ থাকবে বছরের শুরুতেই নৃত্যালোক-এ আসার জন্য। আমরা আমাদের সর্বাত্মক দিয়ে চেষ্টা করব একজন পরিপূর্ণ নৃত্যশিল্পী বা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে।’