ফারজানা ছবি, দেশ বরেণ্য একজন গুণী অভিনেত্রী। একজন ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি তিনি ব্যতিক্রম তথা জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পেই অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
যে কারণে তাকে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। অনেক নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি অভিনয়ে স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক পুরস্কার। সেসব পুরস্কার তাকে অভিনয়ে বারবার অনুপ্রাণিত করে আলো ভালো অভিনয় করার সাহস জুগিয়েছে। তাই অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলায় তিনি পরিণত হয়েছেন দর্শকের ভালোবাসার এক অভিনেত্রীতে। এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ফারজানা ছবির লেখা প্রথম উপন্যাস ‘জলছবি’। ‘ছবির জলছবি’ এমন কথাই যেন বইমেলায় পাঠকদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছিলো। বিষয়টি ছবিকেও যেন অনেক আনন্দ দিচ্ছে প্রতি মুহুর্তে। গত শুক্রবার বইমেলা চত্ত্বরেই ছবির মা আয়েশা রহমান ছবির জীবনের প্রথম উপন্যাস ‘জলছবি’র মোড়ক উন্মোচন করেন। সঙ্গে ছিলেন ছবির বড় ভাই মিজানুর রহমান। ফারজানা ছবি বলেন, ‘মানুষ এবং মানুষের ভিন্ন ভিন্ন জীবন দর্শনে আমি বরাবরই আলোড়িত হই। অভিনয় শিল্পী হবার সুবাদে বিচিত্র সব চরিত্র ও অনুভূতি পরিভ্রমণের সৌভাগ্য হয় আমার। প্রতিটি চরিত্রের মধ্যদিয়ে অচেনা অজানা জীবনকে বাক্সবন্দি করি নিত্যদিন। আর সেই সব জীবন পর্যবেক্ষণ আমার লেখার রসদ জোগায় প্রতিনিয়ত।
অনেক আগে থেকেই আমার টুকরো টুকরো লেখা পড়ে বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজন আমাকে লেখায় মনোযোগী হতে বলেছিলেন। অবশেষে মহান আল্লাহ আমাকে এই গ্রন্থটি লেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। পাঠকের অনুপ্রেরণা পেলে কলম এবং লেখাকে আগামীতে সাথী করার প্রত্যাশা রাখি। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি আমি। আর বইমেলা প্রাঙ্গণে আমার মায়ের হাত ধরেই আমার জীবনের প্রথম উপন্যাসের অভিষেক হলো, যেন জীবনকে এখন অনেক অনেক পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে। হয়তো এমন দিনের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম এতটা বছর। আমার মায়ের সঙ্গে বইমেলায় আমার বড় ভাইও ছিলেন। জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’জন মানুষ বইমেলায় এসে আমার পাশে থেকে আমাকে আশীর্বাদ করে গেছেন, এক জীবনে এমন প্রাপ্তির কোনো ব্যাখা হয় না। জীবন এখানেই সুন্দর, জীবন এখানেই অর্থবহ।’ উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স।