বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম গ্ল্যামার গার্ল হিসেবে খ্যাত’ নায়িকা অলিভিয়া। বাংলাদেশের সিনেমাতে প্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া আসে তারই হাত ধরে। একটা সময় ছিল শুধু তাকে এক নজর দেখার জন্যই দেশের সিনেমা হলগুলোতে তরুণ দর্শকের উপচেপড়া ভিড় হতো। কিন্তু সেই অলিভিয়াই একটা সময় এসে সিনেমা থেকে নিজেকে এতোটাই আড়াল করে নেন যে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন’র মতো তিনিও বহু বছর যাবত আড়ালেই থেকে গেলেন। অথচ অলিভিয়া’ও এক সময় মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গেও সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। কলকাতার মেয়ে সুনেত্রাও এক সময় বাংলাদেশে এসে নায়িকা হিসেবে দারুণ খ্যাতি পান। তার অভিনীত বেশকিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা রয়েছে। তিনিও বহু বছর যাবত আড়ালে আছেন। বিমান বালা বৃষ্টি সালমান শাহ’র সঙ্গে মাএলক আফসারীর পরিচালনায় ‘এই ঘর এই সংসার’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনিও এরপর আড়ালে চলে গেলেন। অলিভিয়া বলেছেন, কোনো একদিন তিনি আড়াল ভেঙে সবার সামনে আসবেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’,‘ দি রেইন’,‘ মাসুদ রানা’,‘ জাদুর বাঁশী’, ‘পাগলা রাজা’, ‘লুটেরা’, ‘সারেণ্ডার’, ‘লাল মেম সাহেব’, ‘হিম্মত ওয়ালী’। ১৯৮৬ সালে পীযূষ বসুর পরিচালনায় ‘বহ্নিশিখা’ সিনেমায় উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন অলিভিয়া। বাংলাদেশে তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘উসিলা’, ‘ভাই বন্ধু’,‘ সাধনা’, ‘সর্পরানী’,‘ যোগাযোগ’, ‘সুখের স্বপ্ন’। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘পালকি’, ‘শিমুল পারুল’ সিনেমায় ফারুকের বিপরীতে অভিনয় করে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন। বাংলাদেশে তার মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ সিনেমা ‘ঘর ভাঙ্গা ঘর’।