আহমেদ রুবেল ছিলেন দাপুটে অভিনেতা। তার পুরো নাম আহমেদ রাজীব রুবেল। ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্ম তার। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। রুবেলের বেড়ে উঠা ঢাকা শহরেই। পরিবারের সঙ্গে সবশেষ গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন রুবেল। এই অভিনেতার প্রথম স্ত্রী ছিলেন তারানা হালিম। বিয়ের বেশ কয়েকমাস পর বিচ্ছেদ হয় তাদের। গাজীপুরেই অভিনয়ের হাতিখড়ি প্রয়াত অভিনেতার, নিজেই গড়ে তোলেন নাট্যদল। সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ এর মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন আহমেদ রুবেল। পর্দায় তার অভিনয়ের সঙ্গে সংলাপ বলার কৌশল তাকে অন্য অনেকের থেকে আলাদা করা যায়। প্রথম টিভি নাটক দিয়ে দর্শকের নজরে আসেন আহমেদ রুবেল। টিভি নাটকে তার শুরু হয় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’ দিয়ে। তারপর মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘প্রেত’ দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা আসে অভিনেতার। কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হূমায়ুন আহমেদের নাটকে নিয়মিত দেখা যেত তাকে। ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন রুবেল। এরপর ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৫ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন রুবেল। ঢাকা থিয়েটারের সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন মঞ্চে কাজ করেছেন দাপুটে এই অভিনেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুন্ডা’, ‘এফএনএফ’ প্রভৃতি। বাংলাদেশের পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন আহমেদ রুবেল। তিনি পারাপার (২০১৪), প্রথম ওয়েব সিরিজ : নয়ন রহস্য- ফেলুদা’য় (২০২১) অভিনয় করেছেন। আহমেদ রুবেল মেরিল-প্রথম আলো সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছিলেন চন্দ্রকথা (২০০৪) সিনেমার জন্য।