‘ই-টিকিটিং’ সিস্টেমের আওতায় থাকবে আরশাদ আদনানের রাজকুমার
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
আর কিছুদিন পর আমেরিকা যাচ্ছেন শাকিব খান অভিনীত হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘রাজকুমার’র প্রযোজক আরশাদ আদনান। আগামী রোজার ঈদে ‘রাজকুমার’র মুক্তির প্রস্তুতিও নেয়া শুরু হয়েছে তার প্রযোজনা সংস্থা ‘ভার্সেটাইল মিডিয়া’ থেকে। আরশাদ আদনান জানিয়েছেন আগামী রোজার ঈদে ‘রাজকুমার’ ই-টিকিটিং সিস্টেমের আওতাধীন থাকবে। অর্থাৎ যেসব সিনেমা হলে ই-টিকিং সিস্টেম নেই সেসব সিনেমা হলে তিনি ‘রাজকুমার’ মুক্তি দেয়ার পক্ষে নন। আরশাদ আদনান বলেন, ‘যেসব হলে রোজার ঈদে ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু থাকবে না, আমি সম্ভবত সেসব হলে রাজকুমার সিনেমাটি প্রদর্শন করতে দেব না। কারণ আমি প্রযোজক, আমিও কিন্তু চাই আমার সিনেমাটি প্রত্যেক হল থেকে মুনাফা পাক। তাই হল মালিকদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে- আমি আপনাদের ভাই, আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আমি আগামীর পথে এগিয়ে যেতে চাই। তাই আপনারা প্লিজ আপনাদের হলের পরিবেশ এরইমধ্যে সুন্দর করার পাশাপাশি ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করুন, তাতে দেশের হলে রাজকুমার প্রদর্শনের যেন সুযোগ থাকে। যেন সুন্দর গল্পের একটি দুর্দান্ত সিনেমা দর্শক হলে গিয়ে উপভোগ করার সুযোগ পায়। আমি তো চাই বাংলাদেশে যতোগুলো সিনেমা হল আছে প্রতিটি হলে হলে ‘রাজকুমার’ মুক্তি পাক। কিন্তু সবগুলো হলে কী সেই পরিবেশ আছে যেখানে একজন দর্শক তার পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিনেমা দেখতে পারবে। সেই পরিবেশতো আসলে নাই। তাই হল মালিকদের আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করতে চাই চলচ্চিত্র শিল্প’কে বাঁচাতে হলে, সিনেমার প্রযোজকদের ধরে রাখতে হলে আপনারা প্লিজ হলের পরিবেশ ঠিক করুন। হলের সৌন্দর্য্য বর্ধন করুন, হলের টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ভালো সিনেমা যদি মুক্তি পায় দর্শক তা দেখতে চান। কিন্তু হলের পরিবেশের কারণে একটি ভালো সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। ‘রাজকুমার’ যেন দেশের প্রতিটি হলে হলে ভালো পরিবেশে দেখার মতো সিনেমা হয়ে উঠে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু হল উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু হল মালিকরা নিজেরাই হলের উন্নয়ন করছেন না। কারণ হল উন্নয়নের কয়েকটি শর্তের মধ্যে একটি হলো ই-টিকিটিং। ই-টিকিংটা এ কারণেই জরুরি যে টিকিট বিক্রি এবং রিপোর্টের মধ্যে কোনো তারতম্য থাকবেনা। তাতে প্রযোজক লাভবান হন। আর যেসব হলে ই-টিকিটিং সিস্টেম নাই সেখানে টিকিট বিক্রি এবং রিপোর্টে ভিন্নররকম তথ্য পাওয়া যায়, তাতে হল মালিকরা লাভবান হন, ক্ষতির সম্মুখীন হন প্রযোজক। তো আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে হল মালিকদের প্রতি, আপনার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া হল উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ দিয়ে হলের উন্নয়ন করুন, দেশের সিনেমাশিল্পকে রক্ষায় এগিয়ে আসুন। আর অবশ্যই হলের পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করুন। তাতে প্রযাজক লাভবান হবেন, তিনি পরবর্তীতে আরো সিনেমা প্রযোজনায় আগ্রহী হবেন।’ এদিকে আরশাদ আদনান জানান আগামী ১ মে থেকে শাকিব খানকে নিয়েই তার প্রযোজনা সংস্থা নতুন সিনেমা নির্মিত হতে যাচ্ছে। এতে নায়িকা কে থাকবেন এবং সিনেমাটি কে নির্মাণ করবেন তাও চূড়ান্ত। সময় হলেই তিনি সবাইকে পুরো বিষয়টি জানান দিবেন।