ঢাকা ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দর্শকদের ক্ষোভ

নায়িকারা কেন অশ্লীল দৃশ্যে?

টাকার জন্য এরা সব করতে রাজি, এদের আত্মসম্মান বলতে কিছু নেই
নায়িকারা কেন অশ্লীল দৃশ্যে?

গত ক’দিন ধরে বেশ আলোচনা চলছে মেহজাবীন চৌধুরী এবং রুনা খানকে নিয়ে। ছোট পর্দার শালীন অভিনেত্রীর কথা জিজ্ঞেস করলে প্রথমেই বলবেন মেহজাবিন চৌধুরীর কথা। কিন্তু দর্শকদের হতাশ করে তিনিই সম্প্রতি ভিকি জাহেদের ‘আরারাত’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে অশ্লীলতায় নাম লিখিয়েছেন। আরেকজন গুণী অভিনেত্রী রুনা নিজেকে খোলামেলা পোশাকে মেলে ধরেছেন তার ফেসবুক পেইজে। অনেক অভিনেত্রী তার সেই ছবি শেয়ার দিয়ে প্রশংসায় মেতেছেন।

কিন্তু দুজনেরই দর্শক যারা রয়েছেন তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলছেন। সম্প্রতিক ওটিটি প্লাটফর্ম বিঞ্জে ২ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ট্রেইলারে প্রথম মেহজাবিনকে বিভিন্ন জায়গায় অশ্লীল দৃশ্যে দেখা যায়। পরে ওয়েব সিরিজটি প্রকাশের পর দেখা গেছে কিছু অশ্লীল দৃশ্য। যা এর আগে এমন দৃশ্যে কখনো দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। ট্রেইলারটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুকে) এর বিভিন্ন গ্রুপে ইতিবাচক-নেতিবাচক মন্তব্যও দেখা যাচ্ছে অহরহ। কেউ কেউ সমালোচনা করে নেতিবাচক মন্তব্য করছে মেহজাবিনের এই অশ্লীলতাকে নিয়ে। ট্রেইলার প্রকাশ পাওয়ার পরপরই মেহজাবিনকে অনেকেই অনেক নেতিবাচক কথা বলছে। ‘বাংলা নাটক’ গ্রুপে এক দর্শক পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ক্যারিয়ারে প্রথমবার সাহসী দৃশ্যে সময়ের সেরা অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী।

অবশেষে তিনিও সেই সাহসের পথটাই বেছে নিলেন। সত্যি অসাধারণ অভিনেত্রী তিনি। ফ্যামিলি অডিয়েন্সের জন্য এটা নয়, কারণ এটাতে ১৮+ এলার্ট দেওয়া আছে।’ মেহজাবিনের অশ্লীলতায় নাম লেখানো প্রসঙ্গে ‘বাংলা নাটক’ গ্রুপে পোস্ট করলে দর্শকরা জানান, ‘অভিনেত্রীরা পারে না এমন কোনো অশ্লীল কাজ মনে হয় নেই, যারে একটু ভালো মনে করি সেই শুরু করে অশ্লীলতা। এখন আর কারো থেকে ভালো কিছু আশা করি না’, ‘টাকার জন্য এরা সব করতে রাজি, এদের আত্মসম্মান বলতে কিছু নেই’, ‘মেহুর (মেহজাবিন) লজ্জা কমে গেছে, সামনে আরো বোল্ড দৃশ্যে অভিনয় করবে’, ‘এখন তো এসব দেখতে চায় সবাই, যত খুলবে তত চলবে’।

শুধু মেহজাবিন না এর আগে ওটিটির মাধ্যমে অশ্লীলতায় দেখা গিয়েছে, নাজিয়া হক অর্ষা ‘বুমেরাং’, তাসনুভা তিশা ‘আগস্ট ১৪’, ফারহানা হামিদ ‘সদরঘাটের টাইগার’, নিপুণ আক্তার ‘গেম গার্ডেন’, কাজল সুবর্ণ ‘ভয়ের গল্প- ছায়া’, সানিতা রহমান সামান্তা ‘ভয়ের গল্প- আয়না’, মৌটুসী বিশ্বাস ‘বুমেরাং’, ‘নায়িকার এক রাত’, শাবনাজ সাদিয়া ইমি ‘বুমেরাং’। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে সাফা কবির ‘টিকিট’, জয়া আহসান ‘দশম অবতার’, ‘বিজয়’ ‘রবিবার’ ও ‘রাজকাহিনী’, আজমেরী হক বাঁধন ‘কুফিয়া’, পরী মনি ‘পাফ ড্যাডি’, মাহিয়া মাহি ‘মরীচিকা’, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’। ২০১৭ সালের আগস্টে কুসুম সিকদারের একটি মিউজিক ভিডিওতে রগরগে দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করায় অশ্লীলতার অভিযোগ এনে পর্নোগ্রাফির মামলা হয়। এখন অনেকেই বলছেন কুসুম সিকদারের সেই ভিডিওর বিরুদ্ধে যদি পর্নোগ্রাফির মামলা হতে পারে, তাহলে এ রকম অশালীন দৃশ্য ও সংলাপের জন্য কেন নয়? অথচ সরকার যেখানে পর্নোগ্রাফি বন্ধে তৎপর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত