বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক প্রদান করেছে সরকার। এ তালিকায় আছেন কণ্ঠশিল্পী শুভ্র দেব। তবে তার নাম আসায় আপত্তি তোলেন দেশের জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। এরপর তাকে প্রিন্স মাহমুদকে হেয় করে কথা বলেন শুভ্রদেব। প্রিন্স মাহমুদ গানের জন্য শুভ্র দেবের বাসায় বসে থাকতেন বলে মন্তব্য করেন গায়ক। এবার বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রিন্স মাহমুদ। গতকাল বুধবার নিজের ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখেন প্রিন্স মাহমুদ। তবে কারও নাম উল্লেখ করেননি। তিনি লিখেছেন, ‘আমি অতি ক্ষুদ্র মানুষ। কিন্তু মিথ্যা বলি না। তিনি (শুভ্র দেব) সত্য গোপন করছেন। কিছুদিন আগে কেন আমি তাকে ২৫ বছরে ফোন করিনি। ভদ্রলোকের বাসা যে পল্লবী এটা জানতাম না।’ এরপর তিনি লেখেন, ‘সবসময় আমি সবার থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। অতি নিকটজন না হলে আড্ডায় বসি না, কোথাও গিয়ে বসে থাকা তো দূর। পুরোনো দিনে গানের যোগাযোগ সব স্টুডিওতে হতো। কাজ শেষ হলে এক মুহূর্ত স্টুডিওতে আড্ডা দিইনি।’ একুশে পদক মনোনীতদের তালিকা প্রকাশের পর প্রিন্স মাহমুদ লিখেছিলেন, ‘দেশের সংগীতে শুভ্র দেবের অবদান আছে, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি অবদান লাকী আখান্দ্?, আইয়ুব বাচ্চু, ফোয়াদ নাসের বাবু, নকীব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, হামিন আহমেদ, মাকসুদুল হক, মাহফুজ আনাম জেমস এবং প্রিয় গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও শহীদ মাহমুদ জঙ্গির। প্রিয় শুভ্র দেবের উচিত এই প্রসঙ্গে কথা বলা। নিজে পদক না গ্রহণ করে সত্যিকার মেধাবীকে পদক দিতে বলার এই সংস্কৃতি এখনই শুরু হোক।’ এরপর এ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে শুভ্র দেব বলেন, ‘যারা সমালোচনা করছেন, তারা তো আমার লেভেলের (সমসাময়িক) না। তিনি (প্রিন্স মাহমুদ) তো আমার গানের জন্য বাসায় এসে বসে থাকতেন। কদিন আগেও তিনি আমাকে গানের জন্য ফোন করেছেন। আজকে যদি সৈয়দ আব্দুল হাদী, রুনা লায়লার মতো শিল্পীরা কিছু বলতেন, তাহলে হয়তো আমি ভাবতাম। জুনিয়ররা অনেকে অনেক কিছু বলে ফেলে, আমি এগুলো ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখি। আমার মনে হয়, তিনি কারও ইন্ধনে এমন কথা বলেছেন। নইলে এমন কথা কীভাবে তিনি বলেন!’