বসন্ত আগমনী সন্ধ্যায় মুখরিত তারা

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিনোদন প্রতিবেদক

স্বপ্নীল সজীব, বাংলাদেশের গানের ভুবনের এমনই একজন শিল্পী, যার বিনয়, যার মুখের হাসি তার সহশিল্পীদের সবসময়ই মুগ্ধ করে এসেছে।

শিল্পীদের নানা বিপদে আপদে স্বপ্নীল সবসময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। তাই তার আয়োজিত যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে শিল্পীদের নিমন্ত্রণ করলে শিল্পীরা চেষ্টা করেন তার আহ্বানে সাড়া দিতে। এবার স্বপ্নীল সজীব আয়োজন করেন ‘বসন্ত আগমনী আনন্দ সন্ধ্যা’র। রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের একটি অভিজাত বাড়িতে স্বপ্নীল সজীব এই আয়োজন করেন গত বৃহস্পতিবার থেকে রাত পর্যন্ত।

অবশ্য কয়েকটা উপলক্ষ্য ছিলো। প্রথমত সেদিন ছিলো উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্মদিন। আবার কিছুদিন আগেই একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন দেশ বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মোস্তফা। সেইসাথে ফোবানার কয়েকজন সদস্যের ঢাকায় আগমন। সময়টাকেই একটু উপভোগ্য করে তোলার জন্য স্বপ্নীল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে গুনী সঙ্গীতশিল্পী, উপস্থাপিকা দিঠি আনোয়ার। দিঠি বলেন, ‘আজকের দিনে আমি খুব ব্যস্ত। কিন্তু এখানে এসেছি দুটি কারণে। প্রথমত এই আয়োজনে আমার আব্বাকে শ্রদ্ধার সাথে স্বপ্নীল স্মরণ করছে। আর দ্বিতীয়ত স্বপ্নীলকে আমি ভীষণ স্নেহ করি।’ এরপর দিঠি তার বাবার লেখা দুটি গান পরিবেশন করেন। এর পরপরই মঞ্চে ডেকে নেয়া হয় শিমুল মোস্তফাকে। শিমুল মোস্তফা বলেন, ‘স্বপ্নীল আমার ভাই। তার বিনয়, তার আন্তরিকতা সবসময়ই মুগ্ধ করে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ আমাকে একুশে পদকে ভূষিত করায়। আর এই সম্মাননা প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আমি কোনো আয়োজন না করলেও স্বপ্নীল তা মাথায় রেখে আয়োজন করেছে।

এ জন্য তার প্রতি ভালোবাসা আরো অনেকটাই বেড়ে গেলো।’ এরপর শিমুল মোস্তফা নিজেই গান গাইলেন, আবৃত্তি পরিবেশন করলেন। এরপর মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নন্দিত নায়িকা রোজিনাকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে স্বপ্নীল গাইলেন- এই মন তোমাকে দিলাম গানটি। তারপরই মঞ্চে ডেকে নেন জনপ্রিয় গায়িকা আঁখি আলমগীরকে। তার প্রতিও বিশেষ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন স্বপ্নীল।

এরপর একে একে অভিনেত্রী তারিন জাহান, নাদিয়া আহমেদ, অপু বিশ্বাস, তুষ্টি, দীঘি, গায়িকা কোনাল, পূজা, বন্যা, মিথিলাসহ বারিশ হক, গৌতম, পিয়াল, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ আরো অনেকেই উপস্থিত হন। সবশেষে উপস্থিত হন ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘একদিনের জন্য একটি কাজে ঢাকায় এসেছি আমি। স্বপ্নীলের এমন আয়োজনে না এসে থাকতে পারলাম না। পুরো আয়োজনটিই আমাকে মুগ্ধ করেছে, আর এখানে এসে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়ে ভালোলাগল।’ স্বপ্নীল সজীব সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।