আরশাদ আদনানের স্বপ্নের সিনেমা ‘রাজকুমার’
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সিনেমার আশীর্বাদ হয়ে বাংলাদেশের সিনেমার ব্যবসায়িক দৃশ্যপট বদলে দিতে এবং সিনেমার সু’দিন ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ‘ভার্সেটাইল মিডিয়া’র কর্ণধার আরশাদ আদনান। আদ্যোপন্ত সিনেমাপ্রেমী এই প্রযোজক বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাস বদলে দিয়েছেন তার প্রযোজিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা দিয়ে।
তবে তিনি প্রচণ্ড আশাবাদী তার প্রযোজিত সিনেমা ‘রাজকুমার’ বাংলাদেশের সিনেমার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন ইতিহাসের সূচনা করবে। কারণ হিসেবে তিনি কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে চিহ্নিত করে বিশেষভাবে বলেছেন সিনেমার গল্প’র কথা, সিনেমার লোকেশনের কথা, আমেরিকায় বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরার পিছনে যারা কাজ করেছেন তাদের কথা, সিনেমার গানের কথা, এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের কথা। আরশাদ আদনান জানান বাংলাদেশ, ভারত’সহ আমেরিকায় যেসব লোকেশনে রাজকুমারের শুটিং হয়েছে বাংলাদেশের কোনো সিনেমার এর আগে এসব লোকেশনে শুটিং হয়নি। ‘হোম অ্যালোন টু’, ‘জন উইক টু’, ‘স্পাইডার ম্যান’ সিনেমার আমেরিকার যেসব লোকেশনে শুটিং হয়েছে কিংবা স্পাইডার ম্যান’ যে স্টুডিওতে শুটিং হয়েছে সেখানে ‘রাজকুমার’র শুটিং হয়েছে। যা বাংলাদেশের সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। কিন্তু আরশাদ আদনান তা করেছেন। ‘জন উইক টু’ সিনেমাতে যে ক্রু’রা কাজ করেছেন আমেরিকা’তে ‘রাজুকমার’র শুটিংয়ের সময় তারাই কাজ করেছেন। শুধু বাংলাদেশ থেকে ডিওপি হিসেবে ছিলেন রাজীব। যে কারণে সবমিলিয়ে ‘রাজকুমার’র শুটিং শেষে এই সিনেমা হযে উঠেছে আরশাদ আদনানের কাছে তার স্বপ্নের সিনেমা। আরশাদ আদনান বলেন,‘ রাজকুমার আমার স্বপ্নের সিনেমা। রাজকুমারের মধ্যদিয়ে আমি দর্শককে একটি সামাজিক পারিবারিক গল্প উপহার দিতে যাচ্ছি। বাংলাদেমের গ্রামে গঞ্জে এখনো যে কুসংস্কার আছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। মূলত এই সিনেমার গল্প একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে। যারা কারণে একটি পরিবার ধ্বংসের গল্প উঠে আসে। আবার এমনটাও দেখা যাবে যে বিদেশে যাবার জন্য এ দেশের যুবকরা কী করতে চায়, কী করতে পারে,
কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে-তাও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এবং শেষমেষ বিদেশে গিযে বুঝতে পারে দেশ কী আর বিদেশই বা কী। হিমেল তার পুরো মেধা দিয়ে শ্রম দিয়ে সিনেমাটি নির্মাণের চেষ্টা করেছে। একজন প্রযোজক হিসেবে আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা ছিলো। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শাকিব খান’সহ আরো যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই অভিনয় করেছেন। আমার স্বপ্নের এই সিনেমা নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। আমার বিশ্বাস রাজকুমার-দিয়ে বাংলাদেশের সিনেমার দৃশ্যপট যেমন আরো বদলে যাবে সেইসাথে সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী প্রযোজকরা নির্বিঘ্নে সিনেমা প্রযোজনায় আগ্রহী হয়ে উঠবেন। তাই ঈদে হলে হলে গিয়ে রাজকুমার দেখার প্রস্ততি থাকুক এখন থেকেই।’ এদিকে আরশাদ আদনান জানান দুবাইতে পৃথিবীর বুকে মানুষের সৃষ্ট এক অনন্য বিষ্ময় বুর্জ খলিফা’তে শাকিব খানের জন্মদিনে আগামী ২৮ মার্চ ‘রাজকুমার’র ৩০ সেকেন্ডের হলেও ট্রিজার প্রদর্শনের ইচ্ছে রয়েছে।