শত শিশুর সঙ্গে গানে গানে রুনা লায়লা
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’ একাডেমির মিলনায়তনে শিশুদের নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি), এমপি। একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম ও মহাপরিচালক আনজীর লিটন ও এ বিশেষ আয়োজনে সম্মানীত অতিথির আসনে থেকে আগত শিশু ও শিশুদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রধান করেন। সংস্কৃতি পর্বের আয়োজন শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন শাখায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার তুলে দেন বিজয়ীদের হাতে। দুপুর ১২টায় মঞ্চে উঠেন এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় পর্বের অংশ হিসেবে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তারসঙ্গে মঞ্চে ছিলেন এক শত শিশু। শিশুরা রুনা লায়লার সঙ্গে একইমঞ্চে আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবুর সুর করা ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি পরিবেশন করেন। গান পরিবেশন করার সময় পুরো মিলনায়তন ভর্তি দর্শক ভীষণ আগ্রহ নিয়ে রুনা লায়লার সঙ্গে শত শিশুর গান উপভোগ করছিলেন। সুরে সুরে গানে গানে রুনা লায়লার সঙ্গে শিশুদের গান পরিবেশনা এক অভূতপূর্ব মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। গান পরিবেশনা শেষে প্রধান অতিথি মুগ্ধ হয়ে বিস্মিত হয়ে তাকিয়েছিলেন মঞ্চের দিকে। আরো গান গাইবার জন্যও অনুরোধ আসছিল। অনেকেই তখন বলছিলেন শিশু একাডেমির ইতিহাসে এতো সুন্দর পরিবেশনা এর আগে ছিল না। তাই এর নেপথ্যে থাকা সকলের প্রতি প্রধান অতিথিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। গান পরিবেশনায শিশুদের মিউজিক ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করেছেন শারমীন সুমী। গান পরিবেশনা শেষে রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি তো ভাবতেও পারিনি বাচ্চারা এতো সুন্দরভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবে। পুরো আয়োজনটাই এতো নান্দনিক ছিল যে, আমি নিজেই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছিলাম। আর যখন গান গাইছিলাম তখন আমার সঙ্গে বাচ্চাদের পারফর্ম্যান্স দেখে আমিও বিস্মিত হয়েছি। এ বাচ্চাদের সঠিকভাবে চর্চায় রেখে যারা এর নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সত্যিই আমার কাছে দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ প্রজন্মের শিশুদের গানের প্রতি আগ্রহ দেখে ভীষণ ভালো লাগল। তারা যদি নিয়মিত গান চর্চা করে তবে আগামীতে এখান থেকেই অনেকেই ভালো শিল্পী হতে পারবে।’ একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় রুনা আপা আমাদের শিশু একাডেমিতে এসেছেন, তিনি মঞ্চে উঠে শত শিশুর সঙ্গে গান পরিবেশন করেছেন, এটা যে আমাদের সবার জন্য কতোটা ভালোলাগার ছিল তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশের নয়। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল রুনা আপার প্রতি। ধন্যবাদ সাদেক আলী ভাইকেও আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য।’